আমরা অনেকে মৃত্যু নিয়ে দুশ্চিন্তা করে থাকি কিন্তু আমাদের সবার মৃত্যুর পর কি হবে তা সবাই জানি । কিন্তু যে বিষয়টা আমারা জেনেও তার প্রতি গুরত্ব দিচ্ছি না ।
মৃত্যুর পর আমার কি হবে - সবাই বিদায় জানাবে যতজন পারে দেখতে আসবে শেষ দেখা তারা আমার গাঁয়ের পোশাক খুলে আমাকে পানি দিয়ে স্নান গোসল করাবে ।
তারপর কাফন পাড়াবে , আমার বাসগৃহ থেকে বের করবে । বাসার উঠানে রেখে প্রার্থনা করবে কফিনে আমায় রাখবে। সবাই শেষবারের মত আমায় দেখবে বিদায় আবারো জানাবে। অনেকে দূর দুরান্ত থেকে তাদের কাজ কর্ম ফেলে আমায় শেষবারের মত বিদায় জানাতে আসবে ।
শেষে আমায় কফিন সহ আমার নতুন বাসগৃহ (কবর) দিকে যাবে এবং সেখানেই এক মুঠ মাটি দিয়ে প্রার্থনা করে কবর দিয়ে আসবে । কান্না আর ফুল আরো মোমবাতী ইত্যাদি দিয়ে সবাই আমায় একা ফেলে চলে আসবে ।
আমায় নিয়ে কেউ আর পরে তেমন ভাব বে না , আমার ব্যক্তিগত জিনিস অনেক কিছুর উপর আমার আর কোন অধিকার থাকবে না । আমার গাড়ী, বাড়ী , কম্পিউটার, আমার আলমিরা, আমরা ব্যাবসা, দোকান, আমার বাগান বাড়ী, বইপত্র, ব্যাগ, চাবির গোছা, আমার সম্পত্তি সবকিছু উপর আমার অধিকার হারিয়ে যাবে । আমার পরিবার আর আমার থাকবেনা তার হয়ত আমার এ সব কাউকে দান করবে বা ভাগা ভাগি করে কাউকে বেঁচে দিবে ।
হ্যাঁ আমি নিশ্চিত যে আপনাদেরকেও উক্ত বিষয় গুলির উপর একি ভাবে পরিণতি হবে সবার। তাই অবিচল সুনিশ্চিত থেকো এই জন্য যে এই পৃথীবি আপনার জন্য এক্টুও দুঃখিত হবে না কারোর জন্য অপেক্ষা করবেনা , এই পৃথিবীর সকল কাজকর্ম ঠিক আগের নিয়মে চলবে, আমরা দায়িত্ব বা কাজ অপর আরেকজন করবে , আমার সহায় সম্পত্তি আমার ওয়ারিসদের হাতে চলে যাবে।
অন্য দিকে আমার এই যে রেখে যাওয়া সম্পদ তার জন্য আমার সুদৃঢ় হিসাব নিকাশ শুরু হয়ে যাবে, সবকিছুর হিসাবে , অনু পরমানু, দশমাংশ, কিয়দংশ সব কিছুর কড়া হিসাব।
মৃত্যুর পর আমাদের যে বিষয়টা সবার আগে খোয়াতে হবে হারাতে হবে তা হলো আমাদের মা বাবার দেওয়া এবং সার্টিফিকেটে দেওয়া "নাম"। নামটা হাড়াতে হবে সবার আগে। কারণ তুমি যখন মারা যাবে তখন বলবে সবাই কোথায় "লাশ "?? মৃতদেহটা কোথায় রাখা হয়েছে কোন রুমে । নাম ধরে আর কেউ ডাকবেনা । অনেক দূর থেকে দেখতে এসেছেন বলবে যে তা কোন রুমে রখা হয়েছে লাশটা নামধরে আর কেউ তখন তোমায় কেউ ডাকবেনা ।
তাই গুণীজন বলেন এই ধরিত্রীতে নিজের বংশ পরিচয় , নিজের গোত্র, আমার পদমর্যাদা এবং সুনাম বা খ্যাতি নিয়ে যেন নিজেকে বা অন্য কাউকে বিপদে না ফেলা হয় বা ঠকানো না হয় ।
তাইতো এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রত্যেক মুহূর্ত অনেক বেশী গুরত্বপূর্ন কিন্তু বাহ্যিক সুনাম খ্যাতি একদম নগন্য । কেন এই কথা গুলো বলা হচ্ছে তার কারণ আমি এখন জীবিত আছি কিন্তু মৃত্যু হলে তোমাকে বলবে বা আমাকে বলবে
১। যারা বাহ্যিক ভাবে তোমাকে চিনতো বলবে হতভাগা
২। আমার বা তোমার বন্ধুরা তোমার জন্য কয়েক ঘন্টা বা কয়েদিন দুঃখ করবে । এরপর আবার আগের মত সকল কাজ নিজেদের মত করে করবে আর কোন দিন তোমার কথা তেমন আগের মত চিন্তা করবে না ।
