👉ভাইরাল ইনফেকশন - আগে থেকে অনেক রোগীর hepatitis যেমন-hepatitis B ,C থাকে সেটা নেগেটিভ না থাকলে বা ঠিক মতো কন্ট্রোল না থাকলে।

ট্রান্সপ্লান্ট এর পর BK , CMV দ্বারা আক্রান্ত হলেন কিন্তু সঠিক উপায়ে চিকিৎসা নিলেন না ইত্যাদি।

 অনেক সময় ওষুধ এর সাইড ইফেক্ট এর কারণেও রেজেকশন আসতে পারে .

 ওষুধ খেতে হেলাফেলা করা বা নির্দিষ্ট সময় মেইনটেইন না করা বা আর্থিক বা যেকোনো কারণেই হোক নির্দিষ্ট মাত্রা হতে ওষুধের ডোজ কম করে খাওয়া বা না খাওয়া.

তারপরেও রেজেকশন হলে সেটা নেফ্রোলজিস্ট নিজস্ব প্রাকটিস এবং এক্সপেরিয়েন্সেস এর মাধ্যমে biopsy করে ডিসিশন নিবেন কি ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি বেছে নিবেন,একেক ট্রান্সপ্লান্ট রোগী একেকধরণের তাই decision ও ভিন্ন যেমন-

👉methyl prednisolone steroid থেরাপি যেটা খুব কমন 

👉এন্টিবডি রিমুভাল /neutralization :প্লাসমফেরেসিস , ইমামুনওয়ার্ডসর্প্শন,intravenous ইমিউনোগ্লোব্যুলিন

👉Anti B-Cell থেরাপিএস : Rituximab, IVIG

👉এন্টিপ্লাসমা সেল থেরাপি : Bortezomib.

👉Anti-T-cell থেরাপিএস : T-cell depleting agents যেমন- Antithymocyte globulin (ATG).

👉টার্মিনাল -কমপ্লিমেন্ট pathway ইনহিবিটর : Eculizumab 

  👊👊👊Rejection প্রতিরোধের উপায় ?  

rejection প্রতিরোধের ব্যাপারে নিজেকে খুব ভালো একজন অভিজ্ঞ ট্রান্সপ্লান্ট nephrologist এর আন্ডারে থাকা এবং কঠিন ভাবে তার কথা শোনা। প্রতিনিয়ত চেকআপ

এ থাকা এবং নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা এবং কোনো ধরণের abnormality দেখলে সাথে সাথে নেফ্রোলজিস্ট কে জানানো।   কারণ অল্প বা মাঝারি creatinine বাড়লেও কোনো সিম্পটম বোঝা যায় না তাই ট্রান্সপ্লান্ট এর প্রথম দিকে প্রথম তিন মাসে নিজের ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিট এ সার্বক্ষণিক তীক্ষ্ণ নজরদারিতে থাকা উচিত,একদিন পরপর টেস্ট বা প্রতিদিন এবং আস্তে আস্তে Transplant কিডনি সেটল বা স্ট্যাবল হলে তিনদিন ,সাতদিন এভাবে সময় বাড়াবে নেফ্রোলজিস্ট এবং দেশে চলে আসলেও দেশের ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলজিস্ট এর পাশাপাশি সার্বক্ষণিক নিজের ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলজিস্ট কেও প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ব্লাড টেস্ট এর মাধ্যমে জানানো উচিত এবং কিডনি এডজাস্ট হওয়ার পর একমাস পর পর ব্লাড টেস্ট করা উচিত,মনে রাখবেন ট্রান্সপ্লান্ট এর পর নিয়মিত ঘনঘন টেস্ট করা উচিত সারাজীবন কারণ অল্প creatinine বাড়লেও বোঝা যায় না বা শারীরিক কোনো ত্রুটি পরিলক্ষিত হয় না  .

প্রথম এক বছর প্রতিনিয়ত বিভিন্ন টেস্ট observation এ থাকা উচিত যেমন-tacrolimus টেস্ট করে সে অনুযায়ী dosage অ্যাডজাস্টমেন্ট করা,ক্রিয়েটিনিন,ইউরিয়া,ইউরিনারি টোটাল প্রোটিন চেক করা,urine rme করা,cbc করা,lipid প্রোফাইল চেক করা,BK CMV VIRUS করা,HBA1C,electrolytes,ভিটামিন D এবং calcium লেভেল চেক করা,TB টেস্ট ইত্যাদি করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

👺👺👺Rejection বোঝার উপায় কি এবং বুঝতে কি ধরণের টেস্ট করবো?

