মা  শব্দ টা সবার কাছে প্রিয় এবং খুব সন্মানের । আমরা সবাই এই সুন্দর ধরনীতে এসেছি মায়ের মধ্য দিয়ে । মা সবসময় তার নিজের সন্তান্দের নিরাপদে রাখার জন্য অনেক সময় ব্যায় করেন। অনেক কিছু করে থাকেন নিজের জন্য সময় দিতে পারেন না। পরিবেশের ও সমাজের দায়ভার থেকে নিজেকে মা কখোনা দূরে থেলে দেন না শুধু মাত্র তার নিজের সন্তান্দের আনন্দ ও সুখে রাখার জন্য । মা সন্তান্দের জন্য কি কি করেন আমরা যদিও সবাই জানি তবুও একটু চোখ বুলিয়ে নিয়ে দেখি কি কি করেন প্রত্যেক মা। প্রত্যেকদিন মা কি করেন

ভোরে ঘুম থেকে উঠেন, রন্না বান্না করেন , হাড়ি পাতিল ধোয়া মোছা করেন, ঘর ঝাড়ু দেন খাবার টেবিল পরিষ্কার করেন , সকালের নাস্তা তৈরি করেন,  মাছ বা মাংস পরিষ্কার করেন, এরপর সবজি কাটেন , মাছ বা মাংসর সাথে সবজি যোগে তরকারি রান্না করেন। শিশুদের কাপড় ধোয়া মোছা করেন, দাঁত ব্রাশ করতে বলেন, এরপর নাস্তা খাওয়ান শিশুদের নিজে নাস্তা পরে করেন, সন্তান্দের স্কুলে বা প্রাইভেট কোচিং এ নিয়ে যাওয়ার জন্য ড্রেস আপ করান, স্কুল ব্যাগ বই খাতা কলম সহ খাবার টিফিন বক্সে ভরে  প্রস্তুত করেন , জুতা পরিষ্কার করেন, জুতা পায়ে পড়িয়ে দেন, সাথে মোজা পড়িয়ে দেন, স্কুলে নিয়ে যান, শিশু যদি ৪ থেকে ৭ বছরের হন তাহলে স্কুলের অপেক্ষামান সারিতে বসে পুনরায় শিশুর ক্লাস শেষ হলে বাসায় নিয়ে আসেন, এরপর শিশুর জন্য খাবার দাবার আয়োজন করা, গোসল করানো, ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া, নিজের খাবার খাওয়া, হাড়িপাতিল ধোয়া মোছা করা, খাবার টেবিল পরিষ্কার করা,  থালা বাসন ধোয়া মোছা করা, নিজের কাপড় ধোয়া, ধোয়া কাপড় গুলি বাইরে রোদ্রে শুকাতে দোওয়া, শুকিয়ে গেলে পুনরায় বাসায় নিয়া আসা, বিকাল বেলা সন্তাদের জন্য পড়টা, পুড়ি ইত্যাদি সধ্যমত তৈরি করে খাওয়ানো, রাতের জন্য আবরো রাতে খাবার তৈ্রি করা, পরিবারের জন্য একজন মা প্রতিদিন এই সব কাজ করে থাকেন। তাহলে নিজের জন্য সময় কই । তাই বলে থাকে মেয়েরা কুড়িতেই বুড়ি । কেন হয় যদি উক্ত কাজ একজন জনক করতো তার বেলাতেও একি ফল হত ।  

এখন আসি  মা ২ জন হলে ১০, ৩ জন হলে ১৫, ৫ জন হলে ২৫; ৭ জন হলে ৩৫ বছর কেন । 

আমাদের সবার মা আছে , একজন মা সব কাজ করেন কিন্তু সর্ব প্রথম যে কাজটি না করলেই নয় সেটা হচ্ছে শিশুকে স্তন্য পান (মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো) করানো ।  


