বহুমূত্র , ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস, অর্শ্বরোগ, হাঁপানি ও কাশি
(Diabetes) বহুমূত্র
মানবদেহের অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অব ল্যাঙ্গার হান্স নামক স্থান থেকে ইনসুলিন নির্গত হয় । এ ইনসুলিন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা সঠিক রাখে । কোন কারণে দেহাভ্যন্তরে ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে বহুমূত্র রোগ দেখা যায় ।বহুমুত্র রোগের পুরোপুরি নিরাময়ের ব্যবস্থা নেই । তবে নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবন অতিবাহিত করা যায় । শর্করা জাতীয় খাবার একেবারেই বর্জন করা উচিত । হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে । এই রোগের নাম থেকেই বোঝা যায় এতে রোগী ঘন ঘন প্রস্রাব করে । তবে কতক ক্ষেত্রে এর সামান্য ব্যতিক্রম হতে দেখা গেছে । এছাড়া এ সমস্ত রোগে আক্রান্তদের শরীরে কোন ক্ষত সহজে শুকায় না । এছাড়া এ ওজন কমে যায় । দুঃশ্চিন্ত জীবনকে প্রভাবিত করে । রোগী সামান্যতেই অস্থির ও উত্তেজিত হয়ে পড়ে । পরিবারের লোকজন ব্যাপারটি উপলব্ধি করে রোগীর সাথে সহনশীল ব্যবহার করলে রোগী অনেকটা নিয়ন্ত্রিত থাকে। নিম্নে পরিত্রানের উপায় হিসেবে কতগুলি ভেষজ উদ্ভিদের নাম দেওয়া হলো
১ । তেলাকুচা
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম: Coccinia cordifolia
গোত্র । : Cucurbitaceae
সেবন বিধি এ উদ্ভিদটি বহুমূত্র রোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী । এর পাতা ও শিকড়ের রস (৪/৫ চা চামচ) প্রত্যহ সকালে বিকালে নিয়মিত সেবন করলে রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে । উক্ত রস সামান্য গরম করে সেবন করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
২। করল্লা
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নামঃ Momordica charantia
গোত্র : Cucurbitaceae
পথ্য নিয়ম ঃ করলার রস ভালো কজা করে এই রোগের জন্য ।
কচি করল্লা থেতো করে ছেকে নিয়ে (১.কাপ) প্রতিদিন সকাল বেলা খালি পেটে সেবন করলে রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩। কলার মোচা
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নামঃ Musa paradisiaca
গোত্র : Musaceae
সেবন বিধি > কলার মোচা তরকারী করে নিয়মিত খেলে বহুমুত্র রোগে
বেশ উপকার হয় । আবার অনেকের মতে মোচার (৩/৪ চা চামচ) রসের সাথে মধু ১২/২০ফোটা) মিশিয়ে সকাল-বিকাল নিয়মিত খেলে রোগ নিয়ন্ত্রণে ।
৪। জাম
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নামঃ Syzygiuth cumini
গোত্র : Myrtaceae
সেবন বিধি ঃ জাম বীজের গুড়া বহুমুত্রের ঔযধ হিসেবে ব্যবহার করা হয় । কাপে বীজের গুড়া রাত্রে ভিজিয়ে রেখে সকালে পানিসহ সেবন করা হয়।
৫। নয়ন তারা
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নামঃ Vinca rosea
গোত্র : Catharanthus roseus D. Don Apocynaceae
সেবন বিধি > এ উদ্ভিদের কচি পাতা খেয়েও অনেকে উপকার পেয়েছেন বলে সকালে খালি পেটে কয়েকটা কচি পাতা চিবিয়ে খেতে হয়।
৬। অড়হর
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম : Cajanus cajan
গোত্র : Papilionaceae
সেবন বিধি > এ উদ্ভিদটির পাতার রস সামান্য গরম করে নিয়মিত সেবন করলে উপকার পাওয়া যায় । আবার শিকড় থেতো করে পানিতে (২ কাপ) গরম করে ১.৫ কাপ পরিমান থাকতে নামিয়ে সেই মিশ্রণের সাথে ২/৩ চামচ মধু মিশিয়ে সেবন। করলে বহুমূত্র রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে ।
উদরাময় (Diarrhoea)
ডায়রিয়া একটি বহুল পরিচিত রোগ অনেকেরই কোন না কোন সময় এ রোগ হয় । কোন কারণ নের ক্ষুদ্রান্তের ক্রিয়া কর্মের ব্যাঘাত ঘটলে তার দ্রুত সংকোচন বটে । এ কারণে মলের জলীয় অংশ শোষণের সময় না পাবার কারণে পাতলা পায়খানা হয় । পচা বাসী বাবার, দূষিত পানি অত্যধিক মসলাযুক্ত খাবার ইত্যাদির কারণে এ রোগ হয় । পানির মাধ্যমে রোগ বেশ বড় আকারে ঘটতে পারে । ডায়রিয়ায় দেহের জলীয় অংশ বেরিয়ে যাবার কারণে দেহে পানি শূণ্যতার সৃষ্টি হয় । এ কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে ঘন ঘন খাবার স্যালাইন এর কোন বিকল্প নেই
এ রোগ থেকে পরিত্রাণের জন্য পরিত্রাণের জন্য নিম্নে কতকগুলো ভেষজ চিকিৎসার উল্লেখ করা
১। আমলকি ,
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম : Phyllanthus emblica
গোত্র :: Euphorbiaceae ব্য
ব্যবহার বিধি > পাতলা পায়খানা যখন মারাত্নক আকার ধারন করে অর্থাৎ পায়খানা থামানোর প্রয়োজন তখন আমলকী থেতো করে নাভীর চারপাশে লাগানো হয় এর মাঝে আদার রস ভেজানো পাতলা কাপড় দিয়ে তার উপর আদার রস দেওয়া হয় সেই সাথে খেতে দিতে হয় ।
২। কুড়চি :
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম : Holarrhena antidysenterica
