কাঠামো ভূমি মন্ত্রণালয়ের
অধীনে বিভাগীয় কমিশনার বিভাগের ভূমি ব্যবস্থাপনার
দায়িতে নিয়োজিত থাকেন । জেলা পর্যায়ে কালেক্টর জেলা প্রশাসকৃ ভূমি ব্যবস্থাপনা সার্বিক
দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন এবং জেলা প্রশাসককে
নিন্মোক্ত ব্যক্তিগণ সহায়তা করেন। ১) অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)। ২) রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (RDC) ৩) উপজেলা পর্যায়ে সহকারী
কমিশনার (ভূমি) ৪) ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী (তহশীলদার)। ৫) সহকারী
কমিশনার (ভূমি) কে সহায়তা করেন কানুনগো ও সার্ভেয়ার ভূমি ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মকর্তাগণের দায়িত্ব বিভাজন অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থাপনায়
কালেক্টরের পক্ষে। সমপর্যায়ের দায়িত্ব পালন করেন। শুধুমাত্র কতিপয় বিশেষ ক্ষেত্রে
কালেক্টরের অফিস প্রধান হিসেবে প্রাধান্য আছে।। রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (RDC)। রেভিনিউ
ডেপুটি কালেক্টর (RDC) ভূমি ব্যবস্থাপনা খাজনা/কর ধার্য ও আদায়, সায়রাত মহল ব্যবস্থাপনা
তদারকে কালেক্টরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করেন। এছাড়া জেলা ভূমি রেকর্ডের দায়িত্বে থাকেন
তিনি। উপজেলা পর্যায়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) থেকে প্রাপ্ত যে কোন প্রস্তাব তিনি নিজস্ব
মতামতসহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর নিকট প্রেরণ করেন। উপজেলা পর্যায়ে সহকারী
কমিশনার (ভূমি) ১. উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ মোতাবেক দায়িত্ব পালন করা। ২. ভূমি রেকর্ড (স্বত্বলিপি) হাল অবস্থায় সংরক্ষণ
করা। ৩, তহশীলদারের সহায়তায় ভূমি রাজস্ব কর আদায় করা। ৪. ভূমি মালিকানা হস্তান্তরের
ক্ষেত্রে নামজারী এবং নাম খারিজের মাধ্যমে রেকর্ড হালনাগাদ । ৫. খাসজমি ও উদ্ধার প্রাপ্ত
জমি বন্দোবস্ত দেয়া এবং রেকর্ড হাল করনের মাধ্যমে রেকর্ড সংরক্ষণ করা। ৬. সার্টিফিকেট
কেইসের নিষ্পত্তি করা। সরকারী অনাদায়ী পাওনার জন্য খেলাপীকারীদের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট
কেইস দায়ের করে পাওনা আদায়ের। উদ্যোগ গ্রহন করা, ৭. অধীনস্থ কর্মচারীদের বার্ষিক
গোপনীয় রিপোর্ট
লেখা বিধায় । ৮. অধীনস্থ কর্মচারীদের
জন্য আয়ন ও ব্যয়ন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা। ৯. অধীনস্থ কর্মচারীদের কাজ তত্ত্বাবধান
করা। ১০.উপজেলায় রাজস্ব বিভাগীয় সকল কর্মকান্ডের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা;
কানুনগো ১) নামখারিজ করার ক্ষেত্রে
সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে তদন্ত কাজে সহায়তা করা।
২) সরকারী ও অন্যান্য জমির
মাপঝোক বা নক্সা তৈ্রির কাজে দায়িত্ব পালন করা। ৩) কানুনগো ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর
আদায় ও হিসাব ১০০% অডিট করা।
ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন
ভূমি উপ সহকারী ১) হাল সন এবং বকেয়া ভূমির
কর আদায় করা । ২) ভূমি কর আদায়ের হিসাব সংরক্ষণ করা এবং আদায় কৃত টাকা সরকারী
কোষাগারে যথাসময়ে জমা দেওয়া । ৩) ভূমি কর এর দাবী এবং আদায়ের বিবরণ সংরক্ষাণ করা ৪) বার্ষিক দাবী পরীক্ষা, বার্ষিক রিটার্ন
প্রস্তুত, এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল এবং অনাদায়ী হোল্ডিং এর তালিকা
প্রস্তুত করা ৫) বকেয়া কর আদায়ের জন্য সার্টিফিকেট
কেইস/মামলা দেয়ের করা। ৬) খাসজমির দখল নেওয়া