উত্তর- কোনো ধরণের abnormality শরীর বুঝলেই ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করে দেখেন,তা যদি বেশ কিছুটা বাড়তি এবং সেটা যদি বাড়তেই থাকে তাহলে বুঝতে হবে Rejection হওয়া শুরু হইসে।এছাড়াও শারীরিক উপসর্গের মধ্যে রয়েছে - দুই একদিন এর মধ্যে দুই অথবা তিন কেজি ওজন বৃদ্ধি পাওয়া,জ্বর,অপারেশন এর জায়গায় ব্যাথা হওয়া,urine আউটপুট কমে যাওয়া ইত্যাদিও Rejection এর সিম্পটম এর মধ্যে অন্যতম।

 Biopsy-Rejection বোঝার অন্যতম পরীক্ষা হচ্ছে biopsy ,

লম্বা একটা শুই এর মাধমে kidney থেকে tissue নেওয়ার পর তা টেস্ট করা হয় যে কি কারণে creatinine বাড়ছে এবং rejection এর কারণ কি?ভয় এর কারণ নাই,

এটা করার সময় লোকাল এনেস্থেসিয়া দেওয়া হয় এজন্য ব্যাথা পাওয়া যায় না।

 PRA(panal reactive antibody) ট্রান্সপ্লান্ট এর পর recepient এর শরীরে কোনো এন্টিবডি তৈরী হয়েছে কিনা বা এন্টিবডির যে প্যানেল/লিস্ট আছে তা থেকে রিএক্টিভ বা সক্রিয় হয়ে গ্র্যাফ্ট এ দ্রুত বা ধীরে ধীরে এটাক করছে কিনা বা কি পরিমান সক্রিয় হচ্ছে তা বোঝার জন্য এই টেস্ট দিয়ে থাকে,এই ব্লাড টেস্ট দিয়েও আন্টি বডি রেজেকশন এর বিষয় ধারণা পাওয়া যায় এবং নেফ্রোলজিস্ট সে অনুযায়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে.

 একটি জিনিস সব সময় মনে রাখবেন কিডনি প্রতিস্থাপন একটি টোটাল প্যাকেজ যা কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে হয়ে থাকে এখানে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভালো ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলজিস্ট আরো বেশি গুরুত্বপর্ণ যার তত্ত্বাবধায়নে আপনাকে সবসময় সারাজীবন থাকতে হবে এবং ট্রান্সপ্লান্ট পরবর্তী চেকাপ বা ফলোআপ এর জন্য এবং দ্রুত রিজেকশন প্রতিরোধে এবং সঠিক তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণে তার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি.

 👍👍ট্রান্সপ্লান্ট এর পর সাধারণ ইন্সট্রাকশন্স বা জীবনযাপনের ক্ষেত্রে কি কি নিয়ম মেনে চলবো ? 

ভালো ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটগুলো লাইফস্টাইল এর ব্যাপারে এবং খাবার এর ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে এবং প্রয়োজনে একজন dietician এর পরামর্শ গ্রহণ করবেন .

 *খেয়াল রাখবেন ট্রান্সপ্লান্ট এর পর তাৎক্ষণিক বাসায় রান্না করা গরম খাবার খাবেন যেটা সর্বোত্তম.বাসি খাবার বা অতিরিক্ত মসলা এবং ঝাল খাবার পরিহার করবেন.যেসব খাবার ইম্মুনোসাপ্রেসিভ মেডিসিন এর সাথে সাংঘর্ষিক যেমন জাম্বুরা বা গ্রেপফ্রুইট ,আনার,কাঁচা রসুন ইত্যাদি পরিহার করা উচিত.লো সল্ট ডায়েট ফলো করুন.প্যাকেট জাতীয় বা কোলা ড্রিঙ্কস বা কার্বনেট পানিও নিষিদ্ধ.সালাত বা কাঁচা ফলমূল প্রথম তিনমাস এভোইড এবং খুব ভালো করে ধুয়ে খাবেন তিনমাস পর থেকে এবং হাই কোলেস্টরেল ফুড যেমন -চিংড়ি রেড মিট, অর্গান মিট যেমন মগজ,কিডনির মাংস ইত্যাদি খাবেন না.এছাড়া পরিমিত সব খেতে পারবেন ট্রান্সপ্লান্ট এর পর কারণ রেস্ট্রিকশন্স উঠিয়ে নেওয়া হয় রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট এর পর যদি ইলেক্ট্রোলাইটস ঠিক থাকে .

