আমরা সবাই জানি  কিছু ইমিউন ডিসর্ডার রোগ আছে যা পুরাপুরি শরিরকে এটাক করে বসে তাদের মধ্যে SLE( Systemic Lupus Erythematousus) অন্যতম. অর্থাৎ লুপাস নামে বেশী পরিচিত ।  সৃষ্টি কর্তার নিয়মে চলমান শরিরে  অনেক কিছু  রয়েছে যা কিনা নিজের কোষ অনেক সময় নিজের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে একে  ইমিউন ডিসর্ডার বলে ; তাদের মধ্যে কিছু ইমিউন ডিসর্ডার  নিয়ে আলোচনা করবো  ।

 অটোইমিউন ডিসর্ডার/ব্যাধি ঃ এখানে বলতে চাই যে সৃষ্টি কর্তার ইচ্ছাই আমাদের মধ্যে এমন কিছু অবস্থা তৈরি হয় যা থেকে আমরা কেউ বিচ্ছিন্ন নয় । 

অটোইমিউন রোগ( Autoimmune Disorder) ঃ 

এটা এমন একটা রোগ যখন আপনার নিজের ইমিউন সিস্টেম( রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) ভুলবশত আপনার নিজের নিজের শরিরের অর্গান গুলিকে আক্রমন করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কার্যকলাপ নষ্ট করে দেয় । কিন্তু ইমিউন সিস্টেমের কাজ হচ্ছে নিজের শরিরে অবস্থান করে ভিতরে যে সকল ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাসের মোকাবেলা করা ও তাদের ক্ষতির হাত থেকে নিজের বডি টাকে সুস্থ রাখে এক কথায় ইমিউনিটি ( রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ) নিজের শরিরকে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদির হাত থেকে রক্ষে করে । 

শরিরের ভিতরে বা বাইরে থেকে যখন আক্রমনকারী যেমন ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদি যখন শরিরে  ক্ষতি করতে সক্রিয় থাকে তখন আমাদের শরির বডি ইমিউন (ইমিউনিটি) দিয়ে রোগ কে দমন করে ফাইটার সেল  পাঠিয়ে দিয়ে । সাধারণত আমাদের  শরিরের বডি ইমিউন এটা বুজতে পারে যে আমাদের শরিরের জন্য কোনটা ক্ষতিকর আর কোনটা উপকারী ।  কোন কোষ আমদের নিজেদের জন্য ভালো আর কোনটা বাইরে থেকে আসছে এই দুয়ের পার্থক্য বুজতে পারে । 

কিন্তু অটো ইমিউনের ক্ষেত্রে  পার্থক্য না বুঝে নিজের ভালো কোষগুলিকে মেরে ফেলে । 👉 কারণ কি এক কথায় এখনো বিজ্ঞাণীদের অজানা তাই এর চিকিৎসা ব্যাবস্থাও অজানা । যদিও উন্নত চিকিৎসা ব্যাবস্থায় কিছুটা নিয়ন্ত্রনে রাখা যায় কিন্তু সেতা সুনির্দিষ্ট বা নির্ধারিত কিছু নয় । এই ধরনের রোগ কে orphan বা এটিম রোগ বলা হয় । যা কিনা চিকিৎসা বিজ্ঞানে এখনো অন্ধকারে । যার কোন চিকিৎসা এখনো আবিষ্কার হয় নি । তার মধ্যে SLE (Systemi Lupus Erythematosus ) প্রধান এবং আজ পর্যন্ত অন্যতম । এর ফলে কি হয় যে নিজেই নিজের ইমিউন সিস্টেম কে মেরে ফেলে নিজের ভালো কোষ গুলিকে নিজেরাই আক্রমন করে  মেরে ফেলে ।  

অন্যদিকে এমন কিছু ইমিউন ডিস অর্ডার রোগ আছে যা কিনা স্পেসেফিক কোন একদম নির্দিষ্ট অংগেকে আক্ষমন করে । তার মধ্যে goodpasturas Symptom; Iga Neprhities ইত্যাদি কিডনি ক্ষতি গ্রস্থ করে । এদের মধ্যেও ভালো এগ্রেসিভ/ খারপ  আক্রমনাত্নক  রুপ আছে । সেক্ষেত্রে আমারা দেখতে পাই একই অটোইমিউন রোগ থাকা সত্ত্বেও  কারো কিডনি ৫ বছরে খারাপ হচ্ছে আবার কারো কিডনি ২০ ৩০ বছরে খারাপ হচ্ছে না । 

হ্যা তবে নির্দিষ্ট এসব অটোইমিউনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাণ বিশেষ করে চিকিৎসা বিজ্ঞাণ অনেক বেশী সাফল্য অর্জন করেছে । সেক্ষেত্রে খাদ্যাভাস, লাইফ স্টাইল মডিফিকেশন, জিবনের গতি পরিবর্তন ও পরিমার্জন নিয়ন্ত্রন বড়ো ভূমিকা পালন করে । 

সুত্র ঃ কিডনি ক্লিনিক অনলাইন হেল্প। 

Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post