গোত্র : Apocynaceae
ব্যবহার বিধি : কয়েকদিন থেকে পায়খানা চলছে এবং সেই সাথে পেটে যন্ত্রনা থাকতে এ উদ্ভিদটি ব্যবহার করা যেতে পারে । শুকনো ছাল (৫/৭ gm) ২ কাপ পানিসহ জ্বাল দিয়ে আধা কাপ থাকলে নামিয়ে নিতে হয়। উক্ত দ্রবণটি ছেকে নিয়ে প্রতিদিন ২/৩ বার সেবন করলে উপকার পাওয়া যায় ।
৩। পেয়ারা
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম: Psidium guajava ;গোত্র : Myrtaceae
ব্যবহার বিধি > পাতলা পায়খানার সাথে বমি হলে এ উদ্ভিদটি ব্যবহার করা যেতে পারে ।পেয়ারার কয়েকটি কচিপাতা ৩/৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করতে হয়। পানির পরিমান কমে এক কাপ থাকতে নামিয়ে নিতে হয়। অতঃপর দ্রবণটি ছেকে প্রাপ্ত । পানি খেলে বমি বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে বার বার খেলে পায়খানা ও কমে যায় । বলে জানা গেছে ।
৪। লবঙ্গঃ
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম: Syzygium
aromaticum
গোত্র : Myrtaceae
ব্যবহার বিধিঃ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের অনেক সময় পেট ফাপে এবং পেটের ভেতর শব্দ হয়, এক্ষেত্রে এ উদ্ভিদটি ব্যবহার করা হয় । লবঙ্গ ভেজে চূর্ণ করতে হয় । সামান্য কিছু গরম করা পানি নিয়ে একদম পিসিয়ে নিলে প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে পান করলে ভালো উন্নতি হয় ।
৫। ক্ষেৎপাপড়া
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম: Oldenlandia corymbosa
গোত্র ঃ: Rubiaceae
ব্যবহার বিধি ঃ ডায়রিয়ার রোগীদের অনেক সময় দুর্গন্ধযুক্ত পায়খানা হয় । আবার পায়খানা প্রবল বেগে হয় । এক্ষেত্রে এ ভেষজ উদ্ভিদটি ব্যবহৃত হয়। উদ্ভিদটির তাজা পাতা (১০-২০ gm), সামান্য পিষে ২/৩ কাপ গরম পানিতে ২৫/৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হয় । অতঃপর ঘেঁকে নিয়ে পানিটুকু অল্প অল্প করে ১০/১৫ মিনিট পরপর খেলে উপকার পাওয়া যায় ।
আমাশয় (Dysentery)
আমাদের দেশে এমন লোক কমই পাওয়া যাবে যাদের, আমাশয় রোগ হয়নি । আমাশয় সাধারণত – দু প্রকার ১)amoeba জীবাণুঘটিত এবং (২) Bacillary আমাশয় । প্রথমোক্ত ক্ষেত্রে হজমে ব্যাঘাত ঘটে, মারত্নক পেটে ব্যাথা থাকে । দিনে ৩/৪ বার দুর্গন্ধযুক্ত পায়খানা হয় । দ্বিতীয় প্রকারের আমাশয়ের ক্ষেত্রে অবস্থা দ্রুত মারাত্নক আকার ধারণ করে । পরিমাণে অল্প কিন্তু বারে বারে পায়খানা হয় । অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর হয় ।প্রথম প্রকারের আমাশয় Eniamoeba histo/ytica নামক জীবানুর আক্রমণে হয় । পানির মাধ্যমে এ রোগের দ্রুত বিস্তার ঘটে। দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমেই এ রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে । এ ব্যাসিলারী আমাশয় ব্যাকটেরিয়া ঘটিত । Shigella নামক ব্যাকটেরিয়া পেটে প্রবেশ করলেই এ রোগ হয় । পয়প্রনালী সুব্যবস্থা না থাকা, মাছির উপদ্রব ইত্যাদি এ রোগের প্রার্দুভাব ঘটায়। রোগের প্রদুর্ভাব মারাত্মক হলে মলের সাথে আম ও রক্ত নির্গত হতে দেখা যায় ।
এ রোগ থেকে পরিত্রাণের জন্য পরিত্রাণের জন্য নিম্নে কতকগুলো ভেষজ চিকিৎসার উল্লেখ করা ঃ
১।। কালোমেঘ ঃ
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম: Andrographis paniculata
গোত্র: Acanthaceae
ব্যবহার বিধি : রক্ত আমাশয়ে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে । কচি পাতার রস (২ চা চামচ) পরিমাণমত পানির সাথে মিশিয়ে খালি পেটে সকাল বিকাল প্রত্যহ দুবার
নিয়মিত খেলে আমাশয় রােগ ভাল হয়।
২ । কুড়চি
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম ঃ Holarrhena antidysenterica
গোত্র : Apocynaceae
ব্যবহার বিধি : পায়খানার সাথে রক্ত নির্গত হলে এ ভেষজ চিকিৎসা গ্রহণ করা যেতে পারে । এক্ষেত্রে গাছের ছাল ব্যবহৃত হয়। (১৫-২০ gm) ছাল সামান্য পিসে (২-৪) কাপ পানিতে সিদ্ধ করে কমিয়ে এক কাপ পরিমাণ করে নিতে হবে । এভাবে প্রাপ্ত দ্রবণ থেকে পানি ছেকে নিয়ে সকাল বিকাল সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।
৩। কুল/বরই
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম: Zizyphus mauritiana
গোত্র : Rhamnaceae
ব্যবহার বিধি
পানির মত পাতলা পায়খানার পরো যদি দখা যায় যে রক্ত ও আমের মত যাচ্ছে
তাহলে এ উদ্ভিদটি ব্যবহার করা যেতে পারে। গাছের উপরের মরা ছাল বাদ দিয়ে ভেতর থেকে রসালো ছাল নিতে হবে । উক্ত ছাল (২/৩ gm) পিসে তার সাথে সামান্য পরিমাণে দুধ মিশিয়ে কয়েকদিন সেবন করলে আমাশয় রোগ ভাল হয় ।
৪।উলট কম্বল
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম : Abroma augusta; গোত্র Sterculiaceae
