মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধন) আইন- ২০১৮


🛑🛑 বাংলাদেশ এ যারা ট্রান্সপ্লান্ট করতে চান তাদের জন্য 🛑🛑

অর্গান ট্রান্সপ্লান্ট এক্ট-১৯৯৯(পুরানো আইন),সেই অনুসারে মোট ১২ জন ডোনেট করতে পারতেন তারা হলো-

১।বাবা ,২।মা ,৩।ছেলে সন্তান,৪।মেয়ে সন্তান,৫।স্বামী ৬।স্ত্রী,৭।আপন ভাই,৮। আপন বোন ,৯।খালা ,১০।ফুফু,১১।মামা,১২|চাচা

[ নিচে নতুন আইন (মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধন) আইন- ২০১৮) সম্পর্কে জানতে পারবেন যা ১৯৯৯ সালের আইনকে সংশোধন করে নতুন রূপে প্রণয়ন করা হয়েছে ]

🚩🚩🚩 Important reading-(মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধন) আইন- ২০১৮) কার্যকর হয়েছে অর্থাৎ আপনি নতুন আইনে যে ডোনার এর তালিকা দেওয়া আছে তার ভিতর থেকেও ডোনার নিতে পারবেন বা ডোনার এর তালিকার পরিধি বেড়েছে.

🍁🔰🍁নতুন আইন অনুযায়ী, আপন নানা, নানী, দাদা, দাদী, নাতি, নাতনী, চাচাতো-মামাতো-ফুফাতো-খালাতো ভাই বা বোনরাও রক্তসম্পর্কিত হিসেবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান ও গ্রহণ করতে পারবেন(নতুন আইন দ্বারা সংযুক্ত ডোনার ক্যাটাগরি).

আগের আইনে নিকটাত্মীয় হিসেবে পুত্র, কন্যা, পিতা, মাতা, ভাই, বোন, চাচা, ফুফু, মামা,খালা এবং স্বামী-স্ত্রী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান ও গ্রহণ করতে পারতেন.🚩🚩🚩

১৮ বছরের কম এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সের জীবিত ব্যক্তির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেওয়া যাবে না। মারা যাওয়ার আগে কেউ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানে লিখিত আপত্তি করলেও তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেওয়া যাবে না।

১৫ বছর থেকে ৫০ বছরেরর ব্যক্তিরা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গ্রহীতা হিসেবে অগ্রাধিকার পাবেন। চোখের কর্নিয়া প্রতিস্থাপনে বয়সের এই বিধি-নিষেধ প্রযোজ্য হবে না।

দাতার চোখ, অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে ‍এজিবিএসএজি, এনটি এইচসিবি এবং এইচআইভি পজেটিভ থাকলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেওয়া যাবে না

মেডিকেল বোর্ড

অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনের কাজ পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করতে হবে, যার প্রধান হবেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সার্জারিতে অভিজ্ঞ অধ্যাপক পদমর্যাদার একজন চিকিৎসক।

এছাড়া কমপক্ষে সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার একজন অ্যানেস্থেসিয়লজিস্ট এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বা চিকিৎসকও এই বোর্ডে থাকবনে।

মেডিকেল বোর্ড প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এক বা একাধিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চিকিৎসককে সদস্য হিসেবে বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।

দাতা ও গ্রহীতার আত্মীয়তার সম্পর্ক নির্ধারণ করে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনের সিদ্ধান্ত দেবে বোর্ড। এছাড়া ব্রেইন ডেথ ঘোষিত ব্যক্তির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহের বিষয়েও বোর্ড সিদ্ধান্ত দেবে।

ব্রেইন ডেথ ঘোষিত কারো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যকে সভাপতি করে সরকারের ‘কাড্যাভেরিক জাতীয় কমিটি’ থাকবে।

১১ সদস্যের এই কমিটিতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের কমপক্ষে যুগ্ম-সচিব পদদর্যাদার একজন কর্মকর্তা সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন ।

“জাতীয় কমিটি কাড্যাভেরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ কার্যক্রমের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেবে। কাড্যাভেরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ কার্যক্রম পরিদর্শন এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ কার্যক্রম সহজীকরণ, সম্প্রসারণ ও সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার জন্য তাৎক্ষণিক পরামর্শ দেবে এই কমিটি।”

এছাড়া ব্রেইন ডেথ হিসেবে ঘোষণা করা ব্যক্তির শরীর থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেওয়ার বিষয়েও এই কমিটি সরকারের কাছে সুপারিশ দেবে।

‘কাড্যাভেরিক’ শব্দের‌ ব্যাখ্যায় , হৃৎপিণ্ড স্পন্দনরত এইরূপ মানবদেহ যা অনুমোদিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কর্তৃক ব্রেইন ডেথ মর্মে ঘোষিত এবং যার অঙ্গ অন্য মানবদেহে প্রতিস্থাপনের জন্য লাইফ সাপোর্ট দিয়ে কার্যক্ষম রাখা হয়েছে।”

*************অপরাধ ও দণ্ড****************


নিকটাত্মীয়তা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিলে বা ওই ধরনের তথ্য দিতে উৎসাহিত, প্ররোচিত বা ভীতি প্রদর্শন করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এজন্য সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হবে।


নিকট আত্মীয় সংক্রান্ত অপরাধ ছাড়া এই আইনের অন্য কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে বা লঙ্ঘনে সহায়তা করলে সর্বোচ্চ ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এই আইনের অধীনে অপরাধের জন্য কোনো চিকিৎসক দণ্ডিত হলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের দেওয়া নিবন্ধন বাতিলযোগ্য হবে।

“কোনো হাসপাতাল এই আইনের অধীনে অপরাধ করলে ওই হাসপাতালের পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত মালিক বা পরিচালক তিনি যে নামেই পরিচিত হোন না কেন তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন। যদি না তিনি প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে ওই অপরাধ তার অজ্ঞাতসারে হয়েছে এবং তা রোধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।”

কোনো হাসপাতাল এই আইনের অধীনে অপরাধ করলে এর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনের অনুমতি বাতিল হবে এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য অর্থদণ্ড আরোপ করা যাবে।

আগের আইনে কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে বা লঙ্ঘনে সহায়তা করলে সর্বোচ্চ ৭ বছর ও সর্বনিম্ন ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা কমপক্ষে ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান ছিল।

“আগে শাস্তি ছিল ঢালাওভাবে, অনির্ধারিত। এবার দণ্ডের ক্ষেত্রগুলো সুনির্ধারিত করা হয়েছে।”















Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post