আমাদের মধ্যে সবাই কী সুখী নিজেকে জিজ্ঞেস করেছেন কী কখনো । আমি কী সুখী বা আমরা কী সুখী আছি। একদিন আমার মেয়ে কে জিজ্ঞেস করেছিলাম তুমি কী সুখী । সে বলেছিলো সুখী আবার কী । আমি  বলতে পারবোনা ।  এখানে বলে রাখি আমার মেয়ের বয়স সাত বছর ছয় মাস। সে উল্টো আমায় প্রশ্ন করলো । আমি বোমেরাং হয়ে গেলাম। আমার প্রশ্ন আমায় করা হলো । কী করি এখন আমি তাকে বললাম সুখী তারাই যাদের মনে দুঃখ নেই । দিনের কষ্ট যাদের দিনেই শেষ হয়ে যায় । প্রতিদিন তাদের শুধু মাত্র দু বেলা আলু ভর্তা ভাত হলেই চলে অন্য কিছু চায় না । টাকা কুড়ি  স্বর্ণ রুপা কারী কারী ব্যাক বেলেন্স প্রাইভেট বাংলো এমন কী থাকার জন্য বিলাস বহুল অট্টালিকা কোন কিছুই তাদের প্রয়োজন পরেনা তারাই হলো সুখী । যাদের মনে কোন কিছু পাবার ব্যাপক আগ্রহ কিংবা কঠিন তপস্যা নাই দিন আনে দিন খায় এমন মানুষ যারা তারাই মূলত সুখী । বিভিন্ন দিকে যদি তাকাই তাহলে দেখতে পাই সুখী তারাই যাদের মধ্যে জীবনে শুধু আছে নিজের জীবন আগে বা পরে কোন ধনসম্পদ নেই; নেই কোন ব্যাংঙ্ক ব্যালেন্স এমন লোকই সত্যিকারের সুখী । 


কারণ তাদের কে এই ধনসম্পদ নিয়ে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স নিয়ে আলাদা করে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন ভাবে চিন্ত ভাবনা করতে হয় না । কারো সাথে মন মালিন্নে যেতে হয় না কারো সাথে প্রতিযোগীতায় বসতে হয় না । এমন কী এই অতিরিক্ত ধন সম্পদের জন্য অতিরিক্ত বুদ্ধি খরচ করতে হয় না । সাধারণ ভাবে সবার চোখে সাধারণ থাকা যায় । একদম সাদাসিদে জীবন অতিবাহীত করা যায় । যেখানে যেমন সেখানে তেমনিভাবে নিজেকে খাপ খাইয়ে চলা যায় । এমন সাদাসিদে ধন সম্পদ হীন লোকদের জীবনে চাইবার মত কিছু থাকেনা তাদের একটাই চাওয়া থাকে যেন ভাতে -ডালে জীবন টা ভালো ভালোই কাটানো যাই । এদের জীবনে আমরা গাড়ী বাড়ি পেলাম না, সুবিশাল অট্টালিকা পেলাম না , ভালো কোটি টাকার গাড়ী পেলাম না এমন চাওয়া এবং পাওয়ার কোন সন্ধিক্ষন নেই । সুখি মানুষ যারা তারা সর্বদা সাদা সিদে থাকেন বিত্তশালীদের মধ্যে তাই আদর্শ সুখি কেউ হতে পারনা ।

আমি একবার ভারতবর্ষের কলকাতার বেন্ডেল চার্চে গিয়েছিলাম । উক্ত ছবিটি ভারত বর্ষের  কলকাতার বেন্ডেল চার্চে। সেখানে আমি দেখেছি অনেক বিত্তশালী যাদের অনেক টাকা পয়সা আছে তাদের অনেকে আসে এখানে সাধধী মা লেডী বেন্ডেল এর কাছে প্রার্থনা করার জন্য কিন্তু যারা অসহায় তাদের কে কাউকে দেখিনি এখানে আসতে । অনেক কে দেখেছি আমার মত প্রার্থনা করছে মা লেডি বেন্ডেলের কাছে গভীর বিশ্বাস নিয়ে প্রার্থনা করতে ।  অনেক সুন্দর এই মা লেডী বেন্ডেল চার্চের ভিতরে অংশ এবং প্রতি বছর এখানে লাখ লাখ ভক্ত তীর্থের জন্য আসে সবাই কিন্তু মধ্যবিত্ত একদম যাদের কিছুই নেই তাদের মত লোক কিন্তু খুব কম আসে । কারণ তাদের বিশ্বাস যীশু তাদের কে অনেক সুখেই রেখেছে । এছাড়াও তাদের টাকা পয়াস নেই যা আছে তা নিয়ে তার খুব সুখেই আছে । মাথার ঘাম পায়ে ফেলছে , থাকার মত অনেক বড় অট্টালিকা নেই, গাড়ি নেই, জন্মদিন পালনের জন্য লোকদের খাওয়ানোর জন্য বিশেষ খাবার দাবার করার মত এত টাকা পয়সা নেই । তবে হ্যাঁ আছে সারাদিন হাড়-ভাঙ্গা পরিশ্রমের পর রাত্রে গরম ভাত সাথে ডাল ভর্তা দিয়ে খাবার পর  খোলা আকাশের নিচে বা কাঁচা ঘড়ে দুশ্চিন্তা মুক্ত এক ঘুমে রাত্রি পার করার মত মাহা সুখ । 

Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post