 *পরিষ্কার ফুটানো বা রিভার্স অসমোসিস ফিল্টার পানি পান করবেন,সবসময় মাস্ক ব্যবহার এবং হ্যান্ড হাইজিন মেইনটেইন করবেন.পাবলিক প্লেস যেমন বাজার,মেলা ইত্যাদি জায়গা খুব প্রয়োজ্ন ছাড়া যাওয়া উচিত নয় বা এভোইড করবেন.

 😍😍ট্রান্সপ্লান্ট এর পর যে মেইনটেনেন্স ইম্মুনোসাপ্রেসিভ খেতে হয় যেমন : ট্যাক্রোলিমাস,মাইকোফেনলেট,স্টেরোয়েড ইত্যাদি সেগুলা নিয়মম তো সঠিক সময়ে খাওয়া এবং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ডোজ একটুও এদিক ওদিক করা যাবে না.

 *বিছানার চাদর তিনদিন/পাঁচ দিন পরপর চেঞ্জ করবেন.নিজের তোয়ালে,গামছা,রুমাল প্রত্যহ পরিষ্কার করা এবং নিজের পরিধেয় কাপড় বাহির থেকে এসে নিয়মিত ধোয়া উচিত. 

 *বাসায় নিজের রুমের দরজার সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক রাখা এবং প্রথম তিনমাস আলাদারুমে আইসোলেশনে থাকা এবং চেষ্টা করা ভিজিটর/দর্শনার্থীদের খুব প্রয়োজন না হলে দেখা না করে ফোনে কথা বলা.

 *ওয়াশরুম নিয়মিত পরিষ্কার রাখা এবং রুমেরসাথে এটাস্ট হওয়াটা প্রয়োজনীয়, একই ওয়াশরুম একাধিক ব্যাক্তি ব্যবহার করলে তা সঠিকভাবে পরিষ্কার বা ডিজইনফেক্ট না করে ব্যবহার করা উচিত নয়. 

 * নিজের কেয়ার গিভার বা যে দেখাশোনা করবেন বা দায়িত্বে থাকবেন তিনিও যাতে পরিষ্কার পরিছন্ন থাকে সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া.

 *নিজের পরিধেয় কাপড় বা তোয়ালে বা দাড়ি শেভ করার রেজার,ট্রিমার কখনো আরেকজনকে বা আরেকজনেরটা নিজের ব্যবহার করতে দেওয়া বা করা উচিত নয়.

 *ঢাকা শহরে প্রচুর পলুশন এবং বাতাসে দূষণ অনেক বেশি বা আপনি যদি পলুটেড এরিয়াতে বাস করেন তাহলে বাসাতে এয়ার পিউরিফায়ার/হেপা ফিল্টার ব্যবহার করতে পারেন যা একটি নির্দিষ্ট জায়গার বা আয়তনে দূষিত বাতাস টেনে নিয়ে পরিষ্কার করে রুমে ছড়ায় সেগুলো বিভিন্ন কোম্পানি বানায়.

 *ট্রান্সপ্লান্ট এর পর স্টেরয়েড বা প্রেডনিসোলোন চলে বা চালাতে হয় যা হাড় বা বন ডিজিজ হওয়ার পসিবিলিটি অনেক বাড়িয়ে দেয় তাই ট্রান্সপ্লান্ট এর নিয়মিত বা বছরে কমপক্ষে একবার বন বা হাড়ের চেকাপ করা জরুরি তাই ব্লাড ক্যালসিয়াম ,ভিটামিন ডি লেভেল টেস্ট করে সে অনুযায়ি ব্যাবস্থা নেওয়া এর সাথে সাথে বন মিনারেল ডেন্সিটি টেস্ট করে দেখা উচিত হাড়গুলোর বর্তমান কি অবস্থা বা ভবিষ্যতে অস্টিওপরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু এবং সে অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া.

 *ট্রান্সপ্লান্ট এর পড় ব্লাডপ্রেশার অনেকের ক্ষেত্রেই কমন তাই নিয়মিত চেকাপ/মনিটর এবং বাড়তি থাকলে সে অনুযায়ি ওষুধগ্রহন এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে,অসংখ রিসার্চ বলে ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণ না থাকলে কিডনি গ্র্যাফ্ট সার্ভিয়াল কমে যায়. 

