DTPA রেনোগ্রাম-এই টেস্ট টা গুরুত্বপূর্ণ ,আপনার কিডনি যত ভালোই কাজ করুক না কেন,এই টেস্ট এর মাধ্যমে ডোনার এর দুইটি কিডনি এর মধ্যে কোন কিডনি কতটুকু কাজ করছে সেটা জানার জন্য এই টেস্ট করা হয়।

👉উদহারণ -যেমন আপনার ডোনার এর একটা কিডনি কাজ করছে ৮০ ভাগ আরেকটা কিডনি কাজ করছে 20 ভাগ সেখানে ডোনার এর কিডনি নিবে না কারণ ডোনার এর যে কিডনি শক্তিশালী সেটা ডোনার এর জন্য রেখে দিবে আর যেটা কম কাজ করে সেটা আপনাকে দিবে ,২০ ভাগ কাজ করা কিডনি ডাক্তার আপনাকে দিতে সম্মত হবে না।সাধারণত দুইটা কিডনি সমানভাবে কাজ করতে হবে অথবা ১৯ থেকে ২০ হলে ডাক্তার এলাও করতে পারে,যেমন আমার ডোনার এর যেটা দুর্বল সেটাও ৪৮ ভাগ কাজ করতো ৫০ এর মধ্যে,এজন্য DTPA টেস্ট বাংলাদেশ থেকে করে যাওয়া ভালো এবং অভিজ্ঞ nephrologist এর ওপিনিয়ন নেওয়ার পর যারা দেশের বাহিরে ট্রান্সপ্লান্ট করবে তাদের যাওয়া উচিত,তাহলে ওখানে যাওয়ার পর ডোনার রিজেক্ট হওয়ার চান্স কম।

💢 কিডনি প্রতিস্থাপনের সময় এবং পরে আমাকে কি ওষুধ খেতে হবে,এটা কতদিন?

উত্তর-কিডনি যখন আপনি কারো কাছ থেকে নিতে চাবেন,তার মানেই হলো এটা আরেকজনের জিনিস,আল্লাহ প্রদত্ত আপনার নিজের না।সুতরাং সেটা খুব সাধারণভাবেই আপনার শরীর মানতে চাবে না এবং আপনার শরীর এর ইমিউনিটি সিস্টেম ওটাকে আক্রমণ করবে এবং ওটাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করবে,এজন্য আপনাকে আপনার ইমিউন সিস্টেম যাতে অন্যের দেওয়া কিডনিকে নষ্ট করতে না পারে সেজন্য আপনাকে আপনার ইমিউন সিস্টেম কে দমিত রাখার জন্য immunosuppressive ঔষুধ খাইতে হবে।

এই immunosuppressive ঔষুধ সাধারণত দুই ধরণের-

 ১। induction drug -এটা অনেক শক্তিশালী এন্টিরিজেকশন ড্রাগ যা প্রতিস্থাপন অপারেশন এর সময় ব্যবহার করা হয় এগুলো এক বা একাধিকবার ব্যবহার করা হয়ে থাকে যাতে অপারেশন এর সময় বা পর পর rejection এবং hyperaccute রিজেকশন না হয়।hyperaccute রিজেকশন হলো অপারেশন এর সময় রিজেকশন হওয়া ,যেটা ভয়াবহ যদিও এসব induction ড্রাগ এর কারণে এখন খুবই খুবই কম hyperaccute রিজেকশন হয়।

 ২। maintainance immunosuppressive Drug -এই ড্রাগগুলো প্রতিস্থাপন এর পর দীর্ঘদিন বা সারাজীবন খেতে হয়,এইগুলো সাধারণত চার ধরণের হয় :-

 Calcineurin Inhibitors: Tacrolimus and Cyclosporine

 Antiproliferative agents: Mycophenolate Mofetil, Mycophenolate Sodium and Azathioprine

 mTOR inhibitor: Sirolimus, Everolimus etc.

 Steroids: Prednisone etc.

এই ড্রাগ গুলো নেফ্রোলজিস্ট সিদ্ধান্ত নিবে কোন ড্রাগ কত মাত্রায় আপনার জন্য ব্যবহার করবে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে.



