ব্যথার প্রাথমিক পর্যায়ে ধাইকে নিচের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

১। মায়ের তলপেট, পাছা বা নিতম্ব, পা এবং জননেন্দ্রীয় গরম জল এবং | সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। বিছানা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং খোলামেলা জায়গায় রাখতে হবে যাতে আলো বাতাস আসতে পারে।।

২। বিছানার উপরে পাতলা কাপড়ের সীট, কলাপাতা, কাগজ এবং তোয়ালে রাখতে হবে। যখন দরকার হয় অর্থাৎ যখন ঐ কাপড় ময়লা। হবে বা ভিজে যাবে তখন পালটাতে হবে।

৩। একটা নতুন পরিষ্কার ব্লেড নাভি কাটতে প্রস্তুত রাখতে হবে। অথবা একটা কাঠিকে পনের মিনিট ধরে সিদ্ধ করে যে পর্যন্ত না ব্যবহার করা। হয় ততক্ষণ জলের মধ্যেই রেখে দিতে হবে। এ সময় অর্থাৎ ব্যথার সময় ধাই কোনক্রমেই পেটের উপর চাপ দেবে। অথবা মর্দন করবে না। মায়েরও এভাবে জোরে চাপ দেওয়া উচিত নয়। যদি ভীষণ ব্যথা শুরু হয় বা ভয় পেয়ে যায় তাহলে মাকে আস্তে আস্তে। দীর্ঘশ্বাস নিতে বলতে হবে। কেবলমাত্র যখন তার ব্যথা হবে ঠিক তখনই তাকে এভাবে লম্বা লম্বা শ্বাস নিতে হবে। এছাড়া অন্য সময় স্বাভাবিকভাবে। শ্বাস নেবে। এতে মায়ের ব্যথার উপকার হতে পারে এবং সে সুস্থ বোধ করবে।

ব্যথার দ্বিতীয় পর্যায়

এ সময় বাচ্চা প্রসব হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে জলের থলে ভেঙ্গে এমন। পর্যায় শুরু হয়। এ অবস্থার স্থায়িত্ব খুবই কম এবং কম কষ্টদায়ক। যখন। ব্যথা শুরু তখন তার সর্বশক্তি দিয়ে চাপ দিতে থাকে। ব্যথার মাঝে মাঝে। মাকে দারুণ ক্লান্ত এবং অর্ধ ঘুমায়িত মনে হবে। এমন হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এ সময় মাকে পায়খানার সময় যেমন জোরে শ্বাস নিয়ে বেগ। দিয়ে থাকে তেমন জোরে জোরে বেগ দিতে হবে। সে ইচ্ছা করলে হাঁটু গেড়ে আধাআধি বসতে পারে, পেছনে হেলান দিয়ে বসতে পারে অথবা শুয়ে থাকতে পারে। যখন বাচ্চা হবার সময় হয়ে যায় এবং বাচ্চার মাথা দেখা যায় তখন ধাই এর সব কিছুই প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে বাচ্চা হতে কোন প্রকার । অসুবিধা না হয়। এ সময় মায়ের কোনক্রমেই জোরে বেগ বা চাপ দেয়া । উচিত নয়। তাহলে বাচ্চার মাথা আস্তে আস্তে আসতে পারে। এ’তে যোনি কোন প্রকারে ছিড়ে বা থেতলে যেতে পারে না। স্বাভাবিকভাবে বাচ্চা হবার সময় ধাই যেন কোনক্রমেই মায়ের । নিতে হাত ঢুকিয়ে না দেয়। যোএভাবে যদি ধাই মায়ের যোনিতে হাত। ঢুকিয়ে দেয় তাহলে মায়ের যোনিতে হয়তঃ ধাইয়ের  হাত থেকে জীবাণু গিয়ে ধনুষ্টংকার বা অন্য কোন অসুখ হয়ে মারা যেতে পারে । 

যখন বাচ্চার মাথা বেড়িয়ে আসতে থাকবে তখন ধাই এর উচিত । হালকাভাবে ধরে রাখা। কিন্তু কোনক্রমেই যেন বাচ্চার মাথা জোর করে টেনে বের করতে চেষ্টা না করে।