 *ট্রান্সপ্লান্ট পার্সনদের খাবারের ব্যাপারে কিছু রেস্ট্রিকশন্স ছাড়া সব স্বাভাবিক থাকে.কিছু রেস্ট্রিকশন্স এর মূল কারণ হচ্ছে সাধারণ সুস্থ মানুষের কিডনি দুইটাই একটিভ কিন্তু আমাদের একটা এবং তাও অন্যের, তাই চাপ কম ফেলানোই ভালো তাতে ট্রান্সপ্লান্ট কিডনির দীর্ঘস্থায়িত্ব বাড়ে বা বেশি হয় . সত্যি কথা বলতে আমরা যে steroid/Tacrolimus/Mycophenolate ইত্যাদি ইম্মুনোসাপ্রেসিভ ড্রাগ খাই সেটা লাইফ সেভিং ড্র্যাগ কিন্তু এই ড্রাগ এর কারণে আমাদের সুগার বেড়ে যায়.যেহেতু steroid,Tacrolimus,Mycophenolate etc প্রথমদিকে ড্র্যাগ বেশি মাত্রায় চলে তাই এই ইম্মুনোসাপ্রেসিভ ওষুধগুলোর কারণে যার কখনো ডায়াবেটিকস ছিল না বা বাড়তি সুগার ছিলোনা তারও ডায়াবেটিকস হয়ে যায় যাকে ড্র্যাগ induced বা ওষুধের কারণে বেড়ে যাওয়া ডায়াবেটিকস বলে যা হুট্ করে জাম্প করতে পারে তাই সুগার জাতীয় খাবার এ রেস্ট্রিকশন আনা উচিত, আরেকটা কথা আমরা যে কার্বস জাতীয় খাবার খাই যেমন ভাত, রুটি ইত্যাদি এগুলো কিন্তু সুগারেই শেষ পর্যন্ত রূপান্তরিত হয়ে যায় তাই সুগার এর সাথে সাথে কার্বোহাইড্রেট জাতীয়ও খাবার কম বা সামান্য খাওয়া উচিত  .  আরেকটা সমস্যা হচ্ছে ইম্মুনোসাপ্রেসিভ বিশেষ করে স্টেরোয়েড/prednisolone এর কারণে লিপিডও বেড়ে যায় তাই চর্বি এবং তৈলাক্ত জাতীয় খাবারের ব্যাপারে সতর্কতা মেনে চলা উচিত বা একেবারে কম খাওয়া উচিত . 

প্রোটিন স্বাভাবিক মাত্রায় খাওয়া উচিত ধরুন দুপুরে/রাতে এক পিছ মাঝারি সাইজ এর মাছ বা মাংস যেহেতু কিডনি ফাঙ্কশন স্বাভাবিক হয়ে যায় ট্রান্সপ্লান্টের পর.প্রোটিন এর ক্ষেত্রে চিকেন,মাছ,ডিমের সাদা অংশ ইত্যাদি বেশি প্রাধান্য দিবেন.রেড মিট এবং অর্গান মিট(কলিজা,গুর্দা ইত্যাদি) অল্প বা মাঝে মাঝে অকেশনালী খেতে পারেন যেহেতু রেড মিট এবং অর্গান মিট লিপিড/চর্বি এবং ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায় তাই নিয়মিত খাওয়া কখনো উচিত নয়.

 *ট্রান্সপ্লান্ট এরপর আস্তে আস্তে অল্প অল্প করে হাটা শুরু করবেন যা সময়ের সাথে সাথে বাড়াবেন .  *ওজন স্ট্রীক্টলী মেইনটেইন করবেন.

preemptive renal transplant বা early ট্রান্সপ্লান্ট হচ্ছে ডায়ালাইসিস শুরু করার আগেই যখন আপনার কিডনি কিছুটা সুস্থ তখন ট্রান্সপ্লান্ট করা হয় বা করে ফেলা হয় এর মানে এই না যে আমি কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট এর আগে ডায়ালাইসিস করি নাই সুতরাং সেটাকে প্রিএম্পটিভ ট্রান্সপ্লান্ট বলা হবে যেমন ধরুন আপনার creatinine ৮ অথবা ৯ বা ১০ বা ১২ কিন্তু আপনার শরীর ফিট তাই ডাক্তার আপনাকে বললো ডায়ালাইসিস দরকার নাই আপনি ট্রান্সপ্লান্ট করে ফেলেন এবং করলেন, সেটা প্রিএম্পটিভ ট্রান্সপ্লান্ট হবে না.যদিও এই ধরণের creatinine এ ট্রান্সপ্লান্ট এর আগে দুই তিনটা বা আরো ডায়ালাইসিস দিয়ে নেয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যাতে টক্সিসিটি কম থাকে এবং অপারেশন এ রিস্ক কমানোর জন্য. 