উপরোক্ত ওষুধগুলোর বাহিরেও Antiviral ড্রাগ এবং আপনার সমস্যা অনুযায়ী ওষুধ ডাক্তার দিবে যেমন-আপনার blood pressure থাকলে তার জন্য ওষুধ অথবা diabetics থাকলে আলাদা তার জন্য ইত্যাদি ইত্যাদি।

 👉 ট্রান্সপ্লান্ট পরবর্তী Rejection কি এবং rejection ঠেকানোর জন্য ডাক্তার কি কি চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে?  

উত্তর- আপনি যখন আপনার শরীরে অন্য কারোর অংশ জোরপূর্বক নিজের বানানোর চেষ্টা করবেন তখন সে তা মানতে চাবে না এবং প্রতিবাদ করা শুরু করবে,এই প্রতিবাদ যখন আন্দোলনে রূপ নিবে তখন আপনার শরীর থেকে সে বিচ্ছিন্ন হওয়ার চেষ্টা করবে এবং আপনাকে প্রত্যাখ্যান করতে শুরু করবে, এটাই রিজেকশন।

 😇রিজেকশন সাধারণত তিন ধরণের- 

১,hyperaccute rejection - এই ধরণের রেজেকশন প্রতিস্থাপনের কিছু সময় বা কিছু মিনিট এর মধ্যেই হয়ে থাকে।যখন antigen পুরোপুরি ম্যাচ না হয় তখন এই rejection হয়ে থাকে। 

২।Accute rejection-এই ধরণের rejection সাধারণত অপারেশন এর পর,প্রথম সপ্তাহ থেকে তিন মাস এর মধ্যে বা সার্জারির বেশ কিছু মাস পরেও হতে পারে বা হয়ে থাকে.

৩।chronic rejection-এই rejection আস্তে আস্তে আগাইতে থাকে এবং বেশ কিছু বা অনেক বছর সময় নিতে পারে এবং ধীরে ধীরে creatinine বাড়তে থাকে ।নিজের আসল রোগ যেমন :অটোইমিউন ডিসর্ডার,যার কারণে নিজের কিডনির ক্ষতি হয়েছিল তা আবার নতুন করে ফিরে আসলে/আক্রমণ করলে ক্রনিক rejection হয়ে থাকে,আবার ধীরে ধীরে এন্টিবডি ইফেক্ট এর জন্যও ক্রনিক রেজেকশন হতে পারে.

এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে rejection হতে পারে যেমন -

 ব্লাড clot হলে,প্রতিস্থাপিত কিডনি রক্ত সাপ্লাই না পেলে

 💦💧ব্যাকটেরিয়াল বা ফাংগাল ইনফেকশন হলো কিন্তু ঠিকমতো চিকিৎসা নিলেন না বা গাফিলতি করলেন।

ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন কন্ট্রোল,কালচার এবং এন্টিবাযোটিক্স এর ব্যাপারে 

টপিকস : ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন/কালচার/এন্টিবায়োটিক্স।

কিছুটা দীর্ঘ এবং গুরুত্বপূর্ণ,মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ করছি। 

🌈 ইনফেকশন এর বাংলা হলো সংক্রমণ।ব্যাক্টেরিয়ার দ্বারা সংক্রমণ কে বলা হয় ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ বা ইনফেকশন ।এই খারাপ ব্যাকটেরিয়া আপনার শরীরের ভিতর থাকার কথা না কিন্তু এটা আপনার শরীরে ঢুকছে অন্য কোনো সংক্রামিত মানুষের মাধ্যমে যে আগে থেকেই এফেক্টেড ছিল বা খাবারেই মাধ্যমে বা পানির মাধ্যমে যেখানে আগে থেকেই খারাপ ব্যাকটেরিয়া ছিল ইত্যাদি ।মোদ্দা কথা হলো ব্যাকটেরিয়া একধরণে জীব যা হানা দেয় এবং আপনার অসুস্থতা তৈরী করে।আরেকটা কথা,খারাপ ব্যাকটেরিয়ার পাশাপাশি ভালো ব্যাকটেরিয়াও কিন্তু আছে যেমন দই এ প্রোবায়োটিক্স থাকে ওই ব্যাকটেরিয়া গুলো ভালো ব্যাকটেরিয়া.