মাকে এভাবে জোরে জোরে। বেগ দিতে হবে। এ সময় মায়ের জোরে বেগ। দিতে হবে না। তাকে খুব ছোট ছোট কিন্তু তাড়াতাড়ি শ্বাসনিতে হবে। এতে যোনি ছিড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারে। মাথা সাধারণতঃ মুখ নিচের দিকে তাক করেই আসে।।

তার পরে বাচ্চার শরীর একটু কাত করে নিতে হবে।

ধাই বাচ্চার মাথা ধরে খুবই আস্তে আস্তে টান দিতে থাকবে যেন বাচ্চার কাঁধ বেরিয়ে । আসে।।

তারপর বাচ্চার মাথা আস্তে তুলে ধরবে তাহলে অন্য। কাঁধও বেরিয়ে আসবে। কেবল মাত্র মা-ই বেগ দেবে ধাই কোনক্রমেই বাচ্চাকে ধরে টানবে না। তাহলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।

ব্যথার তৃতীয় পর্যায় ।

বাচ্চা জন্মের পরেই এ পর্যায় শুরু হয় এবং গর্ভফল পড়ে যাওয়ার বা পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকে। সাধারণ বাচ্চা জন্মের ৫ (পাঁচ) মিনিট থেকে। এক ঘন্টার মধ্যেই গর্ভফুল পড়ে যায়। এ সময় থেকেই বাচ্চার যত্ন নেয়া দরকার।।

গর্ভফুল পড়া।

সাধারণতঃ বাচ্চা জন্মের ৫ (পাঁচ) মিনিট থেকে ১ (এক) ঘন্টার মধ্যে গর্ভফুল পড়ে যায়। তবে মাঝে মাঝে এর চেয়ে বেশী সময়ও দেরী হয়। এমন। কি ঘন্টার পর ঘন্টাও দেরী হয়ে থাকে।।

গর্ভফুল পরীক্ষা

 গর্ভফুল পড়ে যাওয়ার পরে পরীক্ষা করে দেখবেন যে সম্পূর্ণটুকু পড়েছে। কি না। যদি কোনক্রমে ছিড়েই যায় বা দু'এক টুকরো না পড়েই থাকে তাহলে ডাক্তারের সাহায্য নিতে হবে। যোনিতে এক টুকরো গর্ভফুল থেকে গেলে ভেতরে ঘা অথবা ব্যথা হতে পারে। 

গর্ভফুল পড়তে দেরী হলে যা যা করণীয়।

যদি মায়ের বেশী রক্ত পড়তে না থাকে তাহলে কিছুই করার দরকার । নেহা কখনও নাড়ী ধরে টানবেন না। এভাবে টানলে অনেক রক্তক্ষরণ হতে পারে। বেশী রক্তক্ষরণ হলে তলপেটে হাত দিয়ে পরীক্ষা করে দেখলে জরায়ু অনুভব করবেন। যদি নরম মনে হয় তাহলে নিচের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

১। আস্তে আস্তে জরায়ুর উপরে হাত বুলাতে থাকবেন  এবং যে পর্যন্ত শক্ত হয়ে না যায় ততক্ষণ এভাবে করতে থাকুন। এ রকম করলে জরায়ু। ছোট হয়ে গিয়ে গর্ভফুল বের হয়ে আসবে।

২। যদি গর্ভফুল তাড়াতাড়ি বেরিয়ে না আসে এবং রক্তক্ষরণ হতেই থাকে তাহলে জরায়ুর উপরের অংশে এক হাতে চাপ দিতে থাকবেন এবং অন্য হাত দিয়ে একটু নিচে চেপে ধরে রাখবেন (নিচের ছবিটি দেখুন)।

এতেও যদি গর্ভফুল বেরিয়ে না আসে এবং অনেক রক্তক্ষরণ হতে থাকে তাহলে নিচে যেভাবে রক্ত পড়া বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়া আছে তা অনুসরণ করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