ব্যবহার বিধি ঃ আমাশয় রোগে উলট কম্বল গাছ ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকে উপকার পেয়েছেন । পাতার ডাটা এবং কচি কান্ড টুকরা টুকরা করে কেটে আগের দিন সন্ধ্যায় বা রাত্রে পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয় । পরদিন সকালে খালি পেটে ঐ পানি সেবন করতে হয় । এভাবে কয়েকদিন খেলে আমাশয় রোগ ভাল হয় । পদ্ধতির সাহায্যে আমাশয় নিরাময়ের পাশাপাশি শারীরিক দুর্বল উপকার পাওয়া যায় ।
৫। গন্ধ-ভাদুলি
উদ্ভিতাত্ত্বি নাম : Paederia foetida; গোত্র : Rubiaceae
ব্যবহার বিধিঃ
এ উদ্ভিদের পাতা অত্যন্ত দুর্গন্ধযুক্ত । আমাশয়ে পায়খানার সাথে আম পড়লে এ
পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় । পাতার রস (৩/৪ চা চামচ) চিনির মিশিয়ে অথবা সামান্য গরম করে মধুসহ (৮/১০ ফোটা) সেবন করলে উপকার আ যায় । পাতার অত্যাধিক দুর্গগন্ধের জন্য খাওয়া সম্ভব না হলে বড়া বানিয়ে ভাতের সাথে খাওয়া যেতে পারে
৬। বড় দুধিয়া
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম: Euphorbia hirta; গোত্র :
Euphorbiaceae
ব্যবহার বিধি ঃ আমিবা ঘটিত আমাশয়ে এটি অব্যর্থ ঔষুধ। সমস্ত উদ্ভিদ (তাজা) পিষে রস করে নিতে হয় । উক্ত রস প্রতিদিন দু'বার সেবন করলে আমাশয় ভাল হয়।
৭। বেল
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম : Aegle marmelos, গোত্র : Rutaceae
ব্যবহার বিধিঃ পুরাতন আমাশয় রোগে বাংলাদেশের সর্বত্র বেলের ব্যবহার প্রচলিত । কচি-কাঁচা বেলকে চাকা করে কেটে সেগুলোকে রৌদ্রে শুকানো হয় । এগুলোকে বেল শুঁঠ বলা হয় । দুটি বেল শুঁঠ আগের রাত্রে কাপের পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে ঐ পানি খেতে হয় । বেশ কয়েকদিন এভাবে নিয়মিত খেলে সকল প্রকার আমাশয় ভালো হয় । আবার বেল শুঁঠ গরম করে গুড়ো করে নিয়ে তার সাথে এক চা চামচ দই এর ঘোল মিশ্রিত করে খেলে সকল পুরানো আমাশয় ভাল হয় । বেলশুঠ বাজারে কিনতে পাওয়া গেলেও নিজ হাতে প্রয়োজনমত বানিয়ে নেওয়াই উত্তম ।
জন্ডিস (Jaundice)
এটি পান্ডুরোগ, ন্যাবা, কামলা ইত্যাদি নামে অঞ্চলভেদে পরিচিত ।পিত্তথলি থেকে নিঃসৃত পিত্তরস স্বাভাবিকভা অন্ত্রে চলে যায় । কোনো কারণে এর ব্যাঘাত ঘটলে অর্থাৎ অন্ত্রে যেতে না পারলে রক্তের রক্তের সাথে মিশে যায় এবং কোষ দ্বারা শোষিত হয় । সমস্ত শরীরের রঙ এবং সেই সাথে প্রস্রাবের রং হলুদ হওয়া এ রোগের প্রধান লক্ষণ ।
এ রগ থেকে বাঁচার উপায় কি তার জন্য কতগুলো ভেষজ উপায়ে চিকিৎসা দেওয়া হলো
১। অড়হড়
উদ্ভিদতাত্তিক নামঃ Cajanus cajan;গোত্র : Papilionaceae
ব্যবহার বিধি
জন্ডিস রোগের প্রথম অবস্থায় ব্যবহার করলে অড়হড় থেকে ভাল উপকার পাওয়া যায় । কচি পাতার রস (৪ চা চামচ) সামান্য গরম করে খেতে হয় । অনেক স্থানে অড়হড় পাতার রসের সাথে থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে আখের গুড়ের শরবত করে খাওয়ানো হয় ।
২) মান কচু
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নামঃ_Alocasia indica, গোত্র : Araceae
ব্যবহার বিধি ঃ
মানকচু গোল গোল করে কেটে রোদে শুকিয়ে নেওয়া হয় । অতঃপর ভালভাবে
পিসে গুড়ো করা হয় । এক চা চামচ পরিমাণ গুড়া নিয়মিত কয়েকদিন খেলে উপকার পাওয়া যায় । আবার মানকচুর গুড়ার সাথে অর্ধেক পরিমান চালের গুড়া মিশিয়ে পানিতে সিদ্ধ করে হালুয়ার মত তৈরি করা হয় । এটা কয়েকঘন্টা পরপর ৩/৪ বার খেলে উপকার পাওয়া যায় ।
৩। কাকমাচি :
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নামঃ Solanum migrum; গোত্র ঃ Solanaceae
ব্যবহার বিধি
জন্ডিস রোগে এ উদ্ভিদের পাতার রস ব্যবহার করা হয়। কচি ও সতেজ পাতা
পিসে তা থেকে রস ছেকে নেওয়া হয় । এ রস সামান্য গরম করে সকাল বিকাল ।
এবেলা ও ওবেলা ৫০ গ্রাম কি ৬০গ্রাম মত পরিমান করে পান করলে ভালো কাজ করে ।
৪। হলুদ
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নামঃ Curcuma long, গোত্র ঃ Zingiberaceae
ব্যবহার বিধি
কাচা হলুদের রস জন্ডিস রোগে বেশ কার্যকরী । হলুদের রসের সাথে চিনি অথবা মধু মিশিয়ে এক চামচ পরিমানে নিয়মিত খেলে উপকার পাওয়া যায় ।
৫। শ্বেতদ্রোণ
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম: Leucus livendifolia,গোত্র :
Lamiaceae (Labiatae)
ব্যবহার বিধি ঃ গাছের পাতা জন্ডিস রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় । পাতা ভালভাবে পিসে তা হাতের মধ্যে নিয়ে পানির প্রবাহের সাথে সাথে কচলাতে হয় । পাতার রস (কয়েক ফোঁটা) নিয়ে তাতে গ্লুকোজ পানিতে মিশিয়ে কিছুদিন সকালে ও বিকাল বেলা নিয়মিত খেলে ভালো কাজ করে ।
৬।মেহেদি
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম: Lawsonia inermis
ব্যবহার বিধি ঃ জন্ডিস রোগে এ উদ্ভিদটির মূল ব্যবহার করা হয় । আধা ফোটা আতপ চালধোয়া পানিতে মেহেদির মূল কচলাতে হয় । কচলানো পানি (২/৩ চা চামচ) এবং (৯/১০ চা চামচ) চালধোয়া পানি মিশিয়ে সকাল বিকাল কয়েকদিন খেলে উপকার পাওয়া যায়।
