ওজন কমাতে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করবে যে ফল
দিনের শুরুতে প্রাতঃরাশ খুব গুরুত্বপূর্ন। এ সময় অন্যান্য খাবারের সঙ্গে যে কোনো একটি ফল খেতে পারেন। এক্ষেত্রে মৌসুমী ফল বেছে নেওয়াটাই ভালো। বেশিরভাগ সময়ই প্রাতঃরাশের টেবিলে আপেল বা কলাকে বেছে নেন অনেকে।
আপেল বা কলাতে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলেও ভিটামিন সি'র ঘাটতি রয়ে যায়। সেজন্য প্রাতঃরাশে রাখতে পারেন আনারস।
👉আনারসে রয়েছে অনেকগুণ। এর মধ্যে অন্যতম ভিটামিন সি। ওজন কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন সি।
তাই খাবারের তালিকায় আনারস রাখলে একদিকে যেমন পেট ভরবে তেমনই শরীরের বাড়তি ক্যালরি কমবে। লো ক্যালরির মিষ্টি এই ফলে থাকে প্রচুর ফাইবার।
👉এক কাপ আনারসে থাকে ৭৮.৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। এছাড়াও থাকে প্রচুর পরিমানে আয়রন। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে আনারস।
👉নিয়মিত হজমে সাহায্য করে আনারস। তাই হজম সংক্রান্ত যে কোনো ওষুধ তৈরি করার সময় ব্যবহার করা হয় আনারস। প্রচুর পানি থাকায় আনারস ডিহাইড্রেশন দূর করে।
👉এক কাপ আনারসে থাকে ৭৬ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ। এর ফলে আনারস হাড় শক্ত করে। শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য আনারস বিশেষ উপকারি। তবে কেবল প্রাতঃরাশে নয়, আনারস দিনের যে কোনো সময়ই খাওয়া যায়।
👉আনারস দেহের গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। গয়টার অর্থাৎ থাইরয়েড গ্রন্থির স্ফীত হওয়া প্রতিরোধ করে। নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপ। আনারস আর্থরাইটিস উপশমে সহায়তা করে।
👉কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে আনারস। ক্ষুদ্রান্ত্রের জীবাণু ধ্বংসে উপকার করে। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং মর্নিং সিকনেস অর্থাৎ সকালের দুর্বলতা দূর করে। এটি জরায়ু, স্তন, ফুসফুস, অন্ত্র ও ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বার্ধক্যজনিত চোখের ত্রুটি প্রতিরোধে সাহায্য করে। আনারস জ্বর ও জন্ডিস রোগের জন্য বেশ উপকারী।
সূত্র ডক্টর টিভি
Post a Comment
Please do not link comment any spam or drive spams content