ডায়াবেটিসেও খাওয়া যাবে যেসব মিষ্টি খাবার

মিষ্টি খাবারের কথা শুনলেই আমরা মনে করি তা আমাদের জন্য ক্ষতিকারক। তার পর যদি কারও ডায়াবেটিস রোগ থাকে, তা হলে মিষ্টি খাবার খাওয়াটাই হয়ে পড়ে একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু তার পরও মিষ্টি খাবারের প্রতি লোভ কাজ করে কমবেশি সবারই।

ডায়াবেটিস রোগীরা মিষ্টি খাবার খেতে ভয় পান। বেশ কিছু খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হলেও বিপরীতে পুষ্টিকর খাবার বেছে নেওয়ার প্রচুর বিকল্পও রয়েছে।  ঠিক তেমনি, কিছু মিষ্টি খাবার রয়েছে, যা খেতে পারবেন ডায়াবেটিস রোগীরাও। আর মজার বিষয় হচ্ছে— সেগুলো স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করে বরং উপকার করবে।

জানুন এমন কিছু মিষ্টি খাবার, যা খাওয়া যাবে ডায়াবেটিস থাকলেও—

💥 চিয়া পুডিং

চিয়া পুডিং স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু এবং এটি খুব সহজ কয়েকটি উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। এতে থাকা চিয়া বিজে ফাইবার, প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ অ্যাসিড থাকে।  বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, চিয়া বিজ রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় এবং ডায়াস্টলিক রক্তচাপ হ্রাসে সহায়তা করে। তাই এটি আপানি খেতে পারেন ডায়াবেটিস থাকলেও।

💥 ফাইবারসমৃদ্ধ আইসক্রিম

ফাইবারসমৃদ্ধ আইসক্রিম আপনি খেতে পারেন ডায়াবেটিস থাকলেও। তবে আগে নিশ্চিত হয়ে নেবেন যেন সেটিতে চিনি মেশানো না থাকে। এ জন্য আপনি খুব সহজ একটি উপাদান মিশিয়েই করে ফেলতে পারেন ফাইবার আইসক্রিম। আর সেটি হচ্ছে কলা। কারণ কলা হচ্ছে ফাইবারের অনেক ভালো উৎস।

💥 আপেল, নাসপাতি ও আঙুর

এ ফলগুলো ডায়াবেটিস রোগে কোনো ক্ষতি করে না।  তাই আপনার মুখে মিষ্টি স্বাদের চাহিদা পূরণ করতে পারে এ ফলগুলো। আর এসব ফলের মিষ্টি স্বাদ আপনার ডায়াবেটিসে কোনো ক্ষতি না করে এগুলোর বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান উপকারী হিসেবে কাজ করবে।

💥 টকদই

ডায়াবেটিস থাকলেও টকদই আপনার জন্য হতে পারে উপকারী। ২০০ গ্রাম টকদইয়ে প্রায় ২০ গ্রাম প্রোটিন থাকে, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। আর এ দইয়ের স্বাদ বাড়িয়ে নিতে এর সঙ্গে


আপনার পছন্দের কিছু ফলও মিশিয়ে নিতে পারেন।

💥. বাদাম ও বীজের মিশ্রণ

ডায়াবেটিস থাকলেও আপনি খেতে পারবেন বিভিন্ন বাদাম ও বীজের মিশ্রণ।  সাধারণত এ মিশ্রণে বিভিন্ন বাদাম, পেকন, কাজু, কুমড়োর বিজ ও সূর্যমুখী বীজ খেতে পারেন। আর এগুলোতে থাকা বিভিন্ন প্রোটিন ও ফাইবার আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হিসেবে কাজ করে।

💥 ডার্ক চকলেট

ডার্ক চকলেট আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করেই দূর করতে পারে মিষ্টি খাবারের চাহিদা। এতে থাকা ফ্লেভোনয়েড নামক এক ধরনের যৌগ থাকে, যেটি ইনস্যুলিন প্রতিরোধে সহায়তা করে টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগ থাকলেও খাওয়া যায়।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া



Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post