অর্শ (Piles)
মারাত্মক একটি রোগের নাম অর্শ । এটা সব সময় মলদ্বারে হয় । এ রােগ হলে মলদ্বার চুলকায়, মাঝে মধ্যে জ্বালা যন্ত্রণা করে । অর্শ স্বাভাবিকের চাইতে ফুলে উঠে । এ অবস্থায় পায়খানা ও হাটাচলা করতে ভীষণ কষ্ট হয় । কিছুদিন পর পর জ্বালা যন্ত্রনা কমে যায় এবং পরবর্তীতে আবার সমস্যা দেখা দেয় । রোগটা যদি ভিতরে হয় তাহলে পায়খানার সাথে অথবা এমনিও মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়ে । রোগটা অনেক পুরাতন হয়ে গেলে জ্বালা যন্ত্রণা থাকেনা, তখন কেবলমাত্র রক্তস্রাব চলতে থাকে । সাধারণত দীর্ঘদিনের কোষ্ঠ্যকাঠিন্য থেকে এ রোগ হয় । এ ছাড়া কোন কারণে মলদ্বারের ভেতরে চাপ পড়লেও এ রোগ হয় ।
এ মারাত্নক রোগ থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসেবে কয়েকটি ভেষজ চিকিৎসার কথা নিম্নে উল্লেখ করা ঃ
১। তেঁতুল।
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম: Tamarindus indica;
গােত্র : Caesalpiniaceae
ব্যবহার বিধি
রক্ত অর্শে তেঁতুল পাতার রস খাওয়ানো বেশ উপকারী বলে জানা যায় ।অপেক্ষাকৃত তরুন গাছ অর্থাৎ যাদের এখনো ফুল ফোঁটা আরম্ভ হয়নি এমন গাছের পাতা এ রোগে ব্যবহৃত হয়। প্রতিদিন সকালে এক কাপ পরিমাণ পাতর। রস সাত দিন যাবত খেতে হবে। নিয়মিত খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। অনেকের মতে এ চিকিৎসা গ্রহণের সময় চিংড়ী মাছ না খাওয়াই ভালো । আবার পুরনো কিছুর তেতুল থাকে সে পানিতে চুবিয়ে রেখে খেলে ভালো কাজ করে ।
২। নাগেশ্বর
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম:Mesua
nagassarium; গোত্র: Clusiaceae
ব্যবহার বিধি ঃ অর্শ রোগে এ উদ্ভিদের কাঁচা ফুল ব্যবহার করা হয় । আগের রাত্রে এক কাপ পানিতে (১০/১২ gm) ফুল ভিজিয়ে রাখতে হয় । সকাল বেলা ফুলকে সামান্য কচলিযে ছেঁকে নিতে হয় । অতঃপর সামান্য মধু মিশিয়ে সেই পানি খেতে হয় ।
৩। মুণ্ডি
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম: Sphaeranthus indicus
গোত্র : Asteraceae
ব্যবহার বিধি ঃ এটা বহুবর্ষজীবি বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। এর মূল অর্শ রোগে ব্যবহার করা হয়। প্রয়োজনীয় পরিমাণ মূল নিয়ে ভালভাবে পেসন করতে হবে । অতঃপর সেই মুল চূর্নের প্রলেপ আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হয় । দিনে ২/৩ বার এভাবে লাগালে বিশেষ উপকার পাওয়া যায় ।
৪। বাসক
উদ্ভিদতাত্ত্বিক নামঃ Adhatoda vasica,
গোত্রের নাম ঃ Acanthaceae
প্রয়োগ ঃ বাস্ক পাতা অর্শ রোগ প্রতিকারের জন্য ব্যবহার করা হয় ।
এর সাথে প্রয়োজন ৭টি জবা (Hibiscus rosa. Malvaceae) ফুল । ৩/৪ টি বাসক পাতার সাথে উক্ত জবা ফুল ভেজে গরম ভাতের সাথে সকালে রোগীকে খাওয়ানো হয় । অবশ্যই খালি পেটে এটা খেতে হবে ।
৫। ঘৃতকুমারী :
উদ্ভিদতাত্ত্বিক নামঃ Aloe indica; গোত্র : Liliaceae
ব্যবহার বিধি ঃ এ রোগে ঘৃতকুমারির পাতা ব্যবহার করা হয় । পাতার ভেতরে যে রসালো পিচ্ছিল মজ্জা থাকে (৫/৭ গ্রাম) তার সাথে সামান্য ঘি মিশিয়ে সকাল বিকাল সেবন করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায় ।
৬। শিশু
উদ্ভিদতাত্ত্বিক নামঃ Dalbergia sissoo ; গোত্র : Papilionaceae
ব্যবহার বিধি ঃ শিশু গাছের ছাল অর্শ রোগে ব্যবহার করা হয় । ১০/১২ gm শিশু গাছের ছাল ৪/৫ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ১ কাপ পরিমান থাকতে নামাতে হবে । অতঃপর। ছেকে যে পানি পাওয়া যাবে সেটা প্রতিদিন একবার সেবন করলে জ্বালা যন্ত্রনা অনেক কমে যাবে ।
৭। মানকচু
উদ্ভিদতাত্ত্বিক নামঃ Alocasia indica; গোত্র : Araceae
ব্যবহার বিধি ঃ মানকচুকে ভালভাবে শুকিয়ে গুড়া করে নিতে হয় অতঃপর ১ চা চামচ গুড়া সম পরিমান মাখন এবং সামান্য মিছরির গুড়া মিশিয়ে প্রতিদিন সকাল বিকাল দুবেলা খেলে উপকার পাওয়া যায় ।
হাঁপানি Asthma
হাঁপানি মারাত্মক একটি রােগ । এর দ্বারা হঠাৎ জীবননাশে সম্ভাবনা না থাকলেও বড়ই যন্ত্রনাদায়ক । কোন কারণে স্বাসনালীর মাংসপেশী সংকুচিত হয়ে পড়লে হাঁপানির কষ্ট অনুভূত হয় । এ রোগ হলে রোগী অনবরত হাপাতে থাকে ; অনেক সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় । প্রচুর পরিমাণে কফ নির্গত হয় । গলা ও বুকের মধ্যে শব্দ হয়। জীবাণ দ্বারা শ্বাসনালীর সংক্রমণ হলে এ রোগ হয় । আবার ভীতি, আতংক, মাথাব্যাথা ইত্যাদি থেকেও এ রোগের উৎপত্তি হতে পারে । হাপানি রোগ একবার হলে সম্পুর্ন সারে না কেবলমাত্র কষ্টটা কমিয়ে রাখা যায় ।
হাপানির কষ্ট থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসেবে নিম্নে কতগুলো ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো ঃ
১। তুলসী