⚡️ব্যাকটেরিয়া আপনার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে এটাক করতে পারে যেমন:ব্লাডার,স্কিন,লাং,ব্রেন ইত্যাদি।ব্যাকটেরিয়া এটাক করলে বিভিন্ন ধরণের সিম্পটম আসতে পারে ইন জেনারেল জ্বর,দুর্বলতা ইত্যাদি।আবার অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া আপনার শরীরে লোকাল এটাক এর কারণে শরীরের কোনো লোকাল জায়গায় ইফেক্ট ফেলতে পারে যেমন স্কিন এ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমনিতো হলে ওই জায়গায় লাল বর্ণ বা ফুলে যাওয়া বা ব্যাথা অনুভব হতে পারে ।আবার লাং এ ইনফেকশন হলে প্রোডাকটিভ কফ হতে পারে বা শ্বাস নিতে চাপ চাপ বা ব্যাথা অনুভব হতে পারে, ইত্যাদি।

এই ব্যাকটেরিয়া গুলা আবার বিভিন্ন নামের এবং ধরণের হয়ে থাকে ,আবার এটাক এর জন্য যেখানে তার স্প্রেড বা এটাক করা সুবিধা সেই জায়গা গুলা বেঁছে নেয় যেমন -

🦠E .Coli-এই ব্যাকটেরিয়া সাধারণত আপনার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্রাক্ট এ ডিস্ট্রেস তৈরী করে এটা নিজে নিজে resolve হয় তবে মাঝে মাঝে ফ্যাটাল বা সিভিয়ার আকার ধারণ করে ।এই ব্যাকটেরিয়া সাধারণত ছড়ায় বা ছড়াতে পারে  খাবার বা রান্না না করা সবজি বা সালাত এর মাধ্যমে।

🦠Streptococcus pneumoniae এবং 

Mycobacterium tuberculosis bacteria-এই হারামজাদাগুলো লাং বা শ্বাসতন্ত্রেএ এটাক করে যা tuberculosis বা ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়ার কারণ ।এগুলো সাধারণত ছড়ায় ইনফেক্টেড মানুষের হাঁচি কাশির এয়ার পার্টিক্যাল এর মাধ্যমে ।

🦠Bacterial vaginosis-এর মাধ্যমে মেয়েরা সংক্রমনিতো হয়।

ইত্যাদি এরকম আরো ব্যাকটেরিয়া আছে যেগুলোর দ্বারা মানুষ আক্রান্ত হতে পারে।

Diagnosis : - আপনার ডাক্তার প্যাটার্ন ,সিম্পটম,সিভিয়ারিটি ,টেস্ট ইত্যাদির  উপর ডিপেন্ড করে ডায়াগনসিস করবে আপনি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত হয়েছেন কিনা।

🌈 কালচার টেস্ট এবং এন্টিবাযোটিক্স :- এই ব্যাকটেরিয়া আপনার শরীরে আছে কিনা সেটা নির্ধারণের জন্য সর্বাধিক এবং নির্ভরযোগ্য টেস্টের এর নাম হলো কালচার,এটার মাধ্যমে আপনি কোন ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত হয়েছেন সেটার নাম এবং ওটাকে মারার জন্য কোন এন্টিবাযোটিক্স কাজ করবে সেটির নাম উঠে আসে। 🚩 এই টেস্ট টি করতে স্যাম্পল দেওয়ার পর তিন দিন বা ৭২ ঘন্টা পর রিপোর্ট ডেলিভারি দেয় সাধারণত.