বেশী রক্তক্ষরণ হলে যা যা করণীয়  

যখন গর্ভফুল পড়ে যায় তখন স্বাভাবিকভাবেই কিছু রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে । (এই ভাবে রক্তক্ষরণ সাধারণতঃ কয়েক মিনিটের জন্যই হয়ে থাকে এবং অতিরিক্ত হলে কাপখানেক রক্ত পড়ে। তবে অল্প অল্প রক্ত পড়া নাও  চলতে পারে এবং এভাবে রক্তক্ষরণ কোন মারাত্মক হয়তঃ কয়েকদিনও চলতে পারে এবং এভাবে রক্ত বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধ মুখ দিয়ে খাওয়ানোর। ব্যাপার নয়। অনেক সময় বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধ মুখ। শুরুতেই রক্তক্ষরণ কমতে থাকে।

সাবধানতা।

মাঝে মাঝে কোন কোন মহিলার জরায়ুর মাঝেই বারে বারে রক্তক্ষরণ হয়। যা বাইরে থেকে দেখা যায় না। এমন হলে বারে বারে তার পেট পরীক্ষা করে দেখতে হবে। যদি দেখা যায় যে পেট বড় হয়ে যাচ্ছে, তাহলে ধরে। নিতে হবে যে রক্ত জমা হচ্ছে। যদি প্রচর রক্তক্ষরণ হতেই থাকে এবং তা সব সময়ই পড়তে থাকে তাহলে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

১। প্রথমেই চিকিৎসা করাতে হবে। যদি রক্তক্ষরণ তাড়াতাড়ি বন্ধ না হয়। তাহলে মারা যেতে পারে।

২। একটা আর্গোম্যাট্রিন (Ergometrine 0.2 mg) ইনজেকশান দিতে হবে। ইনজেকশান না থাকলে ০২ মিলিগ্রাম আর্গোম্যাট্রিন ট্যাবলেট দু’টো খেতে দিতে হবে।।

৩। মায়ের প্রচুর পরিমাণে জল, ফলের রস, চা, পেঁপে এবং নিচের ঐ মিক্সার খেতে হবে। এক গ্লাস সিদ্ধ জলে দু’আঙ্গুলের মাথায় দু’বার লবণ এবং চারবার চিনি তুলে মিশিয়ে  খেতে দিতে হবে। সম্ভব হলে কিছু লেবুর রস মিশিয়ে নেবেন।

৪। মূছা গেলে বা নাড়ী দুর্বল হলে বা তাড়াতাড়ি চললে তার পা একটু উপরে তুলে মাথা নিচের দিকে রাখবেন।

৫। যদি মায়ের প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হতেই থাকে এবং মৃত্যুর হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় তাহলে নিচের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে |

যে পর্যন্ত জরায়ু শক্ত হয়ে না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত তলপেট মালিশ করতে থাকবেন। তারপর একহাত দিয়ে জরায় একটু উচু করে ধরে অন্য হাতে জরায়ুর নিচের অংশ মালিশ করতে থাকুন। যখনই জরায়ু একটু শক্ত হতে থাকবে এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যাবে তখনই মালিশ করা বন্ধ করতে হবে। এবং যে পর্যন্ত না জরায় নরম হয়ে যায় ততক্ষণ আর মালিশ করা চলবে না। প্রত্যেক মিনিটেই পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এ রকম করার পরেও যদি রক্তক্ষরণ চলতেই থাকে তাহলে নিচের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।। দু’হাতে জরায়ু ধরে জোরে চাপ দিতে থাকুন। এভাবে বেশ করেই।

জন্মের পরে শিশুর  যত্ন 

বাচ্চা হবার সঙ্গে সঙ্গে নিচের পদ্ধতি অবলম্বন করবেন৷ ১। বাচ্চার মাথা নিচু করে শুইয়ে দিতে হবে। তাতে মুখ ও নাক থেকে।

শ্লৈষ্মিকঝিল্লি বেরিয়ে আসবে। যে পর্যন্ত না বাচ্চা শ্বাস করতে শুরু করে। ততক্ষণ এভাবে শুইয়ে রাখবেন।।