ও খাস জমির বন্দোবস্ত দেওয়ার হিসাব সংরক্ষণ করা । ৭) খাসজমি ও চরের জমি পরিদর্শন করে
উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা। ৮) বিধি মোতাবেক নাম জারী ও খরিজ এর প্রস্তাব সম্পর্কে উধর্বতন কর্তৃপক্ষের
নিকট রিপোর্ট দেয়া । ৯) অবৈধ হস্তান্তর, অগ্রক্রয়াধিকার, হুকুম দখলকৃত জমির
বিবরণ ইত্যাদি সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দেয়। ১০) বিবিধ দাবী আদায়ের হিসাব সংরক্ষণ করা। ১১) হাটবাজার,
সায়রাত/খাস জলাভূমি ও ধস নলে নিয়মিত পরিদর্শন এবং সরকারী স্বার্থ সংরক্ষণ করা। ১২)
মিউটেশন/খারিজা কেইসের আদেশ মোতাবেক রেকর্ড সংশোধন করা । ১৩) সরকারী সম্পত্তি সংরক্ষণ
এবং ভূমি অফিস এলাকা পরিস্কার রাখা । ১৪) রেকর্ড অফিস সম্পদ, দাবী আদায়, কর্মচারীদের
অবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে চার্ট সংরক্ষণ করা।
মাঠ পর্যায়ের ভূমি কর্মকর্তাদের
কর্ম পরিধির তলিকা
পদমর্যাদা অনুযায়ী ভূমি
ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মকর্তাদের কাজের ধরণ, ভিন্ন। হতে পারে। তবে সাধারণভাবে মাঠ
পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ (কমিশনার, জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, রেভিনিউ ডেপুটি
কালেক্টর, সহকারী কমিশনার। (ভূমি), তহশিলদার) যে সমস্ত কাজ করে থাকেন তা নিরূপ।
ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত
সাধারণ বিষয়াদি
১) ভূমির শ্রেণী বিন্যাস হাল নাগাদকরণ। ২) সিকস্তি/
পয়োস্থি (এডি) লাইন নির্ধারণ । ৩) ১৯৭২ সনের প্রেসিডেন্ট অর্ডিন্যান্স/অর্ডার (পিও) ৯৬ এবং ৯৮ এর প্রয়োগ।
৪) ভূমি সংস্কার আইনের প্রয়োগ।
(ক) সাধারণ খাসজমি ব্যবস্থাপনা
১) খাসজমির তদারকী ও দখল/সীমানা
বহালকরণ। ২) অবৈধ দখলাধীন খাসজমি পুনরুদ্ধার। ৩) খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদান। ৪) ভূমিহীনদের
খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদান। ৫) আদর্শগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়ন।
(খ) বিবিধ খাসজমি ব্যবস্থাপনা।
১) চারণ ভুমি হালট, গােপাট ইত্যাদি তদারকী দখল/সীমানা বহালকরণ ।। ২) পরিত্যক্ত নদী/জলাশয়
তদারকী/সীমানা নির্ধারণ এবং খাস তালিকা।
হালনাগাদকরণ।। ৩) ইউনিয়ন
ভূমি অফিস/কাচারী কম্পাউন্ডের খাসজমির সীমানা নির্ধারণ/সংরক্ষণ।। ৪) অবৈধ দখলাধীন বিবিধ
জমি পুনরুদ্ধার।।
(গ) চরভূমি ব্যবস্থাপনা। ১) নতুন জেগে উঠা চরের প্রাথমিক
জরিপ সম্পাদন, দখল গ্রহণ এবং খাস। খতিয়ানভূক্তকরণ। ২) দিয়ারা জরিপের প্রস্তাব প্রেরণ।
৩) অবৈধ দখল নিরোধকল্পে নিয়মিত পরিদর্শন
(ঘ) হাট বাজার ব্যবস্থাপনা।
১) হাট বাজারের তালিকা সংরক্ষণ ও হালনাগাদকরণ। ২)
হাট বাজারের পেরীফেরী নির্ধারণ/পুনঃনির্ধারণ ।। ৩) তোহা বাজার ও চান্দিনা ভিটির সীমানা নির্ধারণ। ৪) নতুন হাট বাজার স্থাপন/তালিকাভূক্তিকরণ।
৫) হাট বাজার ইজারা প্রদান। ৬) অনুমোদিত টোল চার্ট প্রকাশ্য স্থানে টাংগানো। ৭) অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ/অবৈধ দখল
নিরোধ ।। ৮) অবলুপ্ত হাট বাজারের তালিকা সংরক্ষণ।
(ঙ) জলমহাল ব্যবস্থাপনা। ১) উন্মুক্ত ও বদ্ধ সকল
জলমহালের সঠিক ও হালনাগাদ তালিকা প্রণয়ন। ২) বিবরণী প্রস্তুতকরণ। ৩) খাস পুকুর/দীঘি
ও বদ্ধ জলাশয়ের সীমানা নির্ধারণ ।৪) অবৈধ দখল থেকে খাস পুকুর/দীঘি/বদ্ধ জলাশয় পুনরুদ্ধার।
৫) থানা পরিষদ/পৌরসভা/পৌর করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ন্যস্ত জলাশয়গুলির সঠিক তালিকা সংরক্ষণ। ৬) বন্দোবস্ত প্রদান
।
অন্যান্য কার্যক্রম। ১)