সাধারণত একজন  শিশুর জন্য পাঁচ বছর ধরে বুকের স্তন দিতে হয় , একজন জননির  বুকের 
এখন শিশু যদি থাকে  দুজন প্রতি জননীর লাগবে ১০ বছর লাগছে, ৩ জন হলে ১৫ বছর লাগছে, ৫ জন হলে ২৫ বছর এবং ৭ জন হলে ৩৫ বছর একজন মা কে সময় দিতে হয় সন্তাদের পিছনে । এত সময় দিচ্ছেন সন্তানদের পিছনে জীবনে কতটুকু সময় প্রত্যেক মা পাচ্ছেন নিজেদের আলাদা করে ভাববার বা নিজেদের জীবনকে একটু রাঙ্গিয়ে নেবার । চাকরীজিবী মা দের জন্য বিষয়টা আরো বেশী চ্যালেঞ্জের আরো বেশী পরিশ্রমের । কারণ একদিকে সংসার, সমাজ, নিজের কেরিয়ার সামলিয়ে নিজের জন্য আলাদা করে কিছু সময় বের করা সত্যি হার্ড টু সে। নিজের জন্য আলাদা সময় বের করা যেন সুচের মাধ্যে দিয়ে নিজের আঙ্গুল কে প্রবেশ করানো । তবুও কিন্তু সার পৃথিবীতে প্রত্যেক মা পুরুষের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন এবং সংসার ও কেরিয়ার দুটোই সমান ভাবে তালে তাল রেখে নিজের জন্যে সময় দিচ্ছেন । প্রত্যেক মা সন্তান ১০ মাস সন্তান ধারন করার পর থেকে নিজের জন্য আলাদা করে যে সময় পাবে বা সময় নিতে হবে সেতা তারা জানে ঠিক কিন্তু সময় এবং বস্তবতায় তা হারিয়ে যায় অতল গহ্বরে । 
একটা সত্যি গল্পের কথা বলি একদিন স্বামী তার স্ত্রীকে বললেন আমি ডিবোর্স চাই । স্ত্রী বললেন কেন । আমাদের ৩ জন সন্তান আছে তার বড় হয়ে গেছে এখন কি সমস্যা ? স্বামী উত্তরে বললেন তোমার কপাল গুলো কুচকে গিয়েছে, গাল গুলো কেমন জানি হয়ে গেছে সব চেহারাটাই অসমসৃণ হয়ে গিয়েছে । আমার একজন ভালো চেহারার স্ত্রী সংগী চাই । স্ত্রী রাজী হয়ে গেল । যথা রীতি তারদের মধ্যে বিচ্ছেদ ডিবোর্স হয়ে গেল । এখন কী করেবে স্ত্রী তার অনেক সময় নিজেকে সময় দেবার । অন্য দিকে স্বামী নতুন সঙ্গী পেল এবং চাকরী ভালো চলছিল কিন্তু ব্যাবসা ভাল চলছিল না । কারণ কী আগের স্ত্রীর মত বর্তমানের স্ত্রী রান্না বান্ন নিজে করেনা । বাইরে বেশী খেতে হয় । তাই দেখা যায় তার সাস্থ্য ভালো যাচ্ছিলো না। অন্য দিকে সংসারে অনেক সময় দিতে হতো স্বামী নিজেকেই কারন বর্তমানের স্ত্রী তেমন সংসারী না। নিজেকে নিয়ে ব্যাস্ত থাকে বন্ধু বন্ধব ও আত্নীয় স্বজন নিয়ে ব্যাস্ত থাকে বেশী । ফলে দেখা দিল তার ব্যাবসায় ক্ষতি পুনরায় বিচ্ছেদ হলো । একদিন পার্কে বসে ভাবছিল আগের দিনের কথা স্বামী হঠাৎ করে দেখতে পেলে তার সামনে দিয়ে একজন মার্জিত মহিলা যাচ্ছে । সে স্বামী টি বলল নিজে নিজে এই মহিলাকে আমার এত পরিচিত লাগছে কেন আমি যেন একে কোথায় দেখেছি । ভালো করে দেখলো মহিলাটিকে বয়স্ক লাগছে কিন্তু এত মসৃণ সুন্দর চেহারার  অধকারী ভালো করে দেখে চিনতে পারলো । প্রকৃ্ত পক্ষে মহিলাটি হচ্ছে সে লোকটির আগের স্ত্রী । তাই প্রত্যেক মা নিজেদের জন্য যদি সময় বের করে নিতে পারেন তাহলে তাদের জন্য সেতা খুব ভালো কথা কিন্তু যদি না পান তাহলেও কিছু  যায় আসে না কিন্তু প্রত্যেক মা তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কিন্তু সঠিক এবং খুব কঠিন পরিশ্রমী অবস্থানে থাকেন । 








Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post