 ২। বাচ্চাকে মায়ের চেয়ে একটু নিচে রাখতে হবে। এভাবে বাচ্চা রাখলে। মায়ের শরীর থেকে বেশী রক্ত পাবে এবং বাচ্চা আরাে শক্তিশালী হবে।।

৩। যদি জন্মের পরেই বাচ্চা শ্বাস করতে আরম্ভ না করে, তাহলে তার। পিঠ মালিশ করতে থাকুন।।

৪। এর পরেও যদি বাচ্চা শ্বাস করতে না থাকে তাহলে হাতের আঙ্গুলে পরিষ্কার কাপড় জড়িয়ে মুখের ঝিল্লি বের করে ফেলুন। ৫। জন্মের এক মিনিট পরেই যদি বাচ্চা শ্বাস করতে আরম্ভ না করে, তাহলে তক্ষুনি মুখে মুখ দিয়ে শ্বাস করাতে চেষ্টা করুন। মুখে মুখ দিয়ে শ্বাস করাবার পদ্ধতি হল এ রকম :

 (ক) বাচ্চার মুখ উপরে রেখে শুইয়ে দিন এবং তার মাথা চিৎ করে মুখ হা করান।

(খ) হাতের আঙ্গুল দিয়ে তার নাকে চাপ দিন মুখ খুলুন, এবং আপনার মুখ তার মুখে রাখুন এবং খুব আস্তে আস্তে প্রতি মিনিটে পচিশ বার করে শ্বাস করতে থাকুন। খুব জোরে মুখে ফু দেবেন। তবে খুব আস্তে আস্তে আপনার মুখের বাতাস ঢুকিয়ে তাকে শ্বাস করাবেন। তারপর একটু পরে আপনার মুখ তুলে নিজের মুখে বাতাস ঢুকিয়ে নেবেন। ৬। বাচ্চাটিকে একটু পরিষ্কার কাপড়ে জড়িয়ে রাখুন। কোন বাচ্চাকেই

কোনক্রমেই ঠাণ্ডা লাগাতে দেয়া উচিত নয়। বিশেষ করে যে সব বাচ্চা। দশ মাসের আগে অর্থাৎ পূর্ণ সময় হওয়ার আগেই জন্মায়।

কি করে নাড়ী কাটা হয়।

শিশু জন্মের পরেই নাড়ীর রং নীল থাকে, মোটা থাকে এবং নাড়ীটা উঠানামা করতে থাকে।। এ রকম অবস্থা হলে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কিছু পরে নাড়ীটা ছোট হয়ে যাবে। তখন নাড়ীর ওঠানামা বন্ধ হবে। এর পর নাড়ীর দু’টো। অংশে দু’গাছা  পরিষ্কার ছোট সুতা দিয়ে বেঁধে নেবেন। সুতাগুলি যেন খুবই পরিষ্কার এবং শুকনো হয়। ঐ দড়িগুলো অবশ্যই ইস্ত্রী করা হতেই হবে। গেড়ো দুটোর মাঝখান দিয়ে কেটে ফেলুন। এবারে ছবিটি দেখে শিখে নিন কি ভাবে নাড়ীটা কাটতে হবে।  

উপরের চিত্রের মত দুই গেড়োর মাঝখান ব্লেড দিয়ে কাটবেন।

এবং অতিরিক্ত হলে কাপখানেক রক্ত পড়ে।

অব্যবহৃত একটা পরিষ্কার ব্লেড দিয়ে নাড়ী কাটুন। ব্লেডটা খােলার। আগে আপনার হাতটা অবশ্যই ধুয়ে নেবেন। যদি ব্লেড না থাকে তাহলে কাঁচি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন বাঁশের চটা দিয়ে কখনও নাড়ী। কাটবেন না। সদ্যজাত শিশুর শরীরের খুব কাছ থেকে নাড়ী কাটতে হবে। শুধু মাত্র নাড়ীর একটু ছোট অংশ শরীরে রাখবেন। আপনারা যদি এসব। নিয়মকানুন মেনে চলেন এবং সব কিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন, তাহলে ধনুষ্টংকারের হাত থেকে বাচ্চাকে রক্ষা করা যায়।

