অ্যালো ভেরার যত গুণ

গ্লুকোমেনন নামে এক ধরনের অত্যন্ত উপকারী গ্রোথ হরমোন পাওয়া যায় অ্যালোয়।অ্যালো ভেরার পাতার মাঝে যে শাঁসটা সঞ্চিত থাকে, তার মূল উপাদান হচ্ছে পানি। শাঁসের পরতের কারণেই অ্যালো ভেরার পাতাগুলো মোটা দেখায়। এই শাঁসে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস থাকে, তা শরীরের নানা উপকারে আসে।শুধু ত্বক নয়, চুলের জন্যও ঘৃতকুমারী বা অ্যালো ভেরা অনেক কার্যকরী।


ত্বক ময়শ্চারাইজ

অ্যালো ভেরা স্কিনকে যথেষ্ট পরিমাণে ময়শ্চারাইজ করে। এর এনজাইম আর ভিটামিন সি ত্বককে গ্লো করতে সাহায্য করে। তাই নির্জীব ত্বক থেকে মুক্তি পেতে এটি ব্যবহার করতেই পারো। মুখের জেল্লা বৃদ্ধিতে, মসৃণ ও নরম রাখতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের জন্য আদর্শ কসমেটিক্স অ্যালোভেরা ত্বকে আর্দ্র ও সতেজ রাখে। চোখের নীচে ফোলা ভাব থাকলে, তা দূর করতেও অ্যালোভেরা জেলের বিকল্প নেই। ত্বকের উপর মৃতকোষ দূর করতে অ্যালোভেরা মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এক চা চামচ অ্যালোভেরার জেলের সঙ্গে ওটমিল গুঁড়ো ও হাফ চা চামচ অলিভ ওয়েল মিশিয়ে একটি পুষ্টিকর ফেসপ্যাক তৈরি করুন।৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১-২ দিন করলে উপকার পাবেন।

কম বয়সে ত্বকের উপর বার্ধক্যের ছাপ পড়লে, বলিরেখা দেখা দিলে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা ত্বকের গভীরে গিয়ে ভিটামিন ও খনিজের পুষ্টি যোগান দেয়। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক নিয়মিত পনেরো মিনিট ধরে মুখে ও গলায় লাগিয়ে রাখুন, এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে ত্বকের উপর রোদের পোড়া দাগ দূর হয়ে যায়।

রোদ প্রদাহ প্রতিরোধ

রোদের তেজ ত্বকের নাজেহাল অবস্থা দূর করতে মুখ ভাল করে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে তারপর অ্যালো ভেরা পাতা থেকে জেল বের করে নিয়ে মুখে বেশ কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখতে হবে, ফের পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এইভাবে সানবার্ন খুব সহজেই দূর করা যায়।

সোরিয়াসিস দূর করে

এটি একটি বেশ জটিল চর্মরোগ। এতে দেহের বা মুখের নানা জায়গায় লাল ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। বেশ কিছুটা জায়গা জুড়ে এটি হয়, সেখানে অ্যালো ভেরা নির্যাস লাগালে ভাল কাজ হয়। নিয়মিত ব্যবহার করলে, এটি লাভজনক হবে।



পা ফাটা দূর করে

শীতের শুরুতে এবং শেষে পা ফাটা বেশ কমন ব্যাপার। অ্যালো ভেরা এবং ঠান্ডা চায়ের লিকার মিশিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করলে পা ফাটা কমতে কিন্তু বেশি সময় লাগে না।

ব্রণ দূর করে

এটি স্কিন ক্লিনজার হিসেবেও বেশ ভাল। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ ব্রণ বা পিম্পল কমাতে সাহায্য করে। এতে বেশি মাত্রায় অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকার জন্য, ব্রণয় জমে থাকা ব্যাক্টেরিয়া দূর করে। সঙ্গে নতুন ত্বককোষ তৈরি করতেও সাহায্য করে। ত্বকের উপর জ্বালাভাব হলে অ্যালোভেরা জেল আইস কিউব ট্রেতে অ্যালোভেরা আইস কিউব দিয়ে ত্বকের উপর ঘষতে পারেন। এতে ত্বক নরম ও ঠান্ডা থাকে। এছাড়া ব্রণ হলে তার উপর আলতো করে ঘষলে ব্রণ ও অ্যাকনের সমস্যা দূর হবে।


কাটা জায়গায় ব্যবহার

যে-কোনও কাটা জায়গা বা শেভিং করার পর ছোট-ছোট কাটায় এটি ব্যবহার করা যায়। এটি সহজেই সতেজ ভাব আনতে সাহায্য করে।

চুলের জন্য

অ্যালো ভেরায় থাকে প্রোটিয়োলাইটিক উৎসেচক, যা স্ক্যাল্পের মৃতকোষকে সারাতে সাহায্য করে। আবার চুলের কন্ডিশনার হিসেবেও দারুণ কাজ করে। চুলের গ্রোথ বাড়ায়, স্ক্যাল্পের চুলকানি কমায়। খুসকি দূর করতে মাথার ত্বকের পিএইচের ব্যালান্স সঠিক রাখতে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে সারারাত মাথায় রেখে পরদিন সকালে পছন্দের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post