বিবিধ সায়রাত/খাস জলাভূমি ও খাল মহাল ব্যবস্থাপনা। ২) অর্পিত ভূমি/সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা।
৩) পরিত্যক্ত (Abandoned)/অনিবাসী সম্পত্তি (Nonresident) ব্যবস্থাপনা ৪) অন্যান্য
সরকারী ভূমি ব্যবস্থাপনা। ৫) ভূমি কর সংক্রান্ত বিষয়াদি। ৬) ভূমি রেকর্ড সংরক্ষণ ও
ব্যবস্থাপনা। ৭) ভূমি সংক্রান্ত বিবিধ মামলা পরিচালনা
সরকারী জলমহাল ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্তকরণ নীতিমালা।
জলমহাল সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন জলাশয় বা মৎস্য চাষের ও মৎস্য পালন
ও শিকারের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। জলমহালের প্রকারভেদ জলমহালের দুই প্রকার। যেমন:
বদ্ধ জলাশয় এবং উন্মুক্ত জলমহাল । বদ্ধ জলাশয় যে জলাশয়ের চতু:সীমানা নির্দিষ্ট
অর্থাৎ স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত যেমন: হাওর, বিল, ঝিল, হ্রদ, দীঘি, পুকুর, ডোবা ইত্যাদি । উম্মুক্ত জলমহাল যে সকল জলমহালের
দুইধার স্থলবেষ্টিত এবং স্রোতধারা প্রবাহমান তাই উন্মুক্ত জলমহাল। যেমন: নদী, খাল
ইত্যাদি।
জলমহাল বন্দোবস্তের উদ্দেশ্যে যে
মন্ত্রণালয় তা নিয়ে কাজ করে।
১) যুব সমাজের আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি (যুব ও ক্রীড়া
মন্ত্রণালয়)
২) দারিদ্র বিমোচন, জেলে সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি (মৎস্য ও পশু সম্পদ
মন্ত্রণালয়)
৩) বিভিন্ন কল্যাণমূলক/উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য (স্থানীয় সরকার,
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়)
৪) জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ, পরিবেশ উন্নয়ন ইকোলজিক্যাল ব্যালেন্স
রক্ষার জন্য।(পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়);
৫) স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনার জন্য (স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়)
জলমহাল বন্দোবস্থ কাদের দেয়া হয়।
১) নিবন্ধনকৃত মৎস্যজীবী
সমবায় সমিতি (মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়) ২) নিবন্ধনকৃত যুব সমিতি ও যুব
মহিলা সমবায় সমিতি (যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর) ৩) নিবন্ধনকৃত যুব সংগঠন (যুব উন্নয়ন
অধিদপ্তর)
জলমহাল বন্দোবস্ত পাওয়ার নিয়মাবলী
উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০ (বিশ) একরের উধের্ব বদ্ধ জলমহাল
বন্দোবস্থের ক্ষেত্রে: ০৪-১০ বছরের জন্য প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে ইজারা
দেয়া যাবে। মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে আবেদনপত্রের সাথে নিম্নলিখিত কাগজাদি
সংযুক্ত করতে হবে:
ক) উন্নয়ন প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণ। খ) মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির
রেজিষ্ট্রেশনের সত্যায়িত কপি। গ) সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের সত্যায়িত ছবি। জ)
জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র (সমিতির সভাপতি, সম্পাদক বা উক্ত সমিতির নিকট
সরকারী বকেয়া এবং কোন সার্টিফিকেট মামলা আছে কিনা তা উল্লেখ করে)
২. ইজারা মূল্যের ১০% টাকা ব্যাংক ড্রাফট জামানত হিসেবে আবেদন
পত্রের সাথে যুক্ত করতে হবে ।
৩. পূর্ববর্তী বছরের ইজারা মূল্যের উপর ১৫% বর্ধিত ইজারা মূল্য
নির্ধারণ করা হয়।
৪. কোন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে ৩০ টির অধিক জলমহাল উন্নয়ন।
পরিকল্পনায় বন্দোবস্ত দেয়া যাবেনা।
Post a Comment
Please do not link comment any spam or drive spams content