Zydus Cadila Anemia: কিডনির অসুখে ভোগা রোগীদের রক্তাল্পতা সারাতে ওরাল থেরাপি আনছে জাইদাস ক্যাডিলা

Clue Online India News Portal



অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও কর্মব্যস্ত জীবনের জটিলতায় যে সব অসুখ নিঃশব্দে থাবা বসাচ্ছে আমাদের শরীরে, তার অন্যতম ক্রনিক কিডনি ডিজওর্ডার (CKD) বা ‘সিকেডি’ (Zydus Cadila Anemia)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মত অনুযায়ী, প্রতি বছরই গোটা বিশ্বে কয়েক লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় এই অসুখে। ক্রনিক কিডনির অসুখ থাকলে তার থেকে হানা দেয় হাজারো রোগ।  সিকেডি রয়েছে এমন রোগীর রক্তল্পতায় (Anemia) ভোগার সম্ভাবনা বেশি। সেক্ষেত্রে রোগের জটিলতা বাড়ে এবং শারীরিক নানা সমস্যাও দেখা দিতে থাকে। সিকেডি রয়েছে এমন রোগী যদি রক্তাল্পতা বা অ্য়ানিমিয়ার শিকার হন, তাহলে তার ট্রিটমেন্টের জন্য সঠিক ওষুধও দরকার, যাতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি নেই। এতদিন ইঞ্জেকশনে কাজ চলছিল, এই প্রথম ওরাল থেরাপি নিয়ে আসছে জাইদাস ক্যাডিলা (Zydus Cadila)।

জাইদাস লাইফসায়েন্সেস গ্রুপের দুরন্ত আবিষ্কার এই ওরাল ট্রিটমেন্ট। একদিকে যেমন ক্রনিক কিডনির রোগ (CKD) সারাতে সাহায্য় করবে তেমনি অন্যদিকে সিকেডি-র রোগীদের রক্তল্পতার থেরাপিও করবে। ক্য়াডিলা গ্রুপ জানিয়েছে, ভারতে প্রথম এমন ওরাল ট্রিটমেন্ট আসছে। কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল এই ওষুধের ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে।

কী ওষুধ বানিয়েছে জাইদাস ক্য়াডিলা? কী কাজ করবে? (Zydus Cadila Anemia)

জাইদাস ক্যাডিলার বানানো এই ওষুধের নাম অক্সিমিয়া টিএম (OxemiaTM )। এই ওষুধ নিয়ে ওরাল থেরাপি করা যাবে। অক্সিমিয়া রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণের ভারসাম্য বজায় রাখবে। পাশাপাশি কিডনির রোগীদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাবে। 

আরও পড়ুন: ‘নীরব ঘাতক’ হতে পারে যে ৬ রোগ

মানব শরীরে কিডনির কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিডনি শুধু শরীর থেকে রেচন পদার্থই বার করে না, তার ভূমিকা আরও বেশি। যেমন–রক্তে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে কিডনি। অ্যাসিডোসিস হয়ে রক্তে অ্যাসিডের মাত্রা যাতে লাগামছাড়া না হয়ে যায় সেদিকেও তার কড়া নজর। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতেও এর ভূমিকা আছে। তা ছাড়া, শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করা, হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে কিডনি। 

কী কী সমস্যা দেখা দেয় কিডনির রোগে? (Zydus Cadila Anemia)

কিডনির সমস্যা একটা নয়, বরং একাধিক। ক্রনিক ডিজিজ থেকে এর রোগ প্রাণঘাতীও হতে পারে। গ্লোমেরিউলোনফ্রাইটিস, পলিসিস্টিক ডিজিজ, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন—কিডনি নানা সমস্যায় জেরবার হতে পারে। নেফ্রোলজিস্টরা বলেন, কিডনির রোগ অনেকসময়েই জানান দিয়ে আসে না। চুপিসারে বাসা বাঁধে, একদিন আচমকাই বিস্ফোরণের মতো ছড়িয়ে পড়ে। তবে কিছু উপসর্গ দেখে সচেতন হওয়াই যায়। যেমন–কারও উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে তার প্রভাব পড়ে কিডনিতেও। সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। হঠাৎ করে জাঁকিয়ে বসা অবসাদ, ঘুম ঘুম ভাব, মনঃসংযোগের সমস্যা, খিদে নষ্ট, অল্প পা ফোলা, শরীরে রক্ত কমে যাওয়া এইসব রোগের আগমন হলে আগেভাগেই সতর্ক হওয়া উচিত।

কিডনির সমস্যা হলে সবচেয়ে আগে প্রভাব পড়ে মূত্রে। কোমরে বা তলপেটে ব্যথা, মূত্রে জ্বালা, রঙের বদল হলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে রক্তে লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ কমে গিয়ে রক্তল্পতার সমস্যা দেখা দিতে থাকে। কিডনির অসুখের সঙ্গেই যদি রক্তল্পতা বা অ্য়ানিমিয়া ধরে যায় তাহলে রোগীর শারীরিক অবস্থা জটিল তেকে জটিলতর হয়ে ওঠে। এই সঙ্কট থেকে রোগীদের বাঁচাতেই নতুন ওষুধ ((Oxemia TM) আনছে জাইদাস ক্যাডিলা।

আরও পড়ুন: সুন্দর থাকতে এই এক ডজন খাবার রাখুন তালিকায়, প্রসাধনের দরকারই পড়বে না

জাইদাস লাইফসায়েন্সের চেয়ারম্যান পঙ্কজ পটেল বলেছেন, “১২০০ জনের ওপর ক্লিনিকাল ট্রায়াল করে সাফল্য মিলেছে। ক্রনিক কিডনির অসুখে ভোগা যে সব রোগীরা রক্তল্পতার শিকার হয়েছেন তাঁদের চিকিৎসার জন্যই এই ওষুধ তৈরি করা হয়েছে। এই থেরাপিতে রোগীরা দ্রুত সুস্থ হবেন, তাঁদের আরও উন্নত জীবন দিতে পারব আমরা। বর্তমানে এমন রোগের চিকিৎসায় এরিথ্রোপয়েটিন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় রোগীদের। জাইদাসই প্রথম খাওয়ার ট্যাবলেট নিয়ে আসছে। “

Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post