কাটা নাভির যত্ন।

কাটা নাভিকে ভাল রাখা এবং ঘা হওয়া থেকে রক্ষার প্রধান উপায় হল। সব সময় শুকনো রাখতে হবে। শুকনো রাখতে, কাটা নাড়িতে বাতাস। লাগতে দিতে হবে। ধুলা এবং মাছির হাত থেকে রক্ষা করতে নাভি একটু ঢেকে রাখতে হবে। এ কাজের জন্য এক টুকরা সাদা কাপড়ই যথেষ্ট। এ। ক্ষেত্রে ষ্টেরিলাইজড গজ ব্যবহার করা আরাে ভাল। সাবধান খুব জোরে বাঁধ। দেবেন না৷

মনে রাখবেন এমন হালকাভাবে নাভি বেঁধে রাখবেন যেন গজের নিচের নাভিতে বাতাস ঢুকে শুকনো রাখতে পারে।

সাবধান ঐ বাঁধনটাতে যেন কোন প্রকার প্রস্রাব লেগে ভিজে না যায়।।  

নতুন শিশুকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।

| রক্ত বা জল খুব আস্তে আস্তে সাবধানে পরিষ্কার করে ফেলুন। প্রত্যেক দিন বাচ্চাকে গরম জলে স্নান করাতে হবে। নাভির উপরের ব্যাণ্ডেজটি যে পর্যন্ত নাভি শুকিয়ে না যায়, ততদিন রাখতে হবে। সাধারণতঃ বাচ্চার বয়স যখন এক সপ্তাহ তখনই এভাবে নাভির বাইরের অংশ শুকিয়ে যেতে থাকে। নাভি কাটা শেষ হলেই বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধের বোটা মুখে পুরে খেতে দিতে হবে।।

এভাবে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে শুরু করলে মায়ের গর্ভফুল পড়ে।

ৰব্য করবে। এতে রক্তক্ষরণও বন্ধ করতে সাহায্য। করবে।

যোনির নিচের অংশ ছিড়ে যাওয়া।

বাচ্চা আসার জন্য যোনির মখ বেশ পরিমাণ খুলে যাওয়া দরকার। মাঝে। " থোন এবং গুহ্যদ্বারের মাঝখান বাচ্চা প্রসবের সময় ছিড়ে যায়। মায়ের। প্রথম বাচ্চা হবার সময়ই এ রকমের সম্ভাবনাই বেশী থাকে। এভাবে ছিড়ে যাওয়াকে রক্ষা করা যায়, যদি একটু সাবধানতা অবলম্বন করা যায়। 

যেমনঃ ১। বাচ্চার মাথা যখন আসতে থাকে তখন মায়ের কোনক্রমেই জোরে বেগ দেয়া উচিত নয়। তবে আস্তে আস্তে বেগ না দিলে যোনির মুখ বড় হয়ে।যাবে এবং জোরে জোরে শ্বাস করলে মা বেগ দিতে পারবে না।। ২। যখন যােনি একটু খুলে বাচ্চার মাথা দেখা যায়, তখনই ধাই তার হাত দিয়ে বাচ্চার মাথা হালকাভাবে ধরতে পারেন। অন্য হাত দিয়ে মাথা। চেপে ধরে রাখতে পারে যাতে বাচ্চার মাথা হঠাৎ করে বেরিয়ে না পড়ে।

নিচের ছবিটি দেখুন

 

৩। কাপড় গরম জলে ভিজিয়ে, গরম সেক (কম্প্রেস) দিয়েও যোনির নিচের অংশ ছিড়ে যাওয়া রক্ষা করা যেতে পারে। যখন যোনির মুখ খুলে যেতে থাকবে, তখন এভাবে সেক (কম্প্রেস) দিতে পারেন।

যোনি ছিড়ে গেলে, যে লোক ভালভাবে সেলাই করতে পারে তাকে। দিয়ে সেলাই করিয়ে নেবেন। তবে এ  ধরনের সেলাই শুধুমাত্র বাচ্চা স্বাভাবিকভাবে হওয়া এবং গর্ভফুল পড়ে যাওয়ার পরেই করতে হবে।



Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post