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম Ocimum Sanctum ; গোত্র ঃ• Lamiaceae (Labiatae)
তুলসী পাতার রস হাঁপানি রোগীদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় । পাতার রসের ১০/১২mg) সাথে এক চামচ আদার (Zingiber officinale) Zingiberaceae রস ও সম পরিমান মধু মিশিয়ে প্রত্যহ ৩/৪ বার সেবন করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায় ।
2। পিপুল
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নাম : Piper long গোত্র ঃ Piperaceae
ব্যবহার বিধি ঃ এ উদ্ভিদটির বীজ হাঁপানি রোগে ব্যবহার করা হয় । বীজের গুড়া মধুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ২/৩ বার সেবন করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায় । আবার ২ gm পরিমাণ গুড়া ৪/৫ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে ছেকে। পানিটুকু ৩/৪ বার খেলে কষ্ট থাকেনা ।
৩। চিরতা
উদ্ভিতাত্ত্বি নাম : Svertia chirata গোত্র : Gentiniaceae
ব্যবহার বিধি : আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তনে যাদের হাপানির কষ্ট দেখা দেয় তাদের জন্য এ পদ্ধতি শ্রেয় । ০.৫ gm পরিমাণ চিরতা সামান্য মধুর সাথে ৩/৪ বার চেটে খেতে হবে । এতে বিশেষ উপকার পাওয়া যায় ।
৪। কালকাসুন্দা
উদ্ভিতাত্ত্বি নাম : Cassia sophera গোত্র : Caesalpiniaceae
ব্যবহার বিধি ঃ প্রথমে এ উদ্ভিদটির মূলের ছাল সংগ্রহ করে শুকাতে হবে । অতঃপর সেই ছাল (রেকটি-ফাইড) স্পিরিটে ভিজিয়ে রাখতে হয় । এর মাধ্যমে প্রাপ্ত দ্রবণের (কয়েক ফোটা) সাথে পানি মিশিয়ে সকাল বিকাল দুবেলা খেলে হাঁপানির কষ্ট লাঘব হয়। বিঃ দ্রঃ আরো দেখুন “কাশি”-র চিকিৎসা ।
Cough (কাশি)
এটা কোন রোগ নয় কেবলমাত্র অন্যান্য অনেক রোগের লক্ষন । হাঁপানি থাকলে সাধারণত রাত্রীবেলা কাশি হয় । এছাড়া যে কোনো প্রকারের জ্বরেও কাশি হতে দেখা যায় । রোগ নয় বলে কাশিকে অবহেলা করার কোনো কারণ নেই । কেননা দার্শদিন কাশি থাকলে অনেক ক্ষতির কারণ হয় এবং অন্যান্য অনেক রোগের কারণ হয়ে দাড়ায় । এ কাশি থেকে পরিত্রাণের জন্য কতিপয় ভেষজ চিকিৎসার কথা এখানে উল্লেখ করা হলো । এর সাথে। হাঁপানির অংশ ও দেখা যেতে পারে ।
১। বাসক
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নামঃ Adhatoda Vasica গােত্র। : Acanthaceae
ব্যবহার বিধি :: কাশিতে বাসক পাতা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয় । পাতা শুকিয়ে ভালভাবে চূর্ণ করে নিতে হয় । তিন চা চামচ মধুর সাথে ২/৩ grm বাসক পাতা চূর্ণ এবং অতি সামান্য পরিমাণে পিপুল চূর্ণ (Pipe longuum Piperaceae) শিশিরে প্রতিদিন ৩/৪ বার চেটে খেতে হয় । আবার কাচাপাতা অথবা ছালের। রস ও ব্যবহার করা হয় । এই রস এবং মধু ২ : ১ অনুপাতে মিশিয়ে প্রতিদিন ৪/৫ বার খেতে হয় । সেবনের পরিমাণ অবশ্যই (৬-৮) চা চামচ হওয়া বাঞ্চনীয় ।
১। আদা ::
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নামঃ Zingiber officinale গোত্র > Zingiberaceae
ব্যবহার বিধি ঃ কেবলমাত্র অর্থাৎ নতুন আরম্ভ হওয়া কাশিতে আদার রস ভাল কাজ করে । চিকন করে আদা কেটে সামান্য গরম করে নিলে ভাল হয় । আর ছোট বাচ্চাদের জন্য এর সাথে সামান্য পরিমাণে চিনি মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে । অন্যথায় তারা ঝাঝের কারণে আদার রস খেতে চাইবেনা ।
৩। পিপুল
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নামঃ Piper longun গোত্র Piperaceae
ব্যবহার বিধি ঃঃ কাশি হলে অনেক সময় বুকে কফ জমে যায়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য পিপুল বেশ ভাল কাজ করে । মূল ভালভাবে পরিষ্কার করে থেতলে রস বের করতে হয় । সেই রসের মধ্যে গরম লোহা ডুবাতে হয় । তারপর সেই পানি ২/৩ চামচ পরিমাণে দিনে তিনবার খেলে কফ পাতলা হয়ে বেরিয়ে যায় । এছাড়া বাসক পাতার সাথে এর ব্যবহার আগেই আলোচনা করা হয়েছে ।
৪। ঢেড়স
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নামঃ Abelmoschus esculentus ;
গোত্র ঃ Malvaceae
ব্যবহার বিধি ঃঃ প্রথমে কচি ঢেড়সের বীজ ছাড়িয়ে নিতে হবে । অতঃপর তাকে কচি কচি করে কেটে রোদে ভাল ভাবে শুকিয়ে গুড়া করে নিতে হয়। চিনির কড়া রসের মধ্যে ৭/৮ গ্রাম পরিমাণ ঢেড়স চূর্ণ নিয়ে পাকানো হয় । সামান্য কাশি হলেই এটা চুষে চুষে খেতে হয় । এতে ভাল উপকার পাওয়া যায়।
৫। অড়হড়
উদ্ভিদতাত্ত্বিক
নামঃ Cajanus cajan, গোত্র ঃPapilionaceae
ব্যবহার বিধি ঃঃ কাশিতে অড়হড় পাতার রস বেশ কার্যকরী। পাতার রস (৭/৮ চা চামচ) সামান্য । গরম করে নিয়ে তার সাথে এক চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে সকাল বিকাল দুবেলা । নিয়মিত সেবন করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
Taken help of the books
Glimses of Indian Ethnobotany - S. K. Jain 21.
