আমরা শুনে এসেছি হার্টকে ভালো রখতে হলে পর্যাপ্ত সবুজ শাকসবজি , অতিরিক্ত তেলের খাবার পরিহার, নিয়মিত ব্যায়াম , কায়িক পরিশ্রম,  পানাহার ও ধুমপান থেকে বিরত । কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় দেখা যায় হার্টকে ভালো রাখতে হলে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ভালো ঘুমের । এখানে উল্লেখ্য যে একজন ভালো মানুষের সুস্থ্য হার্ট বা হৃদযন্ত্র হৃদস্পন্দন হল প্রতি মিনিটে ৬০-১০০ বার স্বাভাবিক রক্তচাপ শরীরের জন্য খুব গুরুত্ব পূর্ন । 

গবেষণায় আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন বলেছেন হৃদযন্ত্রের সুস্থ্যতার জন্য একজন মানুষের দিনে গড়ে ৭ ঘন্টা অর্থাৎ ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত । যারা নিয়মিত ও পর্যাপ্ত ঘুমান তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় হার্ট ভালো থাকে যারা রাত জাগেন বা কম ঘুমান তাদের তুলনায় । আরো প্রমাণীত হয়েছে যে যারা পর্যপ্ত ঘুমান তাদের উচ্চরক্তচাপ কম থাকে ,ডায়বেটিস ও স্থুলতার হার অনেক কম থাকে । বিপরীতে যারা কম ঘুমায় তাদের উচ্চরক্তচাপ, ডায়বেটিস ও স্থুলতার হার বেশী থাকে পাশাপাশি হার্ট  অ্যাটাকের ঝুকি থাকে ৩০% বেশী । পরযাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের ক্ষুধা দমনাকারী হরমোন নিঃসরণ কমে যায় ফলে দেহের অতিরিক্ত ওজন বাড়িয়ে তুলতে পারে না । স্বাভাবিক ঘুমের সময় আমদের রক্তচাপ দিনের তুলনায় ১০ শতাংশ কম থাকে । ঘুমের সমস্যা মানেই হচ্ছে উচ্চরক্ত চাপ অনেকক্ষন বেশী থাকা । বাড়তি রক্ত চাপ হৃদরোগের ঝুকি বাড়িয়ে দেয় । ডায়বেটিস হৃদযন্ত্র সহ আরো সকল রক্তনালী ক্ষতি করে । পর্যাপ্ত  ভালো ঘুম রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রন রাখে ও ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রন রাখে ।  পার্যাপ্ত ভালো ঘুম স্ট্রেস হরমোনের উপর ভালো প্রভাব পড়ে এতে অতিরিক্ত মানসিক চাপ আবেগ ও উত্তেজনা নিয়ন্ত্রনে থাকে । মানসিক প্রশান্তি ও স্বাভাবিক হৃদযন্ত্র সুস্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্ব পূর্ন । ঘুম ভালো করে না হলে শুরু হয় মনের অশান্তি এছাড়া মনে দুশ্চিন্তা থেকে শুরু হয় মনের কষ্ট সাথে অনিদ্রা । ভালো ঘুম হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকে । 

আমাদের সবার চাই ভালো ঘুম যদি আমরা ভালো স্বাস্থ্য চাই । তাই নিম্নের বিষয় গুলো খেয়াল রাখতে হবে ঃ

+ঘুমানোর আগে চা কফি ও কোমল পানীয় পান  করা যাবেনা । 

+দিনের বেলায় ব্যায়াম করার জন্য সময় বের করে নিতে হবে । হৃদযন্ত্র সুস্থ্য রাখতে এবং পর্যাপ্ত ভালো ঘুমের জন্য ব্যায়াম বা কায়িক পরিশ্রম জুড়ি নেই ।

+ প্রতি রাতে একই সময় বিছানায় যাওয়া । সাপ্তাহিক ও অনান্য ছুটির দিন সহ প্রতি সকালাই একই সময় ঘুম থেকে উঠে পড়া । 

+শোয়ার ঘর শীতল, অন্ধকার শান্ত রাখা । 

+রাতে ঘুমানো যাওয়ার আগে কমপক্ষে আধা ঘন্টা আগে কম্পিউটার ও মুঠোফনে টিভি বন্ধ করতে হবে । কারন টিভির আলফা গামা রশ্মি গুলো মানসিক উদ্দিপনা তৈরি করে এছাড়া  নীল রশ্মি চোখের ঘুমকে বাধাগ্রস্ত করে । 

সোর্স অনলাইন সাস্থ্য বার্তা । 






Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post