⚡️এছাড়াও আপনার সিম্পটম এর উপর ডিপেন্ড করে এই Blood কালচার বা অন্য কোনো ফ্লুইড আগে প্রিলিমিনারী কিছু টেস্ট করতে দিতে পারে যেমন  জ্বর থাকলে বা দুর্বলতা দেখলে cbc with ESR এই টেস্ট এর মাধ্যমে আপনার white Blood cell কাউন্ট বের হয়ে আসবে এটা বাড়তি থাকলে সাধারণত বুঝায় আপনার শরীরে ইনফেকশন থাকতে পারে ,কারণ সাধারণত ইনফেকশন এর সাথে যুদ্ধ করার জন্য wbc বাড়তি হয় এটা উদহারণ হিসেবে বললাম আরো বেশ কিছু ইন্ডিকেশন আছেই যেগুলো আপনার ডাক্তার বিবেচনায় আন্তে পারে এবং রক্ত কালচার করার জন্য ল্যাব এ পাঠাতে পারে।

⚡️আবার ধরেন আপনার মূত্রে জ্বালাপোড়া হচ্ছে তখন কালচার করার আগে urin,routin microscopic exam /rme করতে দিলো এবং সেখানে ইন্ডিকেশন যদি আসে আপনার puscell বেশি বা epithelial সেল বেশি বা red blood cell যাচ্ছে বর্ডার লাইন এর বেশি তখন ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন চিহ্নিত বা আছে কিনা কন্ফার্ম করার জন্য urine স্যাম্পল কালচার এ পাঠাতে পারে ।

✳✅🚩ইউরিন কালচার স্যাম্পল দেওয়ার সময় মেয়েদের অবশ্য যে বিষয় খেয়াল রাখা উচিত🚩✅✳

🎗মেয়েদের জেনিটাল অর্গান বায়োলজিক্যাল বা গঠনগত কারণে ছেলেদের থেকে আলাদা হয় তাই ছেলেদের ইউরিন স্যাম্পল দেওয়ার সময় ইউরিন কন্টামিনেশন হওয়ার চান্স খুব কম থাকে কিন্তু মেয়েদের জেনিটাল অর্গান পাশাপাশি থাকাতে ইউরিন পাস্ বা স্যাম্পল দেওয়ার সময় অসাবধাণতার কারণে স্কিন ব্যাকটেরিয়া বা ইন্টেস্টাইনাল পেটের ব্যাকটেরিয়া ইউরিন টিউব বা জারে চলে আসতে পারে তখন ফলস রিপোর্ট আসতে পারে কালচারে তাই 🚩ল্যাব ইন্সট্রাকশন্স ফলো করবেন এবং মিড্ স্ট্রিম ইউরিন অর্থাৎ ইউরিনের শুরুতে এবং শেষের মাঝের ইউরিন যেটায় ফোর্স বেশি থাকে (মনে রাখবেন শুরু এবং শেষের সময়ের ইউরিনে ফোর্স কম থাকে তাই স্কিনে লেগে ইউরিন স্যাম্পল টিউবে পড়ার চান্স থাকে) এবং আশপাশে স্কিনের লাগার চান্স কম থাকে বা থাকেনা তখন সেটা স্যাম্পল টিউবে দেওয়া উচিত একইসাথে ইউরিন স্যাম্পল যাতে কন্টামিনেশন না হয় অর্থাৎ ইউরিন করার সময় যাতে আশেপাশে লেগে যাতে স্যাম্পল টিউব বা জারে না পরে সেজন্য আসেপাশে ভালো করে ব্যাকটেরিয়াল ওয়েট ওয়াইপ বা ওয়েট টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার বা সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ড্রাই বা শুকনা টিস্যু দিয়ে মুছে নেওয়া উচিত. 