Economic Botany in the Tropics 2nd End - S. L. Kochhar
I Botany for Degree students, Vol - V.
Gymnosperm - P. C. Vashishta 81 Bangladesh Geoscience Journal (Vol - 9 - 2003)
a Bangladesh Journal of Geology Vol - 9. Dhaka - 1990 y Review of palaeobotany
& Palynology 113 (2001) 91 Studies in Palaeobotany - Henry N. Andrews Jr. 1
Cryptogamic Botany - Vol 11 - G. M. Smith.
Translation:
Plants widely used in Bangladesh for several diseases:
Diabetes, diarrhea, jaundice, psoriasis, asthma and cough
Diabetes
Insulin is released from the human body's pancreatic islets of langer goose. Insulin helps keep blood glucose levels up. Diabetes is seen when insulin production is stopped in the body for some reason. There is no cure for acute disease. However, a normal life can be lived by living a controlled life. Sugar foods should be avoided at all. Light exercises can be done. As the name implies, the patient frequently urinates. However, in some cases this has been shown to be a slight exception. Apart from this, no wound on the body of the affected person is easily wiped out. Besides, the weight is reduced. Anxiety affects life. The patient is slightly restless and excited. The family understands the fact that the patient is very controlled when he or she is tolerant with the patient. The following are some herbal remedies to get rid of this disease
1. Oilseed
Botanical name: Coccinia cordifolia
Tribe : Cucurbitaceae
Consumption Rules This plant is very useful for diabetes. The leaves and roots of juice (1/4 teaspoon) are consumed regularly in the morning every morning and the disease is under control. If the juice is heated a little, then there is more benefit.
2. Karla
Botanical name: Momordica charantia
Tribe: Cucurbitaceae
Rules of consumption> Corolla juice is very effective in this disease. Kochi korla is used to control the disease by taking the boy (1.cap) on an empty stomach every morning.
3. Collar Mocha
Botanical name: Musa paradisiaca
Tribe: Musaceae
Consumption Rules> Regularly eating banana mucus is useful in many diseases. According to many, mocha (1/4 teaspoon of honey) mixed with juice (12/20 boil) in the morning and afternoon regularly to control the disease.
4. Jam
Botanical name: Syzygiuth cumini
Tribe: Myrtaceae
Consumption Rules: The jam seed powder is used as a medicine of many. The seeds in the cup are soaked overnight and consumed with water in the morning.
5. Nine stars
Botanical name: Vinca rosea
Tribe: Catharanthus roseus D. Don Apocynaceae
Consumption Rules> This plant has many benefits, but in the morning, it is chewed a few leaves on an empty stomach.
6. Aarahar
Botanical name: Cajanus cajan
Tribe: Papilionaceae
Consumption Rules> This is useful if the leaf juice of the plant is heated slightly and consumed regularly. Then the roots are heated in water (2 cups) and boiled in a mixture of 2.5 cups of honey. If the diabetes is controlled.
Diarrhea is a well-known disease that many people sometimes have. If any of the other's minor actions disrupt the action, then it is rapidly contracted. Because of this, the thin section of the mall is not able to absorb the aquifer. This disease is caused by the digestive tract of the father, excessive spicy food and contaminated water. Disease can occur in large quantities through water.
Diarrhea causes water to evaporate as the aqueous part of the body exits. This is why there is no substitute for frequent saline intake if you suffer from diarrhea
The following are some herbal remedies to get rid of this disease
1. Emblic,
Botanical name: Phyllanthus emblica
Tribe :: Euphorbiaceae b
Rules of use
When the thin closet holds a deadly shape, that is, the closure of the closet, then the amalgamation is applied around the navel.
2.Khutaja:
Botanical name: Holarrhena antidysenterica
Tribe: Apocynaceae
Rules of use:
The closet has been running for a few days, as well as having stomach ache
The plant can also be used. Dry bark (1/4 gm), with 2 cups of water, should be taken down if there is half a cup with fire. Take the solution
Consuming 2/3 times a day is beneficial.
3. Common guava
Botanical name: Psidium guajava
Tribe: Myrtaceae
Rules of use
This plant can be used when vomiting with thin toes.
Boil a few cups of guava in 1/4 cup of water. The amount of water has to be reduced to have a cup. Then the solution is obtained at the intersection. The vomiting is stopped by playing water. Thus, playing repeatedly, the closet is reduced. It has been reported.
4. Cloves:
Botanical name: Syzygium aromaticum
Tribe: Myrtaceae
Usage Rules:
Patients with diarrhea are often used for stomach ulcers and stomach ache, in which case this plant is used. The cloves are to be crushed in a veggie. It is useful to dissolve the powder (25mg) with a little warm water and consume it every morning.
5. Hedyotis deffusa
Botanical name: Oldenlandia corymbosa
Tribe: Rubiaceae
Rules of use:
Patients with diarrhea often have a foul-smelling closet. Again the closet is strong. In this case this herb plant is used. Fresh leaves of the plant (8-20 gm), soaked in a small sieve, soaked in 1/4 cup warm water for 20 minutes. Then, after mixing the water with a small amount of water, it will be beneficial for a short time.