৩। যারা গভীরভাবে দুঃখ পাবে তারা তোমার বা আমার পরিবার এর আপনজন, তারা অন এক মাস, দু মাস তিন মাস , এক বছর ,পাঁচ বছর দুঃখ করবে এরপর তাদের মণিকোঠায় অনেক যত্ন সহকারে রেখে দিবে । তোমাকে নিয়ে মানুষের মাঝে যে গল্প ছিল তা শেষ হয়ে যাবে । পৃথীবিতে তোমার গল্প শেষ হয়ে যাবে কিন্তু শুরু হবে নতুন গল্প পরকালের। একদম সত্য বাস্তবতা তা হল
তোমার নিকট থেকে বিলীন হবে নিঃশেষ হবে ১ । সৌন্দর্য , ২ । ধনসম্পদ , ৩। সুসাস্থ্য , ৪। বসতবাড়ী, ৫। প্রসাদ সমুহ, ৬। সন্তান- সন্তদি, ৭, জীবনসঙ্গী
হায় জীবন তোমার আর আমার নিকট শুধু মাত্র ভালো আর মন্দ ব্যতীত অন্য সবকিছু অবশিষ্ট থাকবেনা । শুরু হবে পরকালের কঠোর বাস্তবতা আর সেই নতুন জীবনের প্রশ্ন হবে তুমি এখন কবরে । প্রশ্ন হচ্ছে জীবন দশায় জীবিত কালে তুমি কি ভালো কাজ গুলো করে এসেছো আর কি মন্দ কাজ গুলো করে এসেছো । তোমার জীবন শুর হবে পরকালের জন্য ভালো কি কী করে এসেছো তার উপর।
তাই হে মানব তুমি এখন এই লেখা পড়ার সাথে সাথে সজাগ সচেতন ও যত্নবান হও বিশেষ করে
১। ভালো কাজ করা , ২। সৎ পথে চলা সত্য কথা বলা, ২। অন্যের উপকার করা, ৩। নিজের মতই নিজের প্রতিবেশীকে ভালো বাসা । ৪।হিংসা,কুটিলতা থেকে দূরে থাকা, ৫। নিঃশার্থ প্রেম,ভালোবাসা এবং শান্তির প্রতি নিজেকে সপে দেওয়া । ৬। অসহায়, দুঃস্থদের সহযোগীতায় নিজের উপচে পড়া অর্থ দান করা সাথে সাধারণ জীবন যাপন করা , ৭। নিজের সুনাম, খ্যাতি যশ এর প্রতি উজ্জিবিত না হয়ে সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত হন,
যেন পরকালের জন্য জীবনের ভালো কিছু নিয়ে যেতে পারো আরো ভালো কিছু সঞ্চয় করতে পারো ।
এই সাধারণ লিখাটি পড়ে মানুষকে সচেতনা দিতে পারো আরো নিজেকে ভালো কাজে সর্বদা নিয়োজিত করতে পারো ।
আমরা সবাই জানি যে মৃত ব্যাক্তিরা মৃত্যুর পর আবারো পৃথীবিতে আসতে চায়, তাদের ইচ্ছা হয় যে যদি একটি বার শুধু মাত্র ৫ মিনিটের জন্য আবারো পৃথীবিতে আসতে পারতাম শুধু মাত্র আমার ছেলে মেয়ে ও আত্নীয়দের বলতাম শুধু ভালো কাজ গুলি যেন আমরা করি খারপ কাজ গুলি বর্জন করি ।
কিন্তু সৃষ্টি কর্তার ইচ্ছায় সেতা আর হয় না হয় না আর পৃথীবিতে ফেরা ।
সাধারণত মৃত্যুর পর নিজের খারাপ কাজ গুলো মৃত ব্যক্তিরা দেখতে পায়। তাই অন্যকে ভালো কাজের জন্য লিখনির মাধ্যমে উৎসাহিত করাও একটি ভালো কাজ যা যে কেউ ৫ সেকেন্ডে মধ্যে করতে পারে । হ্যাঁ আমি বা আপনি যে কেউ ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে সর্বদা অন্যকে ভালো কথা বলতে পারিনা কিন্তু এই লেখা গুলির প্রাচার এবং প্রাসার করে অন্যকে ভালো কথা গুলি বলতে পারি । যা কিনা মৃত্যুর পর অনেকে করতে চাই ।
যা অসম্ভব হয়ে পড়ে । ভালো লেখনী ভালো উক্তি এক ধরনে ঈশ্বরের বানী প্রচার করার মত ভালো কাজ। যা যে কোন ব্যক্তি করতে পারে ।
Post a Comment
Please do not link comment any spam or drive spams content