 তাহলে কখন করতে হবে? 

 সাধারণত ৪ বা ৪.৫ creatinine বা egfr ১৫ ,১৬,১৭ ইত্যাদি তখন করাটাই ভালো বা আপনার ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলজিস্ট এই ব্যাপারে ক্রনিক কিডনি রোগে তৃতীয় বা চতুর্থ স্টেজ বা আরো আগে থাকা অবস্থায় ডোনার এর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত এবং নিকট ভবিষতের জন্য ঠিক করে রাখার কথা বলবে বা বলা উচিত বা সবচেয়ে উত্তম সময় কারণ এই প্ল্যানিং গুলো আগে থেকে করলে সবচেয়ে ভালো আর আপনি নিজেও আপনার ভবিষৎ কি তা জেনে গেছেন এবং হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিতে বা ম্যাচিং করতে গেলে বা ডোনার খুঁজতে গেলে বেশ সময় লাগতে পারে তখন ধরুন ছয়মাস বা এক বছর লেগে গেলো এবং creatinine আরো বেশ কিছুটা হাই হয়ে গেলো তখন আর তাকে প্রিএম্পটিভ ট্রান্সপ্লান্ট নাও বলা হতে পারে কারণ শেষ স্টেজ এর কাছাকাছি creatinine ধামাধাম বা দ্রুত বাড়তে থাকে সাধারণত অর্থাৎ ক্রিয়েটিনিন ২ থেকে ৪ creatinine হতে সময় হয়তোবা লাগতে পারে বেশ কয়েক বছর কিন্তু ৬ থেকে ৮ বা ১০ হতে সাধারণত অনেক কম সময় লাগে তাই এসব ক্ষেত্রে নিজে এবং পরিবার খুব সাপোর্টিভ এবং দূরদর্শী সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন.আরেকটা কথা এই জিনিসগুলো ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলজিস্ট থেকে নেফ্রোলজিস্ট এর সিধান্ত পরিবর্তিত হয় তাই সবচেয়ে ভালো যে ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটগুলো বা ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলজিস্ট আছে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা উচিত বা তাদের সান্নিধ্যে থাকা উচিত. 

 উপকারিতা কি প্রিএম্পটিভ/preemptive ট্রান্সপ্ল্যান্টে? 

 খরচ অনেকাংশে বেঁচে যায় কারণ প্রপার ডায়ালাইসিস বেশ এক্সপেন্সিভ এবং পরিপূর্ণ কিডনির সকল কাজ করতে পারেনা তাই ডায়ালাইসিস এ একটা শরীরে নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট থাকে কারণ ডায়ালাইসিস করলেও creatinine হাই থাকেই এবং অন্নান্য হরমোনাল কাজও করতে পারে না.

**ওভারঅল রিজেকশন(যেমন এন্টিবডি রিলেটেড)রেট বা চান্স কম থাকে.ডায়ালাইসিস এর সময় বা এন্ডস্টেজে বা ট্রান্সপ্ল্যান্টের সময় রক্ত নেওয়ার দরকার পরে বা চান্স বেশি থাকে যা প্রিএম্পটিভ ট্রান্সপ্লান্ট এর ক্ষেত্রে নিতে হয় না বা নেওয়ার চান্স অনেকাংশে কমে যায় কারণ কিডনি এবং কিডনি গ্রন্থি কিছুটা কাজ করার কারণে হিমোগ্লোবিন কম থাকলেও মোটামুটি ভালো থাকে বা চলে.আর রক্ত নিতে হয় না দেখে তুলনামূলক রিজেকশন এর চান্স কম থাকে বা হয় না যদিও রিজেকশন এর চান্স সব ট্রান্সপ্লান্টে থাকে কিন্তু প্রিএম্পটিভ বা আর্লি ট্রান্সপ্লান্ট এর ক্ষেত্রে অনেকাংশে কম থাকে. 

**এই ধরণের ট্রান্সপ্লান্ট এ সাকসেস রেট এবং ট্রান্সপ্লান্ট এর লংজিবিটি বা স্থায়িত্ব বেশি থাকে এবং কোয়ালিটি অফ লাইফ ভাল হয়. 






Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post