⚡️আবার ধরেন কাশি হচ্ছে ,যে কাশি দেখতে হলুদ যাকে আমরা বলি পাকা কাশি ,আপনার ওই কফ/sputum কালচার করতে পাঠাতে পারে দেখতে যে কোনো ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত হয়েছেন কিনা এবং কোন এন্টিবাযোটিক্স কাজে দিবে ।আবার কালচার এর সাথে চেস্ট বা বুকের x ray করতে দিয়ে দেখতে পারে যে lung এর অবস্থা কি বা congestione আছে কিনা।

⚡️আবার গলায় ব্যাথা থাকলে গলার ভিতর থেকে throat swab নিয়ে কালচার করে দেখতে পারে গলায় ব্যাথা হওয়ার জন্য কোনো ব্যাকটেরিয়া দায়ী কিনা।

তেমনি শরীরে কোনো ফোড়া বা পুঁজ হলেও ওখান থেকে কালেকশন নিয়ে কালচার করতে পারে।


🔥এন্টিবাযোটিক্স খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি : আমরা প্রায় সময় একটু ঠান্ডা জ্বর হলেই এন্টিবাযোটিক্স এর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ি বা ওষুধের দোকান থেকে এজিথ্রোমাইসিন বা সিপ্রোফ্লোক্সাসিন কিনে খাওয়া শুরু করি যেটা আসলে কখনোই উচিত না বা খেলেও ডাক্তার এর পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত না। কালচার টেস্ট ছাড়া আন্দাজে antibiotics খাওয়া একটি অনুচিত কাজ কারণ আপনি যে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন সেই ব্যাকটেরিয়া যে এন্টিবাযোটিক্স মারতে পারবে সেটা কালচার টেস্ট মাধ্যম ছাড়া বোঝা যায় না .

ধরেন আপনার কাশি হলো,আপনি করলেন কি ডাক্তার এর সাথে কথা না বলে অনুমানের উপর নির্ভর করে এন্টিবাযোটিক্স খাওয়া শুরু করলেন ,এখন আপনি যে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন,সেই ব্যাকটেরিয়া আপনার  ওই এন্টিবাযোটিক্স এর চেয়ে শক্তিশালী বা আপনি যে এন্টিবাযোটিক্স খাচ্ছেন সেটি ওই ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধের শক্তি নাই বা রেসিস্টেন্স তখন আপনার আর ওই এন্টিবাযোটিক্স কাজ করতে পারবেনা বা সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে যেটা অনেক বেশি ক্ষতিকর।

আবার অনেক সময় দেখা গেলো যে যেই এন্টিবাযোটিক্স খাচ্ছেন ওই এন্টিবাযোটিক্স কালচার এ সেনসিটিভ আসলো অর্থাৎ আন্দাজে কমন পরে গেছে বা ঝরে বক মরছে।

যেকোনো ইনফেকশন এ উচিত কালচার করে এন্টিবাযোটিক্স খাওয়া আবার এন্টিবাযোটিক্স এর dosage শেষ করে চেক করা ওয়াই ব্যাকটেরিয়া একবারে খতম হয়েছে কিনা ।

আমাদের দেশের ডাক্তাররা যদি কালচার বারবার করাইতে যায় antibiotics খাওয়ার আগে আবার antibiotics খাওয়ার ডোজ শেষ হওয়ার পর দেখতে যে ব্যাকটেরিয়া মরছে কিনা তাহলে রোগীরা ডাক্তার দেড় গালি দিবে বলবে,যে কথায় কথায় টেস্ট এর নামে টাকা খাওয়ার ফন্দি।তাই আমাদের দেশের ডাক্তাররা ইন জেনারেল কিছু এন্টিবাযোটিক্স অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও prescribe করতে বাধ্য হন,গড়বাধা।

হাঁ অনেক সময় কালচারে ব্যাকটেরিয়া গ্রোথ না পাওয়া গেলেও নেফ্রোলজিস্ট / ডাক্তার এন্টিবাযোটিক্স এর ব্যাকআপ দিতে পারে তাকে সেফ সাইডে রাখার জন্য এটা ট্রান্সপ্লান্ট nephrologist এর এক্সপেরিয়েন্স এবং প্রাকটিস এর উপরও ডিপেন্ড করে, সেটা আলাদা কথা। আবার অনেক সিভিয়ার ক্ষেত্রে বা icu রোগীকে পাওয়ারফুল এন্টিবাযোটিক্স চালু করতে হয় তাৎক্ষণিক ,সেগুলো ভিন্ন কথা বা এক্সেপশন।তাই সঠিক উপায় ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ নির্মূল করার জন্য কালচার এর মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক খুঁজে চিকিৎসা নেওয়া উচিত, এটাই সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য গাইডলাইন |

