কিডনী রোগীদের এসিডিটি- কি করব আর কি করবনা?



এসিডিটি মোকাবেলায় Lifestyle & Food habit Change কে সবচেয়ে আগে বলতেই হবে। কারন বেশিরভাগ ভুক্তভোগী শুধুমাত্র এটা ঠিক করলেই এসিডিটি থেকে পরিত্রান পেতে পারেন। এর নিয়ম-কানুন আমরা সবাই জানি, তারপরো আবার মনে করি

*খাবারে ঝাল ও তেল-মশলার পরিমান কমানো

*খাওয়ার পর ভরপেটে সাথেসাথে শুয়ে না পড়া, কিছুক্ষন হাটা

*রাতে ঠিকমত ঘুমানো

*প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় হাটাহাটি করা

আরো পড়ুনঃ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শুরু হয়েছে ট্রান্সপ্ল্যান্ট

কিন্তু অনেকসময় লাইফস্টাইল চেঞ্জ করেও এসিডিটি থেকে মুক্তি মেলেনা। বিশেষ করে কিডনি অসুখে এত বেশি বিভিন্ন ধরনের মেডিসিন খেতে হয়, ট্রান্সপ্লান্টের পর লাইফলং স্টেরয়েড খেতে হয়– এসব কারনে মাঝেমাঝে এসিডিটি অসহনীয় হয়ে ওঠে। তখন মেডিসিন ছাড়া উপায় নেই।

কমনলি ৩ ধরনের মেডিসিন খেতে দেয়া হয়।

★রেনিটিডিন জাতীয় মেডিসিনঃ

এই গ্রুপটির নাম H2 Receptor Blocker….. রেনিটিডিন ছাড়া এই গ্রুপের অন্যান্য মেডিসিনগুলোর বিভিন্ন সাইডএফেক্টের কারনে সেগুলোর ব্যাবহার খুবই সীমিত। সর্বশেষ র‍্যানিটিডিনে ক্যান্সারের উপাদান পাবার কারনে এটিও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

★ইসোমেপ্রাজোল/প্যান্টোপ্রাজোল/র‍্যাবিপ্রাজোল জাতীয় মেডিসিনঃ

এই গ্রুপের নাম Proton Pump Inhibitor. এখোনো পর্যন্ত এই গ্রুপের মেডিসিন সবচেয়ে বেশি প্রেসক্রাইব করা হয়। কিন্তু এই গ্রুপের মেডিসিনেরও কিছু খারাপ দিক আছে। যেমনঃ

*এই গ্রুপের ওমেপ্রাজোল দীর্ঘদিন খেলে তা কিডনির ক্ষতি করে।

*এই গ্রুপের মেডিসিন আমাদের শরীরের proton pump কে কাজ করতে না দিয়ে সরাসরি এসিড তৈরিতে বাধা দেয়। কিন্তু শরীরে অন্য অনেক কাজে এসিডের প্রয়োজন আছে। তাই প্রত্যক্ষভাবে এসিডিটি কমালেও এটা শরীরের অন্য অনেক কাজকে বাধাগ্রস্ত করে।

*খাবারের সাথে অনেক ব্যাকটেরিয়া আমাদের পাকস্থলীতে প্রবেশ করে। এসিডের কাজ এসব ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করা। কাজেই এসিড তৈরি বন্ধ থাকলে খাবারের এই ব্যাকটেরিয়াগূলোই ডায়রিয়া বা অন্যান্য পেটের অসুখের কারণ হতে পারে।


*দীর্ঘদিন এই মেডিসিন খেলে পাকস্থলী ও অন্ত্রের এসিড তৈরি করার গ্রন্থি এমনভাবে নিজেকে বদলিয়ে ফেলতে পারে যেন পরবর্তীতে মেডিসিন বন্ধ করা হলেও স্বাভাবিক মাত্রার এসিড তৈরি হয়না।

*দীর্ঘদিন (প্রায় ১৫-২০ বছর টানা) এই মেডিসিন খাওয়ার সাথে পরিপাকতন্ত্রের ক্যান্সারের সরাসরি সম্পর্ক পাওয়া গিয়েছে।


★এন্টাসিডঃ

ট্রান্সপ্লান্টদেরকে এন্টাসিড অন্যান্য ইমিউনোসাপ্রেসেন্ট এর সাথে টাইম গ্যাপ করে খেতে হবে। সরাসরি ক্ষারীয় প্রকৃতির বলে এটিও টানা খাওয়া যাবেনা।

বাকি আর যে অল্প কয়েকটি গ্রুপের মেডিসিন আছে সেটা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবেনা।


সব মিলিয় শেষ সিদ্ধান্ত এটাই যে –কিডনি অসুখে বা ট্রান্সপ্লান্টের পরে সবসময় সময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এসিডিটির মেডিসিন খেতে হবে। কিন্তু সারাজীবন টানা খাওয়া যাবেনা। মেডিসিন এডজাস্ট হওয়ার পরে ধীরেধীরে বাদ দিয়ে দিতে হবে।

পরবর্তীতে হঠাৎ করে বেশি এসিডিটি বোধ করলে অল্প কিছুদিন খাওয়া যাবে।

বাকিটা শুধুই LIFESTYLE MODIFICATION-ই ভরসা।

এটা শুধু অসুস্থ মানুষ না, সুস্থদের জন্যও সমানভাবে প্রোযোজ্য।

Never taken Medicine without your Doctor and Doctor professor or medicine consultant. 






Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post