লং কোভিডে অবশ্যই ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলি!
লং কোভিডের একটি অন্যতম প্রধান উপসর্গ হল ক্লান্তিভাব। যদি সবসময়েই ক্লান্তি অনুভব হয়, তাহলে কার্বোহাইড্রেট এনার্জির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
লং কোভিডের ক্ষেত্রে সাধারণত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার চার সপ্তাহ পরেও রোগীর শরীরে উপসর্গ থাকে। সেক্ষেত্রে শুধু শারীরিক নয়, কিছু মানসিক উপসর্গও দেখা যায়। লং কোভিডে ক্লান্তিভাব, শ্বাসকষ্ট, মস্তিষ্কে আচ্ছন্ন ভাব, দুশ্চিন্তা, হতাশা ও পেশিতে ব্যথা হতে দেখা যায়। তাই দ্রুত সুস্থতার জন্য সঠির ডায়েটের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যা পেশির পুনরায় গঠনে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে এবং এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ কাশি থেকে রোগ নির্ণয় করবেন যেভাবে
ক্লান্তির জন্য হোল গ্রেইন কার্বোহাইড্রেট
লং কোভিডের একটি অন্যতম প্রধান উপসর্গ হল ক্লান্তিভাব। যদি সবসময়েই ক্লান্তি অনুভব হয়, তাহলে কার্বোহাইড্রেট এনার্জির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে কার্বোহাইড্রেট মেজাজ ভালো রাখে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। তাই সারাদিন সঠিক মাত্রায় এনার্জির জন্য হোল গ্রেইন কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার চেষ্টা করা দরকার। এক্ষেত্রে ওটস, হোল হুইট, হোল গ্রেইন রাইস, মিলেট, হোল বার্লি, কিনোয়া এবং ব্রাউন রাইস ডায়েটে রাখতে বলছেন পুষ্টিবিদরা।
স্বাদ ও গন্ধের জন্যে স্ট্রং ফ্লেভার
লং কোভিডের আরও একটি সাধারণ লক্ষণ হল স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি না থাকা কিংবা পরিবর্তন হওয়া। পুষ্টিবিদেরা তাই খাবারে জোরালো কোনও ফ্লেভার এনে স্বাদ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে স্বাদে নতুনত্ব আনতে ডায়েটে মশলা, সাইট্রাস ফল এবং চিজ রাখা যায়। স্বাদ ও গন্ধ কমে গেলে খিদেতেও তার প্রভাব পড়তে পারে। যদি কম খিদের জন্য ওজন কমে যায়, তাহলে কিছু ঘন্টা অন্তর সামান্য খাবার খেতে হবে। এতে সামগ্রিক ভাবে স্বাস্থ্যও ঠিক থাকবে।
আরো পড়ুনঃ কাশি কমছেই না, কী করবেন?
অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার এবং প্রোবায়োটিক
প্রধানত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য ঠিক থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে ৬ উপায়
স্বাস্থ্যকর মাইক্রোবায়োম রয়েছে এমন খাবার খেতে হবে। সবজির মধ্যে বাঁধাকপি, পেঁয়াজ, রসুন, বাদাম, বিভিন্ন বীজ, ডাল এবং প্রোবায়োটিক খাবার খাওয়া উচিত। প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট কোভিড সম্পর্কিত অন্ত্রের লক্ষণ ঠিক করতেও সাহায্য করে। সুস্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টও খুব উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলে করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় পজিটিভ ফলাফল আসে। একইসঙ্গে ভিটামিন ডি-এর জন্যে কোভিডের কারণে শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে এমনকী মৃত্যু ভয় পর্যন্ত রয়েছে।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । কোন সাজেশন থাকলে নির্ধিদায় আমাদের কে জানান, কমেন্টস করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
Post a Comment
Please do not link comment any spam or drive spams content