Dysentery
In our country, there are hardly any people who have not had gastric disease. Gums usually - two types 1) amoeba germicidal and (2) bacillary gums. In the first case, digestion is disturbed, Marthak has abdominal pain. Odorless closet is used 1/3 times a day. In the case of the second type of mammals, the condition rapidly becomes fatal. Quite a few, but there are times in the closet. Many times an infected person suffers from a fever. The first type of sting is invaded by an organism called Eniamoeba histo / ytica. The disease spreads rapidly through water. It is through contaminated water and food that the germs of the disease enter the body. Bacillary gum is caused by bacteria. The disease is caused by the bacteria called Shigella entering the stomach. Lack of sanitary system, fish infestation, etc. causes the disease. If the disease is severe, mango and blood can be seen in the stool.
The following are some herbal remedies for getting rid of this disease:
2. Green Chiretta:
Botanical name: Andrographis paniculata
Tribe: Acanthaceae
Rules of use:
This method can be used in blood gums. Crushed leaf juice (2 teaspoons)
Spoon) twice daily in the morning on an empty stomach mixed with the amount of water
Regular gaming is good if played regularly.
2. Coral swirl
Botanical name: Holarrhena antidysenterica
Tribe: Apocynaceae
Rules of use: This herbal treatment can be taken if blood is drained into the rectum. In this case the bark of the tree is used. (8-20 gm) In a little piece of bark (2-5), boil in water and reduce it to one cup. It is useful to take water from the mixture obtained by consuming water in the morning.
2. Plum
Botanical name: Zizyphus mauritiana
Tribe: Rhamnaceae
Rules of use
If you find that blood and mango are falling after a few times in the thin bed. Then this plant can be used. The top of the tree should be removed from inside and the juicy bark should be taken. Mix a small amount of milk with the bark (2/3 gm) in it and consume it for a few days.
1. Devils cotton
Botanical name: Abroma augusta; The tribe Sterculiaceae
Rules of Use: Many people have benefitted from the use of blanket trees in the treatment of gum disease. The leaf data and the shoots are cut into pieces and soaked in water in the evening or at night the next day. The next morning you have to consume that water on an empty stomach. Thus, after a few days, gastric diseases are better. In addition to healing the gums, there are physical benefits to the body.
2. Stinkvine
Botanical name: Paederia foetida; Tribe: Rubiaceae
Usage Rules:
The leaves of this plant are extremely fragrant. If the mango falls with the toilet in the yard
The method is used. Leaf juice (1/4 teaspoon) mixed with sugar or slightly sweetened with honey (1/4 tbsp) is beneficial. If it is not possible to eat too much of the foliage, it can be eaten with rice made of boil
3. Asthma plant
Botanical name: Euphorbia hirta; Tribe: Euphorbiaceae
Rules of use: It is a nonspecific drug for amoebic acid. All the plants (fresh) are squeezed into juice. If the juice is consumed twice daily, the gums are better.
4. Bael
Botanical name: Aegle marmelos, genus: Rutaceae
Usage Rules:
In old gall disease, the use of bale is prevalent throughout Bangladesh. Raw-raw. The wheels are cut off and they are dried in the sun. These are called bell shoots.
The two bell soaps are soaked in cup water the previous night, and in the morning they have to drink that water on an empty stomach. All kinds of gimmicks are good if played regularly like this for several days. Once the bell is heated, take a jar and mix it with a teaspoon of yogurt and mix it with all the old ingredients. Even if the bullshoot is available to buy in the market, it is best to make it yourself.
Jaundice)
It is known in the region as Pandruj, Naba, Kamala, etc. Pituitary gallbladder goes into the intestine. If for some reason it is disrupted, that is, if it does not go into the intestine, blood is mixed with blood and absorbed by the cell. The main symptoms of this disease are yellowing of all body color as well as urine color.
Following are some herbal remedies for treating jaundice:
2. Pegion pea
Botanical name: Cajanus cajan; Species: Papilionaceae
Pegion Pea |
Rules of use >Use of jaundice in the first stage of the disease can provide good relief from stroke. Crushed leaf juice (3 teaspoons) is heated slightly. In many places, the juice of the weed leaves is mixed with the juice of the roasted leaves and the sugarcane jaggery is served.
2) Gaint taro
Botanical name: Alocasia indica, genus: Araceae
Rules of use:
The Mankachu goal was cut and dried in the sun. Then well
The pies are grilled. One teaspoonful of powder is available for a few days on a regular basis. Again, half the quantity of rice powder mixed with Manakchu powder is made by adding water to it like halwa. It is useful to play it 1/4 consecutive hours.
2. Balck nightshade:
Botanical name: Solanum migrum; Tribe: Solanaceae
Rules of use
In the case of jaundice the leaf juice of this plant is used. Crunchy and fresh leaves. The juice is taken from it in the pie. Heat the juice slightly in the morning. Consuming twice the amount (1/4 gm) is beneficial.
2. Turmeric
Botanical name: Curcuma long, genus Zingiberaceae
Rules of use
Raw turmeric juice is quite effective in jaundice. Mixing sugar or honey with turmeric juice in one tablespoon is beneficial for regular consumption.
2. Thumbal/Thumbai
Botanical name: Leucus livendifolia, genus: Lamiaceae (Labiatae)
Rules of use: The leaves of the tree are used to treat Jaundice disease. The leaves are well poured into the hand and crushed with the flow of water. Leaf juice (a few drops) mixed with glucose water in the afternoon and regularly consumed in the afternoon. .
1. Henna
Botanical name: Lawsonia inermis
Rules of Use: The root of this plant is used in jaundice disease. Mehdi's main crust is in semi-boiling water. Mixing distilled water (1/2 teaspoon) and (1/4 teaspoon) of boiling water is beneficial for a few days in the morning.
Piles
The name of a deadly disease is Arash. It is always in the anus. This rag is used to irritate the anus, sometimes itching. The throat swells more than normal. In this situation it is very difficult to get to the closet and to move. After a few days, the irritation pain subsided and the problem again arose. If the disease is inside, then blood can come from the rectum or through the anus. When the disease gets old, there is no burning pain, then only the bleeding continues. The disease is usually caused by chronic constipation. Apart from this, the disease is caused by pressure inside the anus.
