কলকাতার নজরুলমঞ্চের সেই সন্ধ্যা অভিশাপ হয়ে গেছে (Singer KK Death)। মঞ্চে নেচেগেয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রাখছিলেন যে কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী তাঁর শরীর তখন একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শিল্পীর অভিব্যক্তিতেই তাঁর শারীরিক অস্বস্তির প্রতিটা লক্ষণ ছিল সুস্পষ্ট।

 

 নব্বইয়ের দশক কাঁপানো সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে-র মৃত্যু হৃদরোগেই হয়েছে এমনটাই জানা গেছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে। রিপোর্ট আরও বলেছে, দীর্ঘদিন ধরেই হার্টের সমস্যা ছিল কেকে-র।

READ MORE: উচ্চরক্তচাপ HYPERTENSION safe your heart

 সেদিন মঞ্চে ওঠার আগেই তাঁর শরীর জানান দিয়েছিল। হাতে-কাঁধে ব্য়থাও নাকি হচ্ছিল। সেসবই এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

অটোপসি বিশেষজ্ঞরা পুলিশকে জানিয়েছে, হৃদরোগের কথা জানতেনই না কেকে Singer KK Death)। তাঁর শরীরে লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছিল অনেক আগেই। কিন্তু ডাক্তারদের সঙ্গে কথা না বলেই শারীরিক অস্বস্তি হলে মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়ে ফেলতেন তিনি। সঙ্গীতশিল্পীর হঠাৎ শরীর খারাপের পর তাঁর অকালপ্রয়াণ হলেও সমস্যা যে লম্বা সময় ধরেই ছিল, সেটা জানা গেছে কেকে-র স্ত্রীর কথাতেও। 

READ MOREফ্যাটি লিভার খুব ভোগাচ্ছে? মেনে চলুন এই দশটি নিয়ম

পুলিশকে কেকে-র Singer KK Death) স্ত্রী জানিয়েছেন, শারীরিক একটা অস্বস্তির কথা আগেও বলেছিলেন কেকে। তাঁর হজমের খুব সমস্য়া হত। বদহজম হলেই একগাদা অ্য়ান্টাসিড খেয়ে ফেলতেন। ৩০ মে কলকাতায় এসে বলেছিলেন তাঁর হাতে ও কাঁধে ব্যথা হচ্ছিল। কার্ডিওলজিস্টরা বলছেন, ঘন ঘন হজমের গোলমাল, বুকে চাপের মতো ব্যথা, হাতে-কাঁধে ব্যথা নামাই ছিল হৃদরোগের পূর্ব লক্ষণ। মঞ্চে ওঠার আগে থেকেই এইসব উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করেছিল, কিন্তু তা বুঝতে পারেননি কেকে। ঘটনার দিন বিকেলে ভ্যাপসা গরম, মঞ্চে বহু মানুষের ভিড়, ধাক্কাধাক্কি, তার ওপর এসি বন্ধ থাকায় শারীরিক অস্বস্তি আরও বেড়ে যায়। সোডিয়াম লেভেল কমতে থাকে কেকে-র। হার্ট অ্যাটাক আসে হোটেলে ফিরেই।

সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র Singer KK Death) মৃত্যুতে নিউ মার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। শারীরিক অসুস্থতা নাকি অন্য কোনও কারণে সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কেকে-র ময়নাতদন্তের পরিপূর্ণ রিপোর্ট জানা যাবে ৭২ ঘণ্টা পর। রাসায়নিক বিশ্লেষণের পরেই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। অটোপসি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই মৃত্যুর পিছনে কারণ একটাই, তা হল হৃদরোগ, আর অন্য কোনও সম্ভাবনা নেই।


Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post