প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যানসার নির্ণয়ের উপায়
১. বয়স ২০ বছর হলে নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করতে শেখা। আজকাল বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিষয়টি শেখা যায়। না হলে চিকিৎসকের কাছ থেকে শিখে নিন। তারপর মাসে একবার করে পরীক্ষা করা এবং সারা জীবন তা চালিয়ে যেতে হবে। এর বাইরে কোনো সমস্যা না থাকলেও
২–৩ বছর পরপর চিকিৎসকের মাধ্যমে শারীরিক পরীক্ষা করানো। কারণ, নিজের স্তন নিজে
পরীক্ষা করা আর চিকিৎসকের পরীক্ষা করার মান এক নয়।
২. বয়স ৪০ বছর হলে অবশ্যই স্তন ক্যানসার নিরীক্ষণ বা স্ক্রিনিংয়ে অংশ নিতে হবে।
বছরে একবার চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা করবেন।
চিকিৎসকের পরামর্শে আলট্রাসনোগ্রাফি, ম্যামোগ্রাফি করা।
প্রয়োজনে অন্যান্য পরীক্ষা করা।
৩.বয়স ৫০-৭০ বছর হলে—
বছরে একবার চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা করবেন
২–৩ বছর পরপর ম্যামোগ্রাফি করা
প্রয়োজনে অন্যান্য পরীক্ষা করা
স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং মানে হলো স্তনে কোনো উপসর্গ নেই, চিহ্ন নেই, তবু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খুঁজে দেখা। আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি মেনেই এ ধরনের পরীক্ষা করা হয়। এতে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্ত হয়, যা উপযুক্ত চিকিৎসায় নিরাময় হয়।
স্তন ক্যানসার পুরোপুরি প্রতিরোধ করা যায় না। কারণ, কিছু কিছু ব্যাপার আছে, যা এড়ানো সম্ভব নয়। যেমন নারী হয়ে জন্ম নেওয়া, বয়স বাড়া, সন্তান ধারণ না হওয়া, অল্প বয়সে মাসিক শুরু হওয়া ও দেরিতে মাসিক বন্ধ হওয়া, পরিবারে স্তন, জরায়ু, ডিম্বাশয়, কোলন ক্যানসারের ইতিহাস থাকা ইত্যাদি। এই ঝুঁকিগুলো যাঁদের আছে, তাঁদের নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া উচিত।
তবে কেউ সচেতন হলে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় হলে নিরাময় হওয়ার হার প্রায় শতভাগ। সে ক্ষেত্রে একজন স্তন ক্যানসারের রোগীও সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মতো জীবনযাপন করতে পারবেন।
-------------------অধ্যাপক ডা. পারভীন শাহিদা আখতারসাবেক বিভাগীয় প্রধান, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা
Online News Portal
Post a Comment
Please do not link comment any spam or drive spams content