এই সময়ে  জ্ঞাণবিজ্ঞানের সময়ে আমরা দেখি আগের মধ্যযুগীয় চিন্তাধারা প্রবাহমান বিশেষ করে গর্ভবতী মা দেরকে বেশী বেশী করে খেতে হবে । যা কিনা আমাদের সময়ে বিষয়টা অনেকটাই হতাশাজনক । 

কিন্তু এটা একদমি ঠিক না বিজ্ঞান তাই বলে। আগের দিনে মা হলে মাদেরকে দ্বিগুণ খাবার খেতে দিত আর মায়েরাও সেটা করতো । এমন অবস্থা হয় এখনো গর্ভধারন এর পর থেকে শুরু করে মারা দ্বিগুণ খাবার গ্রহন করা শুরু করে । গর্ভবতী হলে মাদের আলাদা বাড়তি যত্নের দরকার আছে বৈকি , কিন্তু তাই বলে দ্বিগুণ খাবার গ্রহন করতে হবে এমটি কিন্তু ঠিক না । মাত্রারিক্ত কোন কিছুই কিন্ত ঠিক না । 

মোটা মোটি হিসেব করে দেখা যায় যে সম্পুর্ন গর্ভকাল একজন মায়ের ক্ষেত্রে ৯-১২ কেজি ওজন বাড়তে পারে । এর বেশী হলে সেটা মোটেও কিন্তু স্বাস্থ্য সম্মত নয় । কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় আমাদের দেশের গর্ভবতী মায়েরা ১৫-৩০ কেজি ওজন বাড়িয়ে বসে থাকে । তাই সন্তান প্রসবের সময় এই অতিরিক্ত ওজন গর্ভবতী মা  শিশুর জন্য অত্যন্ত ঝুকির । এছাড়াও দেখা যায় যে গর্ভধারনের আগে থেকেই যদি আপনার ওজন বেশী থাকে তাহলে তো আরো বেশী ঝুঁকি ।যদি এমন হয় যে আপনার ওজন অনুসারে ওজন থাকার কথা ৬২ বা 68  কেজি  কিন্তু গর্ভধারন থেকে শুরু করে শিশু প্রসবের পূর্ব পর্যন্ত ওজন দেখলেন ২০ বা ২২ কেজি বেড়ে গেলো । তাহলে ৬০ থাকলে ৯০ এবং ৬৮ হলে ৯৮ কেজি  , তাহলে এখন চিন্তা করে দেখেন যে কেমন হবে আপনার সেই সময় । অন্য দিকে দেখলেন আপনার শিশুর ওজন একদম কম । সেটা দেখলেন আল্ট্রাসনোগ্রাম করে । 

এখন দেখা যাবে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার করণে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেছে সাথে সাথে শরীরে পানি বেশী চলে আসছে, গর্ভবতী মা বিছানায় শুয়ে থাকলে আর ঊঠতে পারছেন না । সারারাত ঘুমতে পারছেন না । ডায়বেটিস বেড়ে যাচ্ছে , উচ্চরক্ত চাপ বেড়ে যাচ্ছে, অনেক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে গেছেন এখন উপায় কী , ডাক্তারের কাছে গিয়ে দেখলেন এবং ফলাফল হলো পানি পড়ে  যাচ্ছে এবং পরামর্শ হচ্ছে সময়ের আগে শিশু সন্তান প্রসব করতে হবে । আপনি একটি কম ওজনে অপরিনিত শিশুর জন্ম দিচ্ছেন এবং মা হচ্ছেন । জন্মের পর পরই শিশুর বুকের দুধ কম পাবে, অসুখ বিসুখ আপনার শিশুর সাথে যেন খেলা করবে খালার সাথী হয়ে ।

এই ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদের উপদেশ হচ্ছে আপনি যখন গর্ভবতী হবেন তখন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইউটিউব, ফেশবুক ইত্যাদি না দেখে বরং একজন অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদের সুপরামর্শ গ্রহন করা অতি অবাশ্যক । 

কারণ একজন পুষ্টিবিদ একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালকে পুরো ০৩ ভাগে ভাগ করে ওজন উচ্চতা অনুযায়ী খাদ্য তালিকা  তৈরি করে দিবে । সেই পুষ্টিবিদের খাদ্য তালিকা অনুসরণ করে তাহলে মা ও শিশুর ওজন সঠিক থাকবে শিশু সঠিক সময়ে সঠিক ওজন নিয়ে জন্মগ্রহন করবে । মা ও নবজাতক শিশুর সঠিক ওজন আগামীর সুস্থ্য ভবিষ্যতের জন্য জরুরী ।

Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post