হার্টের সমস্যা ছিল, জানতেনই না কেকে (KK)। তাঁর মর্মান্তিক পরিণতি দেখেছে নজরুল মঞ্চ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ হল বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণ, প্রতি বছর আনুমানিক ১৭.৯ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে প্রাণ হারান।
সকলেই জানেন, সকালে হাঁটা, দৌড়নো, জগিং বা অন্যান্য ব্যায়াম হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কিন্তু এ সব ছাড়াও আরও একটা জিনিস রয়েছে যা হার্টকে শুধু ভালো রাখে না, সঙ্গে চাঙ্গা রাখে। সেটা হল শ্বাস-প্রশ্বাসের বিশেষ কৌশল। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে যা শরীর এবং মনকে শান্ত করে দেয়।
READ MORE: হার্ট ভালো রাখতে কখন ঘুমাতে যাবেন? যা বলছে গবেষণা
এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম হল গভীরভাবে শ্বাস নেওয়া। এতে পেশিতে অক্সিজেন পৌঁছয় দ্রুত, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, শ্বাসনালিগুলির গুণমান বাড়ায় এমনকী হাড় শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। তাহলে আর অপেক্ষা কীসের?
ডায়াফ্রাম থেকে শ্বাস নিতে হবে: হার্টের পেশিগুলিকে উন্নত করতে এর জুড়ি নেই। এই ব্যায়ামের জন্য, নাক দিয়ে ধীরে ধীরে বাতাস টানতে হবে। তারপর বাতাস ধরে রেখে ৩ পর্যন্ত গুণে ছেড়ে দিতে হবে। এই সময় বুক এবং পিঠ থাকবে সোজা। এর পরের ধাপে আরও ধীরে ধীরে শ্বাস নিয়ে ৬ পর্যন্ত গুণতে হবে। ঠিক যে সময় পেটের পেশি টান দিয়ে উঠবে তখনই বাতাস ছেড়ে দিতে হবে। প্রথম দিকে একটা হাত বুকের উপর এবং অন্যটা পাঁজরের নিচে রাখা যায়। এতে বাতাস ফুসফুসের ভিতরে এবং বাইরে যাচ্ছে এটা অনুভব করা যায়। এই ব্যায়াম করার সময় পিঠ সোজা রেখে বাবু হয়ে বা পদ্মাসনে বসা উচিত।
READ MORE: হার্টঅ্যাটাকের ৫ অস্বাভাবিক লক্ষণ
অনুলোম বিলোম: শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এই শ্বাস-প্রশ্বাসের কৌশল রক্তকে বিশুদ্ধ করে, মনকে শান্ত রাখে, রক্তচাপ কমায় এবং একাগ্রতা বাড়ায়। একটি নাকের ছিদ্র বন্ধ করে শ্বাস গ্রহণ করা এবং অপর নাকের ছিদ্র বন্ধ করে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ার একটি প্রক্রিয়া এটি।
ডান হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে নাকের ডান দিকের ছিদ্র (পিঙ্গলা নাড়ি) বন্ধ করে নাকের বাঁ ছিদ্র (ইড়া নাড়ি) দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। এরপর অনামিকা বা মধ্যমা অথবা এ দুটি আঙুল একযোগে করে নাকের বাঁ ছিদ্র বন্ধ করে ডান পাশের ছিদ্র দিয়ে পুরোটা শ্বাস বের করে দিতে হবে। এরপর ওই বাঁ ছিদ্র দিয়েই শ্বাস টানার পর আঙুল পরিবর্তন করে নাকের ডান ছিদ্র বন্ধ করে বাঁ ছিদ্র দিয়ে শ্বাস ছাড়তে হবে। আবার একইভাবে নাকের বাঁ ছিদ্র দিয়ে শ্বাস টানতে হবে। এই ধারাবাহিকতায় যাতে ভুল না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
শ্বাসের উপর ফোকাস করতে হবে: নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস যেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে থাকে। এর অর্থ, কখন শ্বাস নেওয়া এবং ছাড়া হয় সেটা মানুষ নিজেও খেয়াল করে না। এর ফলে অনেক সময় শ্বাস-প্রশ্বাস অনিয়মিত হয়। প্রশ্বাস নেওয়া কম কিংবা শ্বাস ছাড়া কম-বেশি হয়। এই ব্যাপারটাকে এক সুতোয় বাঁধতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। স্থির হয়ে বসে শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর মনঃসংযোগ করতে হয়।
READ MORE: হৃদরোগ প্রতিরোধে নিয়মিত খেতে হবে ১০টি খাবার
কপালভাতি: পদ্মাসনে বসে শিরদাঁড়া সোজা রেখে মুখ দিয়ে বড় করে শ্বাস নিতে হবে যাতে পেট ফুলে যায়। এরপরে কিছুক্ষণ বাতাস ধরে রেখে ধীরে-ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়তে হবে এবং সেসময় পেট ক্রমশ ভিতর দিকে ঢুকে যাবে- একেই বলা হয় কপালভাতি প্রাণায়াম।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । কোন সাজেশন থাকলে নির্ধিদায় আমাদের কে জানান, কমেন্টস করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
Post a Comment
Please do not link comment any spam or drive spams content