শান্তি আতিওয়ারা টাংগাইল জেলার মধুপুর উপজেলার প্রত্যন্ত বেরিবাইদ গ্রামে বসবাস করছেন । তিনি বলছিলেন আদিবাসী গারোদের মধুপুর গড়ে সরকারের সাথে কেমন সম্পর্ক ক। কেমন আছে গারো আদিবাসীরা । তিনি বলছিলেন মধুপুর গড়ে গজারী যা শালবন ছিল সারা পৃথীবি বিখ্যাত ইতিহাস খুলে কেই অস্বীকার করতে পারবে না গারো আদিবাসীরা এখানে মধুপুর বনে বসবাস করে আসছে যুগযুগান্তরে ।
তিনি আরো বলছিলেন এই বিষয়টা ইতিহাসবিদরা সকলেই জানে কারো অজানা নয় । বৃটিশ জমিদারি প্রথায় মধুপুর গড় ও তার অধিবাসীরা নাটোরের রাজার শাসনের আত্ততায় আসে । রাজা এই এলাকাকে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে দেবতা গোবিন্দের নামে উৎসর্গ করেন । উঁচু জমিতে মান্দিরা (গারো) লীজের মাধ্যমে জমি চাষাবাদ করতো এবং নিচু জমিতে তাদের নিজের নামে রেজিষ্ট্রি করে নিতে পারতো । এই বনেরে গারোরা ১৮৭৮ সালে তাদের ধানী জমি প্রথমবারে মত ভারতীয় প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে নথিভুক্ত করে । মধুপুর গড়ের বেশির ভাগ জমিই বর্তমানে এই আইনের মাধ্যমে নথিভুক্ত করা হয় । এই আইনের মাধ্যমে বহু বছর খাজনা বা কর মান্দিরা সরকারকে দিয়ে এসেছে ।
অনেকের কাছে এখনো কর দেবার প্রমান আছে, খাজনা দেবার প্রমাণ রয়েছে । কিন্তু বিগত সরকার থেকে শুরু করে বর্তমান সরকার বিভিন্ন জটিলতা দেখিয়ে কর নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে । প্রতিবছর আদিবাসী মান্দিরা ও অধিবাসীরা জমির দলিল করা; কর দেওয়া থেকে শুরু করে সকল কিছু করারা জন্য দৃঢ় প্রত্যয় কিন্তু সরকার নারাজ ।
গিতিদা রেমা, চলেশ রিছিল, পিরেন স্নাল আরো অনেকে কে হত্যা করা হয়েছিল যার বিচার আজো পায় নি আদিবাসী গারো । মধুপুর গড়ে না জানি আর কত সময় ধরে সংগ্রাম করেত হবে ।
অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় এই রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থায় আদিবাসীদের সামান্য জমি থাকাও যেন অন্যায় । আদিবাসীদের জমি থাকা যাবেনা, জমি থাকলে জমি নিয়ে সমস্যা বাঁধিয়ে রাখতে হবে, কাগজ পত্রের ঝামেলা জিয়ে রাখতে হবে ও খাস করে দিতে হবে । কখনো কখনো কোন কাগজই দেওয়া যাবেনা, যাতে করে সময়ে সময়ে ঘোষ টাকা চাওয়া যাই । বনের আদিবাসীদের অবৈ্ধ ঘোষনা করে সরকারের চিরাচরিত রেওয়াজে পরিনত হয়েছে । রাবার বাগান, সামাজিক বনায়ন প্রকল্প, সংরক্ষিত বন বা এলাকা, পার্ক ইত্যাদির নামে ওদের উচ্ছেদ করতে হবে এই হলো সরকারের সঙ্গে মান্দিদের আদিবাসীদের যুগ যুগান্তরের সম্পর্ক ।
Post a Comment
Please do not link comment any spam or drive spams content