গারোদের বর্তমান নাজুক  অর্থনৈ্তিক দুরাবস্থার কারণ ও করণীয় ঃ

আমরা যদি বর্তমানে আমাদের চারপাশে চোখ মেলে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো গারোদের বর্তমান অবস্থা খুব করুণ এবং নাজুক । যা শোচনীয় ভাবে পরিলক্ষিত হবে । পূর্বের দিনগুলিতে তাকালে দেখা যায় যে গারোদের গোয়াল ভরা গরু, গোলা ভরা ধান ছিল । মাইলের পর একরের পর একর জমি ছিল । যা আজ বিলীন হয়ে গেছে । এখন দেখা যায় বেশীর ভাগ গারোরা নিজেদের জমি হারিয়ে নিজেরাই নিজেদের জমিতে দিন মজুর হিসেবে দিনানিপাত করেছে এমন দেখা গিয়েছে অগ্রিম শ্রম বিক্রি করছে । আমার গ্রামের চারপাশে আমার বাড়ীর পাশে চিত্ত মরল নামে একজন ছিল  । তাছাড়াও বৌদ্দনাথ মড়ল নামে আরো একজন ছিল যার তত্তাবধানে সম্পুর্ণ গোটা জলছত্র বাজার ছিল তার দখলে তাদের জমি হিসেবে । কিন্তু এখন দৃশ্যপট এখন উল্টো হল কেন । কেন হল এমন কোথায় গেল এমন মড়ল অবস্থা কেন গেল আমাদের সবার খোঁজে দেখা দরকার শুধু গারো দের বেলায় নয় অনেক আদিবাসীদের খোজে দেখা দরকার । বর্তমানে গারো আদিবাসীদের আর্থীক দুরাবস্থার জন্য কি কী কারণ রয়েছে তা নিম্নে আলোকপাত করা হল ঃ

১. শুধু কৃষি ভিত্তিক অর্থনৈ্তিক কর্মকান্ড, অন্য পেশা ও বৃত্তিমূলক কাজ অবলম্বন না করা। 
২. ভূমির প্রতি অনাসক্তি  ও উদাসীনতা , দেশের ভূমি ব্যবস্থা ও ভূমি আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা । 
৩.কৃ্ষি কর্মে অদক্ষতা, ভূমির উপর জনসংখ্যার  বৃ্দ্ধির চাপ । 
৪.চুরি ডাকাতির ফলে, বহিরাগত অর্থাৎ অন্য জায়গার লোক এসে বসতি স্থাপন যাকে সেটেলার বলা চলে ।
৫. ১৯৫০ কিংবা ১৯৬৪ খ্রীষ্টাব্দে ঘটেছিল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা , প্রতিকূল ও অস্থিতিশীল রাজনীতি । 
৬. ঐতিহ্যগত উত্তরাধিকার আইন, সাথে বিভিন্ন কারণে মামলা মকদ্দমা, 
৭.উত্তরাধিকার ভূমি বন্টন জনিত ঝগড়া বিবাদ ও মামলা মকদ্দমা । 
৮.সরলতা , অলসতা ও অমৃতব্যয়ীতা । 
৯.না বুঝে চক্রবৃ্দ্ধি হারে ঋণ গ্রহন, পরে ভুমি হারানো । 
১০. দুরদর্শিতা ও সচেতনতার অভাব , জীবন সংগ্রামের প্রতিযোগীতার অভাব । 
১১. অতিরিক্ত মদ্যপান , 
১২. সঞ্চয়ী মনভাবের অভাব । 
১৩.প্রতারণ ও প্রবঞ্চনার স্বীকার, বার বার দেশ ত্যাগ, বন্ধকী ও মহাজনের প্রথার করণে । 
১৪. ব্যাঙ্ক ঋণ গ্রহনের কারনে , গারো ছেলে মেয়েদের কাজ কর্মে অবহেলা , শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা
১৫, পরিবার পরিচলানায় অদক্ষ । পরিকল্পনাবিহীন পরিবার পরিচালোনা করা । 
১৬.ভবিষ্যত চিন্তা ভাবনা না করা । 
১৭. কুটীর শিল্পের প্রতি অনিহা , সম্পত্তি যার তার হাতে বিক্রি এবং সঠিক মূল্য না পাওয়া । 
১৮. চড়া সুদে বাংক ও মহাজনী ও বন্ধকীর জন্য চক্র বৃদ্ধি সুদ বেড়ে গিয়ে মহাজনের কাছে সকল জমি কম দামে বিক্রি করা । 







 

Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post