বর্তমানে দেখা যায় যে বেশীর ভাগ মানুষের ব্যাকপেইন হচ্ছে শুধু মাত্র নিজেদের একটু সচেতনার অভাবে । একটু সচেতন হলেই এই ব্যাকপেইন থেকে মুক্তি মিলে । তবে যাদের বয়স ৪০ এর উপরে তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় বেশী কারণ এদের মধ্যে অনেকেই বসে কাজ করেন বেশীর ভাগ । বিভিন্ন পর্যবেক্ষ্ণ ও জরিপ ও সমীক্ষায় দেখা গেয়েছে পৃথীবির প্রায় ৮০ ভাগ লোক জীবনের কোন না কোন সময় এই ব্যাকপেইনে ভোগেন এবং এর থেকে মুক্তি চান । ঘাড় থেকে কোমড় পর্যন্ত মোট কথা মেরুদন্ডের একবারে শেষ অংশ পর্যন্ত যে ব্যাথা তাকেই সাধারনত ব্যাকপেইন বলে । 

কী কী করলে ব্যাকপেইন থেকে মুক্তি পাবো ???

১। অনেক সময় ধরে একজায়গায় বসে কাজ করলে স্বাভাবিক ভাবেই সবার মেরূদন্ডের উপর চাপ পরে । তাই সব সময় মেরুদন্ড সোজা করে বসবেন । সাথে সাথে দীর্ঘক্ষণ বসে না থেকে কিছুক্ষন পর পর উঠে এইটু হাটাহাটি করুন । 

২. হাই হিল জুটা পরিহার করা । মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায়  যে বেশীর ভাগ মেয়েরা হাই হিল পছন্দ করে । কিন্তু এই হাই হিল পড়লে মেরুদন্ডের উপর স্বভাবতই চাপ পড়ে । তাতে শুরু হয় ব্যাকপেইন । 

৩. বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই সস্তা মেট্রেসে ঘুমানো , এছাড়া অনেকদিন যেমন ২৫ বছর যাবত  একটি মেট্রেসে ঘুমান এতে করে তৈরি হবে অনেক সমস্যা । এরফলেও ব্যাকপেইনের সম্স্যা বেড়ে যায় । এই বিষয় গুলির উপর যদি সচেতন থাকেন তাহলে ব্যাকপেইন হবে না ।  

৪. নিয়ম মাফিক ব্যায়াম করলে ব্যাকপেইন থেকে মুক্তি সম্ভব । গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা নিয়মিত ব্যায়াম ও কায়িক পরিশ্রম করে তাদের ক্ষেত্রে ব্যাকপেইন হয় না হলেও হালকা । তাই বসে না থেকে প্রতিনিয়ত নিয়ম করে ব্যায়াম এবং যারা কায়িক পরিশ্রম করে তাদের এই ব্যাকপেইন হবে না । 

৫. ধুমপান বর্জন করতে হবে কারণ ধুমপান নিজের জন্য মারণ বিষ তেমনি অন্যান্য যারা আছেন তাদের জন্য একি বিষাক্ত  ধুমপান হচ্ছে সর্বরোগের উৎস তাই ধুমপান বর্জন করতে হবে । 

৬. অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় ভালো ঘুম না হলে ব্যাকপেইন অনেকটাই বেড়ে যায় তাই পর্যাপ্ত ঘুম নিজের কাছে রাখতে হবে । 

৭. নিজের শরীরে তুলনা ভারী ওজন তোলা । অথবা ব্যায়াম করার সময় ভারী ওজন জিনিস দিয়ে ব্যায়াম করতে গিয়ে দেখলেন যে শরীরে কোথাও না কোথাও ব্যাথা পেলেন শুরু হলো ব্যাকপেইন । তাই অতিরিক্ত ওজন উত্তোলন  থেকে নিজেকে  বিরত রাখুন । 

৮. নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহন করতে হবে না হলে দেখা যাবে যে আপনার শরীরের ক্যালসিয়াম , সোডীয়াম, পটাসিয়াম , ভিটামিন ডি সাথে পানিতে যে মিনারেল আছে তার অভাব হলেও দেখা দিতে পারে ব্যাকপেইন । 

৯. এছাড়া অরিতিরিক্ত ব্যায়াম শরীরের উপর বেশী প্রেসার দেওয়া হলেও হতে পারে ব্যাকপেইন । অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খেলেও হতে পারে ব্যাকপেইন । 

তাই নিয়মিত জীবন যাপন করুন নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং সর্বদা সোজা হয়ে বসা এবং সোজা হয়ে দাঁড়ানো সাথে সবুজ শাকসব্জি খেলে ব্যাকপেইন থেকে মুক্তি মিলবে অতি দ্রুত । 


Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post