The following are a few herbal remedies as a way to get rid of this deadly disease:
1. Tamarind.
Botanical name: Tamarindus indica;
Kernel: Caesalpiniaceae
Rules of use >Feeding of citrus juice in the blood is known to be very useful. One cup of pot every morning. The juice should be eaten for seven days. There are special benefits to playing regularly. Many people believe that it is better not to eat shrimp fish when receiving this treatment. Soaking the old oil in the water and drinking it, but there are benefits.
2. Cobra saffron
Botanical name: Mesua nagassarium; Tribe: Clusiaceae
Rules of use: Raw flowers of this plant are used in diseases of the eye. The previous night you need to soak the flowers in a cup of water (1/12 gm). In the morning the flowers have to be bitten by a slight crunch. Then mix it with a little honey and drink it.
2. East indian golbe thisle
Botanical name: Sphaeranthus indicus
Tribe: Asteraceae
Rules of Use: It is a perennial seedling plant. Its root is used in diseases. The required amount should be pasted well with the original. Then the root is to be applied to the affected area. Applying it 2-3 times a day is of particular benefit.
2. Adhatoda
Botanical name: Adhatoda vasica,
Name of the tribe: Acanthaceae
Usage Rules: The herbal leaves of this plant are cured for treating the disease .Is done It requires 1 flower (Hibiscus rosa. Malvaceae) flowers. The patient is fed in the morning with hot rice soaked with 1/4 bushels of leaves. Must eat it on an empty stomach.
2. Aloe vera :
Botanical name: Aloe indica; Tribe: Liliaceae
Rules of use: In this disease the leaves of dead virgin are used. Mixing a little ghee with the juicy marinade in the leaves (1/4 gram) with it and enjoying it in the morning is especially beneficial.
2. Children
Botanical name: Dalbergia sissoo; Tribe: Papilionaceae
Rules of use: The bark of the infant tree is used in the disease. 1/12 gm of baby tree bark should be boiled in 1/4 cup of water and reduced to 3 cups. Then If the boy gets water once daily, the irritation will be greatly reduced.
2. Mankachu
Botanical name: Alocasia indica; Tribe: Araceae
Rules of use: Manakchu should be well dried and then mixed with 1 teaspoon powder of butter and a little candy powder.
Asthma
Asthma is a fatal disease. It is very painful even if there is no possibility of sudden death. If for some reason the muscles of the esophagus become constricted, asthma suffers. If the disease is continuous, the patient continues to suffer; Many times the breathing stops. Lots of cuffs are emitted. There is noise between the throat and the chest. The disease is caused by bacterial infection of the airways. Again, fear, panic, headache etc. can also be the origin of the disease. Once the disease is complete, the pain can be minimized and not just completely removed.
The following are some of the herbal remedies mentioned as a way to get rid of the hassle of suffering:
2. Basil
The botanical name is Ocimum Sanctum; Tribes: • Lamiaceae (Labiatae)
Basil leaf juice is very important for asthma patients. 1 / 12mg of leaf juice along with one teaspoon of ginger (Zingiber officinale) mixed with Zingiberaceae juice and equal amount of honey is useful 4/4 times each.
2. People
Botanical name: Piper long genus: Piperaceae
Rules of Use: The seeds of this plant are used in asthma. Seed powder mixed with honey and consumed 2-3 times a day is of special benefit. Again, boil 2 gm powder in 1/4 cup of water. Drinking water 5/4 times does not hurt.
2. Forever
Origin of names: Svertia chirata: Gentiniaceae
Rules of Use: This method is best for those who suffer from severe weather changes. The amount of 1.5 gm of honey should be chewed with honey 3 1/2 times. There are special benefits to this.
2. Kalkasunda
Origin of Cassia sophera: Caesalpiniaceae
Rules of use: The roots of this plant must first be collected and dried. Then the bark (rickety-fide) has to be soaked in spirit. Asthma suffers from drinking water in the afternoon by mixing water with the solution (a few drops). B: See also "cough" treatment.
Cough
It is not a disease but a symptom of many other diseases. If you have asthma usually cough at night. In addition to any type of fever cough can be seen. There is no reason to neglect cough because it is not a disease. Because darshadin cough causes a lot of damage and causes many other diseases. Here are some herbal remedies to get rid of this cough. With it Asthma can also be seen.
2. The resident
Botanical name: Adhatoda Vasica. : Acanthaceae
Rules of use :: The cassia leaf is widely used. The leaves have to be dried and crushed well. Three teaspoons of honey is mixed with 2-3 grm of leafy leaves and a small amount of Pipulum Piperaceae is squeezed 3-4 times daily. Again on the glass or bark. Juices are also used. The juice and honey are mixed in a 2: 3 ratio, and should be eaten 1/4 times daily. The amount of serving must be (1-5) teaspoons.
2. Ginger ::
Botanical name: Zingiber officinale tribe> Zingiberaceae
Rules of use: Ginger juice works well only on the newly started cough. Chop the ginger and heat it slightly. And for small children, a small amount of sugar can be mixed with it. Otherwise, they will not want to eat ginger juice because of the rash.
2. People
Botanical name: Piper longun tribe Piperaceae
Rules of use: Cough often causes cough in the chest. People are very good at getting rid of this situation. If the root is well cleaned then the juice is extracted. Hot iron is submerged in the juice. The water is then taken out of the coffees, diluted with water for 2-3 times. In addition, its use has already been discussed with the resident leaf.
2. Sheep
Botanical name: Abelmoschus esculentus; Tribe: Malvaceae
Rules of use: First, the seeds should be sown. Then he has to be crushed and crushed to dry in the sun. In the curd juice of sugar, 1/4 gram of lamb powder is rolled. It is best to cough with a slight cough. There are good benefits.
2. Hurry up
Botanical name: Cajanus cajan, genus: Papilionaceae
Rules of use: Cough juice is very effective in coughing. Leaf juice (1/4 teaspoon). Heat it with a spoonful of honey and mix it with it in the afternoon. There are special benefits to regular consumption.
Post a Comment
Please do not link comment any spam or drive spams content