Down Syndrome: আজ বিশ্ব ডাউন সিন্ড্রোম দিবস, তারিখেই লুকিয়ে অসুখের ব্যাখ্যা



ডাউন সিন্ড্রোম (Down Syndrome)। একটা শিশুর জন্মের পরেই একরাশ হতাশা, একটা গোটা জীবনভর কষ্ট বয়ে আনে এই রোগ। মুখের হাসি মিলিয়ে যায় মুখেই। তারপর সেই শিশুর বেড়ে ওঠার প্রতিটা ধাপে ধাপে থাকে জটিলতা, সংগ্রাম। আজকের দিনটা সেই রোগে আক্রান্তদের উৎসর্গ করা হয়। আজ বিশ্ব ডাউন সিন্ড্রোম দিবস (World Down Syndrome Day)।

কিন্তু কেন বিশ্ব ডাউন সিন্ড্রোম দিবস পালনের জন্য বেছে নেওয়া হল আজকের দিনটাকেই (Health)? ২১ মার্চ তারিখের মধ্যে কী এমন বিশেষত্ব আছে যে অন্য কোনওদিনকে এই রোগের জন্য চিহ্নিত করা গেল না?

আসলে আজকের তারিখটা ডাউন সিন্ড্রোমের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে। এদিন তারই ব্যাখ্যা সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশ্যালিটি হসপিটালের ফিটাল মেডিসিন স্পেশ্যালিস্ট ডক্টর কাঞ্চন মুখার্জী। তিনি বলেন, এই তারিখের মধ্যেই অসুখের ব্যাখ্যা লুকিয়ে আছে।

ডঃ মুখার্জী বলেন, ডাউন সিন্ড্রোম জন্মগত রোগ। একুশতম ক্রোমোজোম জোড়ে দুটির বদলে যদি তিনটি ক্রোমোজোম থাকে, তখন তাকে বলে ট্রাইসমি ২১ বা ডাউন সিন্ড্রোম। আন্তর্জাতিকভাবেই এই রোগের সচেতনতার প্রতীক নীল-হলুদ রঙ। আজকের দিনটাতে বিশ্বজুড়েই চিকিৎসকরা ডাউন সিন্ড্রোম নিয়ে জনসচেতনতা প্রসারের কথা বলেন।

কী সচেতনতা (Down Syndrome)?

তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ডঃ মুখার্জী। তাঁর কথায়, আজ ওরা কী কী পারে না সেটা আলোচনা করার দিন নয়। আমিও তো অনেক কিছু পারি না। আজ ওদের দিন। ওরা কী কী পারে সেগুলো জানার চেষ্টা করার দিন। ওদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ওরা খেলতে পারে, গাইতে পারে, হাসতে পারে, হাসাতে পারে। ওদের ভালবাসতে হবে, তাহলেই ওরাও আপনাকে ভালবাসবে। আসলে ওরা অনেক কিছু পারে। সকলের নজরে আসুক ওরা। শুধু আজ কেন? সারা বছর।

যারা সমাজের আর পাঁচজনের মতো নয়, যারা একটু ছকভাঙা, আজ তাদের দিন। তাদের জন্যে আজ বাকিরাও যদি খানিক ছক ভাঙে, তো ক্ষতি কী? ডঃ মুখার্জী আজ সকলকে রঙবেরঙের মোজা পরার পরামর্শ দিয়েছেন। দুই পায়ে দুই আলাদা রঙের মোজা পরতে বলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, আজ #LotsOfSocks campaign এর দিন। রঙ মিলান্তি ছকের বাইরে বেরিয়ে যারা একটুখানি অন্যরকম আজ তাদের আপন করে নিন।

ডাউন সিন্ড্রোম সচেতনতায় রাষ্ট্রপুঞ্জের এবছরের থিম হল “#InclusionMeans..” বা অন্তর্ভুক্তি। ডঃ মুখার্জী বলেন, শিক্ষায় “Inclusion” মানে আলাদা শিক্ষাব্যবস্থা নয়। মূলস্রোতেই ওদের অন্তর্ভুক্তিকরণ সম্ভব। স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও তাই। আর পাঁচজনের যদি সুস্থভাবে বাঁচার অধিকার থাকে, চিকিৎসার অধিকার থাকে তাহলে ওদেরও সেটা আছে। অফিস-কাছারিতেও ওদের পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া দরকার বলে মনে করেছে ডঃ মুখার্জী। শারীরিক কিছু পার্থক্য আছে বলে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ওদের যেন বাদ না দেওয়া হয়। সমাজের মূল ধারায় ওদের মেলাতে পারলে তবেই #InclusionMeans স্লোগান সফল হবে, বলেন ডঃ মুখার্জী।

Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post