💦☔️ক্রনিক কিডনি রোগীর ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ প্রতিরোধ বা নির্মূল এর উপায় : ক্রনিক কিডনি রোগীর ক্ষেত্রে ইনফেকশন কন্ট্রোল এর কোনো বিকল্প নাই।ক্রনিক কিডনি রোগীর এর ক্ষেত্রে যদি কোনো ধরণের শারীরিক abnormality দেখার সাথে সাথে নেফ্রোলজিস্ট এর শরণাপন্ন হবেন, জ্বর বা শারীরিক দুর্বলতা দেখলে ওনারা cbc বা ইউরিন এর রুটিন রিপোর্ট দেখে বা শরীরের যেখানকার ইনফেকশন হয়েছে সেখানকার স্যাম্পল কালচার এ পাঠাতে পারে .

Nephrologist, ইনফেকশন এর ধরণ অনুযায়ি স্যাম্পল কালেক্ট করে কালচার করতে পাঠাবেন (example:অর্থাৎ যদি কাশি দেখেন তাহলে কফ কালচার এ পাঠাবেন আবার রক্ত কালচার এ পাঠাতে পারেন একই সাথে ) তারপর সে অনুযায়ি রিপোর্ট দেখে কিডনি সেফ  Antibiotics দিবেন বা creatinine ক্লিয়ারেন্স দেখে বিশেষ করে শেষ স্টেজ এর রোগীদের dosage অ্যাডজাস্টমেন্ট করবেন এবং কতদিন খেতে হবে সেটা নির্ধারণ করবেন।ডায়ালাইসিস রোগীদের  ক্ষেত্রে একই রকম করবেন ,যারা ক্যাথেটার দিয়ে ডায়ালাইসিস করেন অনেক সময় ক্যাথেটার ও কালচার করতে পাঠান কারণ ক্যাথেটার এর মাধ্যমেও ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হতে পারে।**একটা জিনিস মনে রাখবেন সঠিক এন্টিবাযোটিক্স এর মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া না মারলে creatinine দ্রুত বেড়ে যাবে যেখান থেকে সেপ্টেসেমিয়া বা সারা শরীরে  ইনফেকশন ছড়াইয়া যেতে পারে যেটা মারাত্মক।

💦☔️কিডনি প্রতিস্থাপন রেসিপিয়েন্টদের ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ এবং প্রতিকার : এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ,মনে রাখবেন কিডনি প্রতিস্থাপনকারীদের ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ এর জন্য সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে হয় তাই আপনি শরীরে কোনো ধরণের জ্বর,দুর্বলতা ,চামড়ায় কোনো ঘাঁ,পুঁজ বা মূত্রে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি দেখা মাত্রই ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলজিস্ট এর শরণাপন্ন হতে হবে ।কিডনি রোগীরা যেহেতু ইম্মুনোসাপ্রেসিভ ওষুধ খায় তাই তাদের সংক্রমণ সাথে সাথে রোধ করার জন্য কালচার টেস্ট এবং অন্নান্ন পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক এন্টিবাযোটিক্স গ্রহণ এর মাধ্যমে infection নির্মূল এর কোনো বিকল্প নাই।আর তা না হলে অর্থাৎ ইনফেকশন পুষে রাখলে গ্র্যাফ্ট কিডনি তে খারাপ ইফেক্ট পড়বে এবং কিডনি ফাঙ্কশন ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

💦💦পৃথিবীর ভালো ভালো ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিট গুলো কথায় কথায় ইনফেকশন identify করার জন্য কালচার করে এবং তার সংশ্লিষ্ট টেস্ট গুলো করে,এজন্য তাদের এভারেজ কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সাকসেস রেট এখন ১৫ থেকে ২০ বছর। 

