ফুসফুসের সংক্রমণ রোধে রসুন অত্যন্ত কার্যকর

চলুন জেনেই নেই কেন রসুনকে সুপার ফুড বলা হয়: 

রসুনে রয়েছে থিয়ামিন (ভিটামিন বি১), রিবোফ্লাবিন (ভিটামিন বি২), নায়াসিন (ভিটামিন বি৩), প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড (ভিটামিন বি৫), ভিটামিন বি৬, ফোলেট (ভিটামিন বি৯) ও সেলেনিয়াম। এলিসিন নামক একটি জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে রসুনে, যা ক্যান্সারসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূরে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এলিসিন নামক কমাউন্ড রসুনে থাকে বলে রসুনকে সুপার ফুডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রাচীন যুগ থেকেই রসুন বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। ওষুধ হিসেবে রসুন ব্যবহারের নিদর্শন পাওয়া গেছে গ্রীক, মিশরীয়, ব্যবলনীয়, রোমান ও চৈনিক সভ্যতায়। 

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ রসুনে থাকে যা রসুনকে ঔষধি গুণসম্পন্ন করে তুলেছে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে রসুন বেশ উপকারী। প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটো কোয়া খালি পেটে খেলে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই জরুরি।

রক্ত সঞ্চালনা বৃদ্ধিতে রসুন উপকারী। ফলে রক্ত চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়ে যেসব রোগ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে হৃদপিণ্ডের ব্লকগুলো আর বাড়বে না এবং কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারবে না। এ কারণে বুকের ব্যথা কমে যাবে। যেকোনো কাজ স্বাচ্ছন্দ্যে করা যাবে। 

শরীরের এলডিএল বেড়ে গেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়৷ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রসুনের কোয়া খেলে রক্তচাপ জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সংক্রামক রোগ যেকোনো মানুষের শরীর থেকে সুস্থ মানুষের শরীরে সহজেই চলে যায়। এসব সংক্রমণ আটকানোর জন্য নিয়মিত রসুন খাওয়া জরুরি। 

ফুসফুসের বিভিন্ন সংক্রমণ যেমন এলার্জি, ঠাণ্ডা লাগার প্রবণতা কিংবা ধুলোবালি প্রভৃতি থেকে মুক্তি পেতে রসুন পিষে রস করে খাওয়া যায়। রসুনের রস সংক্রমণের ঊর্ধ্ব গতি রোধ করে এবং রসুনের রসের সাথে হলুদ গুড়ো গরম পানি দিয়ে চায়ের মতো খেলে সংক্রমণ হয় না। অর্থাৎ ফুসফুসের সংক্রমণ রোধে রসুন অত্যন্ত কার্যকর। 

এছাড়া ত্বক ভালো রাখতে, রক্ত পরিশোধিত করতে, শরীরে অবাঞ্ছিত ফোলা বা গোটা রোধ করতে, হাড়ের শক্তি বাড়াতেও রসুন কার্যকর ভূমিকা পালন করে।



Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post