আচমকা ওজন কমছে? সাবধান! শরীরের এই ৫ সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা



সামগ্রিক স্বাস্থ্যের প্রতিফলন ঘটে ওজনে। কিন্তু আচমকা ওজনের ওঠানামায় বড় রোগের সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে।

অস্বাভাবিক ওজন বেড়ে গেলে ব্যায়াম করতে হয়। ঝরাতে হয় চর্বি। কিন্তু কোনও কারণ ছাড়াই যদি ওজন কমতে শুধু করে, তবে সাবধান। এটা বড় কোনও বিপদের লক্ষণ। সামগ্রিক স্বাস্থ্যের প্রতিফলন ঘটে ওজনে। কিন্তু আচমকা ওজনের ওঠানামায় বড় রোগের সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে। এছাড়া চুল পড়া, ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার ঘটনা আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ মনে হলেও, এই লক্ষণগুলো অবহেলা করা উচিত নয় মোটেই।

থাইর‍য়েড: থাইরয়েড বিপাকের তত্ত্বাবধান করে। ফলে থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ওজন বেড়ে যায়। দ্রুত বিপাক ক্রিয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে অতি দ্রুত বিপাকের ফল ক্ষতিকারক হতে পারে। দ্রুত ওজন হ্রাস কখনও কখনও অতিরিক্ত জটিলতা ডেকে আনে। যেমন হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, উদ্বেগ, ঝাঁকুনি, কাঁপুনি বা অনিদ্রা সবই অতিরিক্ত সক্রিয় থাইরয়েডের লক্ষণ।

আরও পড়ুন: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আকস্মিক হৃদরোগ! ডিম খাওয়া কি বাড়িয়ে দেয় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি?

অন্ত্রের রোগ: আচমকা ওজন হ্রাস সিলিয়াক ডিজিজ, ক্রোহন ডিজিজ, ল্যাকটোজ এবং অন্ত্রের ক্ষতির মতো অবস্থার কারণে ঘটে যা ম্যালঅ্যাবসরপশন ঘটায়৷ এর ফলে অন্ত্র প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণে বাধা পায়। তবে গ্লুটেন-মুক্ত খাদ্য দিয়ে সহজেই এর চিকিৎসা করা যেতে পারে।

ক্যানসার: আচমকা ওজন হ্রাস ক্যানসারেরও লক্ষণ হতে পারে। যদি কেউ দেখে খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়ামের রুটিন কিংবা স্ট্রেস লেভেলের কোনও পরিবর্তন ছাড়াই শরীরের ওজন আচমকা কমে যাচ্ছে তবে অবশ্যম্ভাবী সেটা ক্যানসারের মতো গুরুতর কিছুর লক্ষণ। ক্যাচেক্সিয়া একটি সিন্ড্রোম যা অনেক ক্যানসারের সঙ্গে যুক্ত। এটা গ্যাস্ট্রিক এবং অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের পাশাপাশি ফুসফুস, মাথা এবং ঘাড়কে আক্রান্ত করে। পরবর্তী পর্যায়ে কোলারেক্টল ক্যানসারের রূপ নেয়।

আরও পড়ুন: ওজন কমবে, শরীরের টক্সিনও দূর হবে, ডায়েটে রাখুন এই ম্যাজিক ফুড

রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস: রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস একটি প্রদাহজনিত ব্যাধি। এতে শরীরের জয়েন্টগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রিউমাটয়েড আর্থারাইটিসের ফলে দ্রুত ওজন কমে যায়। কারণ প্রো-ইনফ্লেমেটরি সাইটোকাইনগুলি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে প্রদাহ এবং শক্তি ব্যয় উভয়ই বাড়ায়। এর অর্থ শরীর প্রতিদিন আরও বেশি ক্যালোরি এবং চর্বি পোড়ায়। ৩০ ঠেকে ৫০ বছর বয়সীরা রিউমাটয়েড আর্থারাইটিসে আক্রান্ত হন সবচেয়ে বেশি।

মাদকাসক্তি: ড্রাগ বা মাদক সেবন করলেও ওজন কমে যায়। মাদকের নেশায় ব্যক্তি বুঁদ হয়ে থাকে। প্রায়ই দীর্ঘক্ষণ খিদে, তেষ্টার কথা মনে থাকে না তাঁদের। ফলে ওজন কমতে থাকে। মাদক সেবনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে যায়। এটাও ওজন হ্রাসের দিকে পরিচালিত করে। কিছু নেশা, যেমন সিগারেটের ধোঁয়া, খিদে কমিয়ে দেয়, ফলে ওজন হ্রাস হয়।

CLUE WHO.UNITED STATE. 

আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন ।   কোন সাজেশন থাকলে নির্ধিদায় আমাদের কে জানান, কমেন্টস করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ  ।



Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post