বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চেয়ারম্যান কমিউনিটি অফথালমোলজী বিভাগের চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ দেওয়া গণমাধ্যম কে দেওয়া গুরুত্ব পূর্ন সাক্ষাতকার 

ব্লাড প্রেসার এর আরেক নাম যেমন হাইপারটেনশন তেমনি চোখের উচ্চ প্রেসারকে অকুলার হাইপারটেনশন বলে। মানুষের স্বাভাবিক চোখের চাপ ১১-২১ মি.ম. মার্কারির চেয়ে বেশি হলেই অকুলার হাইপারটেনশন বলে। মানুষের চোখের প্রেসার উচ্চ রক্তচাপ এর মত মারত্নক ক্ষতিকর । ভিজিউয়াল ফিল্ড অপটিক স্নায়ু বা দৃষ্টিপরিধী পরিবর্তন হতেও পারে নাও হতে পারে। তাই যখনি ভিজুয়াল ফিল্ড বা অপটিক স্নায়ুর ক্ষতি হয় সাথে উচ্চ প্রেসার থাকে তাকেই  চোখের গ্লূকোমা বলে । 


গ্লূকোমা জানার উপায় ?? 

ক)চোখের প্রেসার মাপার যন্ত্র টনোমিটার দিয়ে । গ্লূকোমা অফথালামোসকোপ দিয়ে অপটিক স্নায়ুর পরিবর্তন হয়েছে কিনা তা দেখা হয় যদি ১১-২১ সস ওইমর বেশী হয় । 

খ)(হাস্প্রে বা অক্টোপাস) এনালাইসার/ পেরামিটার যন্ত্রে সাহায্যে ভিজুয়াল ফিল্ড বা দৃষ্টিপরিধী দেখার যন্ত্র দিয়ে । 

গ) চোখার কোণ সরু কিনা দেখে।

ঘ) চোখের দৃষ্টি শক্তির লক্ষ্ণসমুহ পর্যালোচনা করে । 

১, আলোর পাশে রঙধনুর মত দেখা , ২ চোখে ব্যাথা হওয়া , ৩, মাথা ব্যাথা ও মাথা ঘোরা, ৪, চোখ লাল হওয়া/ ঝাপসা দেখা , ৫, চোখ দিয়ে পানি পড়া, ৬, দৃষ্টি পরিধী কমে যাওয়া , ৭, মণি বড় হওয়া, ৮, শেষের দিকে চোখ সম্পুর্ন অন্ধ হয়ে যাওয়া, তবে সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় এই যে অনেক সময় লক্ষণ ছাড়াই চোখের প্রেসারে মানুষ ঘুণ ধরার মত অন্ধত্য বরণ করে । 

গ্লূকোমা হবার কারণ ??

ক) সিলিয়ারী এপিথেলিয়াম থেকে যে পানি জাতীয় উপাদান যদি অতিরিক্ত প্রত্যক্ষ্য নিঃসরণ হলে ,

খ)  শতকারা ২০ ভাগ পরোক্ষ নিঃসরণ স্বাভাবিক , কিন্তু এর থেকে কম নিঃসরণ হলে গ্লূকোমা হয় । 

গ) তাছাড়া গ্লূকোমা হয় ট্রাবিকুলাম কর্নিও স্কেলেরাল সেমোয়ার্ক, স্লেমস ক্যানাল প্রভৃতি কোন পথে  প্রতিবন্ধকতা হয় তাহলেও গ্লূকোমা হয় । 

গ্লূকোমা বা চোখের উচ্চ চাপের প্রকারভেদ ঃঃ

১। বুফথালমোস বা জন্মগত গ্লূকোমা ; ২ । একোয়ার্ড বা  জন্মপরবর্তী সংশ্লিষ্টতা 

প্রাইমারী ঃ চোখের কোণ ছোট হওয়া, সিম্পল গ্লূকোমা বা ক্রনিক গ্লূকোমা। 

সেকন্ডারী ঃ চোখের অন্য রোগের কারোণে বিশেষ করে কর্নিয়ার ক্ষত, চোখের টিউমার , বিট্রাসে বা এ্যাসিতে রক্ত জমা, ইউভিয়াইটিস , ছানি রোগ হলে অপারেশন না করানো । 


গ্লূকোমার চিকিৎসা ঃঃ

প্রথমত একজন ভালো চোখের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে  আলফাগান, বেটাগান, পাইলো ড্রপ, টিমো ড্রপ, ল্যাটোনো প্রস্ট, প্রস্টগ্লান্দিন । 

২। খাওয়ার বড়ী - এসিমক্স , ইলেক্ট্রো কে । 

৩। ট্রাবিকোলোপ্লাস্টি - যেমন লেজার । 

৪। অস্ত্রোপাচার আইরিসে ছিদ্র করা, ট্রাবিকুলেক্টোমি, সিজ বা ফিল্টারিং অপারেশন । সেকেন্ডারী গ্লূকোমার কারন সমুহ দূর করা , ছানি রোগ অনেক দিন রেখে দিলে 


Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post