সাজেকে অগ্নিকাণ্ডে হোটেল ও কটেজসহ ১২০টি স্থাপনা পুড়ে গেছে
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ট্যুরিজম সেন্টার রিসোর্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩২টি রিসোর্টসহ ৯৪টি স্থাপনা পুড়ে গেছে।
তবে স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী এই তথ্য জানা গেলেও জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের ইমতিয়াজ ইয়াসিনের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১২০টি স্থাপনা পুড়ে গেছে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
Read More হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণ
জানা যায়, সোমবার দুপুর ১টার দিকে সাজেক ট্যুরিজম সেন্টারের ইকোভিলেজ রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং মুহূর্তের মধ্যে ভ্যাকেশন রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে।
সেখান থেকে আগুনের শিখা ছড়িয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রিসোর্ট, কটেজ, রেস্তোরাঁ, দোকানপাট এবং বাড়িঘর পুড়ে যায়।
সেই সময় স্থানীয়রা সর্বাত্মক চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে পারেনি। পরে প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী এবং স্থানীয়দের কমপক্ষে সাড়ে তিন ঘন্টার প্রচেষ্টার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
Read More ২০২৫ সালে বিনামূল্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি উপার্জনের ৩টি সেরা উপায়
স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট রিসোর্ট মালিকরা এই তথ্য দিয়েছেন। তবে আগুন লাগার তাৎক্ষণিক কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি তারা।
স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, আগুনে ৩২টি রিসোর্ট, ৩৫টি বাড়ি, ৭টি রেস্তোরাঁ এবং ২০টি দোকান পুড়ে গেছে।
এই তথ্যের উল্লেখ করে সাজেক ট্যুরিজম রিসোর্ট-কটেজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুবর্ণদেব বর্মণ বলেন, প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, সিগারেটের আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
আজ দুপুর ১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে অবকাশকালীন রিসোর্টে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
সাজেক রিসোর্ট কটেজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জয় বলেন, সাজেক ট্যুরিজম সেন্টারের রিসোর্টে যে ভয়াবহ আগুন লেগেছে তাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে; যার সঠিক তথ্য এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।
বিস্তারিত মূল্যায়নের পর জানা যাবে। প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, রিসোর্ট সহ প্রায় শতাধিক স্থাপনা পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আখতার জানান, দুপুরের দিকে সাজেকের একটি রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালা থেকে দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর জন্য কাজ করে। খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটও আগুন নেভানোর প্রচেষ্টায় যোগ দেয়।
Read More ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ৬৪ একর জমিতে কী রয়েছে ? কলকাতার ফুসফুস, অজানা তথ্য জেনে নিন
পরে, বিকেল ৪:৩০ টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বাঘাইহাট জোনের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মেজর মো. আবু নাঈম খন্দকার বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এই মুহূর্তে নিরূপণ করা যাচ্ছে না। মূল্যায়নের পর ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত জানা যাবে।
Post a Comment
Please do not link comment any spam or drive spams content