ইতিহাস বলে ১৯৭০ খ্রীষ্টাব্দে সর্বপ্রথম মার্কিন সিনেটর গেলর্ড নেলসন এই ধরিত্রী দিবসটি সূচনা তথা প্রচলন করেন । সেই থেকেই চালু আছে প্রতি বছর এই ধরিত্রী দিবস লালন পালন করা । বিশ্বের অনেক দেশ অনেকদ ধুমধামের সহিত এই ধরিত্রী দিবস পালন করে আবার অনেকে একদমি উদাসীন যে কি হবে এই ধরিত্রী দিবস লালন পালন করে । তাদের মতে যেখানে উন্নত বিশ্ব ধরিত্রী সুরক্ষার কথা বলে নিজেরাই এর বিরোধীতা করছে সেখানে আমারা এর লালন পালন করে কি করবো । বর্তমান যুগ টেকনোলজির যুগ । এই যুগে টেকনোলজি এমন ভাবে আমাদের সবাইকে নিয়ন্ত্রন করছে যে ধরিত্রীর কথা আমরা ভুলে বেমালুম ধরাসায়ী । তার পরেই আজ ২২ এপ্রিল সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে ধরিত্রী দিবস । এবার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় "রিসোর্ট আওয়ার আর্থ" ১৯৭০ খ্রীষ্টাব্দের ঘটনা তখন জলবায়ু সম্পর্কে সচেতনা সৃষ্টির জন্য প্রায় দু কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। ফলে তার কিন্তু সফল হয়েছিল, সারা বিশ্বে আজ এই দিবসটি এই দিনে পালিত হচ্ছে । কিন্তু পালন করেই কি হবে এর যথাযথ প্রয়োগ না হলে কি করে রক্ষা পাবে আমাদের সবার প্রিয় ধরিত্রী । অনেক উন্নত দেশ কিন্তু আজ বহির্বিশ্বে ভালো অবস্থানে আছে তাদের বিশেষ কার্যকর ভূমিকার জন্য । 



করোনা ভাইরাসের মাহামারি অবস্থা থেকে আমাদের সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত তাই দেড়িতে হলেও আগামী প্রজন্মের জন্য সুস্থ্য ও স্বাভাবিক ধরিত্রী নিশ্চিত করে রেখে যাবার জন্য আমাদের সবার একযোগে কাজ করতে হবে । এই ধরিত্রী তথা পৃথিবীকে বসবাসের উপযোগী করে রেখে যেতে সর্বাত্নক ভূমিকা রাখতে হবে আমাদের সবার। তাই আসুন সবাই যার যার অবস্থান থেকে আমাদের আগামী প্রজন্মদের জন্য এই ধরিত্রীকে বাসযোগ্য করে রেখে যায় । পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রতি বছর গাছ না কেটে একটি করে গাছ লাগাই, প্লাস্টিকের জিনিস ব্যবহার বন্ধ করি এবং অন্যকে উৎসাহিত করি এই প্লাস্টিকের পণ্য ব্যবহার না করার জন্য ।   


Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post