আর বাংলাদেশ এ এমন ট্রান্সপ্লান্ট রেসিপিয়েন্ট  আছে পাতলা পায়খানা বা মূত্রে জ্বালাপোড়া করলে ডাক্তার এর কাছেই যায় ১৫ দিন পরে ততদিনে ট্রান্সপ্লান্ট কিডনির ১২ টা বাজাইয়া ফেলাইছে ।আবার immunosuppressive খাওয়ার কারণে ইমিউনিটি কম থাকে তাই দ্রুত ইনফেকশন কন্ট্রোল করা উচিত না হলে গ্র্যাফ্ট লস থেকে শুরু করে ভয়ঙ্কর septicaemia পর্যন্ত হতে পারে ।তাই কোনো abnormality শরীরে দেখলেই nephrologist এর শরণাপন্ন এবং টেস্ট এর কোনো বিকল্প নাই আপনি যত ভালোই থাকেন না কোনো |

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ অনেক সময় এন্টিবাযোটিক্স নিজে নিজে শুরু করলেন কিন্তু কাজ করছে না এখন আপনি যদি ফ্লুইড স্যাম্পল কালচার করতে দেন এন্টিবাযোটিক্স খাওয়া অবস্থায় তাহলে রিপোর্ট সঠিক আসবেনা । তখন আপনার নেফ্রোলজিস্ট ৪৮ ঘন্টা বা ৭২ ঘন্টা ওই এন্টিবাযোটিক্স বন্ধ করে কালচার করতে দিবেন ,এটাই নিয়ম সঠিক রিপোর্ট আসার।

 🔥🔥🔥রিপোর্ট এনালাইসিস 🔥🔥🔥

-খেয়াল করুন এটা আমার বেশ কিছুদিন আগের sputam/কফ কালচার রিপোর্ট।

এখানে কালচার রিপোর্টে দেখুন যে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আমি সংক্রামিত হয়েছিলাম তার নাম কমলা রং দিয়ে মার্ক করা নাম - staphylococcus aureus।

এখন এই ব্যাকটেরিয়া আমার সংক্রমণ এর জন্য দায়ী।এখন এই ব্যাকটেরিয়া মারার জন্য যে এন্টিবাযোটিক্স /গুলি বারুদ লাগবে সেটার নাম এর লিস্ট নীল কালী দিয়ে মার্ক করা ,এখন এখানে বিভিন্ন এন্টিবাযোটিক্স এর নাম আছে কোনোটার পাশে S লেখা আবার কোনোটার পাশে R লেখা । S মানে সেনসিটিভ অর্থাৎ ওয়াই হারামি ব্যাকটেরিয়াকে যে এন্টিবাযোটিক্স নাম এর পাশে S লেখা ওগুলা মারতে পারবে কিন্তু যে এন্টিবাযোটিক্স নাম এর পাশে R লেখা মানে resistance অর্থাৎ মারার শক্তি  নাই।এখন আমি কালচার না করলে জানতে পারবো না যে ওটা কোনো কাজই করবে না ।এটা আমি না জেনে খেতে থাকলে ব্যাকটেরিয়া মরবেও না আবার আপনার ইনফেকশন দীর্ঘায়িত হতে থাকবে যা ক্ষতিকর।

এখন এই antibiotics যেগুলো সেন্সিটিভি এগুলার ভীতর nephrologist যেটা কিডনি সেফ বা নিরাপদ মনে করবেন সেটা নির্ধারণ করবেন এবং সংক্রমণ এর মাত্রা এবং আপনার কিডনি ফাঙ্কশন কেমন তা নির্ধারণ করে সঠিক মাত্রার এন্টিবাযোটিক্স সাজেস্ট এবং মাত্রা নির্ধারণ করবে এবং নিয়ম হচ্ছে ওষুধ এর dosage খাওয়ার পর সেই ব্যাকটেরিয়া মরছে কিনা আবার কালচার করে দেখবে ।

মনে রাখবেন কিছু গ্রুপ এর এন্টিবাযোটিক্স আছে নিরাপদ না তাই নেফ্রোলজিস্ট এর মাধ্যমে অবশ্যই আপনার কিডনির জন্য যেটা নিরাপদ সেটি নির্ধারণ করবেন ।


Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post