আমেরিকান মিশিগান
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রখ্যাত নৃবিজ্ঞাণী রবিন্স বার্লিং একটি বই লিখেছেন
মান্দিদের নিয়ে । বইটির নাম “দি স্ট্রং ওমেন অব মধুপুর”মধুপুর গড়ে আদিবাসীরা নিজেদের কে
মান্দি বলে পরিচয় দিয়ে থাকে । মান্দি শব্দের অর্থ হচ্ছে মানুষ । ওরাই প্রথম মানুষ,
আদি অধিবাসী মধুপুর গড়ের তথা অরণ্যভুমির ব্রিটিশ সরকারের হিসেব মতে । অথচ মান্দিরা
ধীর গতিতে পরিণত হচ্ছে নিজভূমে পরবাসীর মত । এমন কিন্তু ছিলোনা এরশাদ সরকারের আমলে
সকল জমির খাজনা দিতো, ছিলো নিজের জমির মালিকানা । কিন্তু পরবর্তী সরকার আমলে সকল
জমি খাস করে গেজেট করা হয় । সেখান থেকেই এখন পর্যন্ত জমির মালিকানা তথা খাস জমিতে
সকল জমি আত্ততা ভুক্ত করা হয় ।
মান্দিদের মধ্যে এখন যারা বয়স্ক তারা বলেন, মধুপুরে
যখন শুধু শালবন আর বহেড়া, গামারী, জাম, জয়না, বেল ইত্যাদি বিভিন্ন গাছ ছিল; তখন
শুধু বন গভীর ছিল এখানে কোন রাস্তা ছিল না । বনের মাঝখানে দুভাগ করা রাস্তা ছিল না
তখন তারা কোন লেখা পড়ার জানতোনা, কোন স্কুলও ছিল না, যখন মিশনারীরাও মান্দিদের
কাছে আসেনি খৃষ্টধর্ম নিয়ে, তারো বহু যুগ আগে থেকেই মান্দিরা ছিল এই বনে । বনের
ভিতরের গ্রাম তেলকি এক মান্দি বলেছেন, আমারা বাঙ্গালী দেখেছি বন উজাড় করে যখন বনের
মাঝখানে রাস্তা হলো তখন । এছাড়া বনের ভিতরে শুধু তারাই ছিল , বনই ছিল মান্দিদের
জগত, ওদের পৃথীবি, মান্দিরা ছিল বনের সন্তান । বন রক্ষার নামে, উন্নয়নের নামে
লুটপাতের রাজত্ব কায়েম করেছেন বনবিভাগ, সরকারে থাকা গুটি কয়েক অর্থ লোভী কর্মচারী
গণ । সরকার আসার পর থেকেই, বনভূমি বনবিভাগের হাতে চলে যাওয়ার পর থেকেই এই মধুপুরের
বিশাল শালবন এখন উজাড় ও বিবর্ণ । বনে পাখি নেই, প্রাণী নেই, পাখির কিচির মিচির
নেই, গান নেই, বনে যেন কোন প্রাণ নেই ।
আপনি ভেবে দেখেন মান্দিরা হাজার হাজার বছর ধরে
এই মধুপুর বনে বাস করে আসছে তবুও মান্দিরা বন ধ্বংস করেনি । মাটির সম্পদ শাল গাছ
উজাড় করে বাণীজ্যের কথা চিন্তাও করতে পারি নি । ঘরে আসব্বাপত্র বানানোর জন্য বৃক্ষ
কেটে কাঠ করতে হবে মান্দিরা জানতো না । মুনাফার কথা লাভ লোকসানের হিসাব করতে পারি
নি কোন দিন । মান্দিরা শুধুমাত্র জানতো বনকে রক্ষা করতে হবে নিজেদের জন্য ও আগত
সন্তাদের জন্য । মান্দিরা অরণ্যে এখন রোদন করে, কেঁদে ফিরে । এখানে ওদের শিশুদের
ভবিষ্যত আজ অনিশ্চিত । আমেরিকান মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রখ্যাত নৃবিজ্ঞাণী রবিন্স
বার্লিং একটি বই লিখেছেন মান্দিদের নিয়ে । বইটির নাম “দি স্ট্রং ওমেন অব মধুপুর”। এই বনের স্ট্রং
ওমেন গিদিতা রেমাদের এখন প্রকাশ্যে হত্যা করা হচ্ছে এবং বিচার হচ্ছে না । আদিবাসীরা
বহুমুখী সমস্যা ও হুমকীর মুখোমুখি । মান্দিদের
জমির মালিকানা নিয়ে সমস্যা বনবিভাগের শত শত মিথ্যা মামলা হয়রানি, পুলিশি হয়রানি,
সেনা বাহিনি ও বিমান বাহিনির প্রশিক্ষন কেন্দ্রে নামে উচ্ছেদ, বনের ভেতর চলে শাল
গাছ গুলো রাতের আধারে পাচার । বিভিন্ন সময় মান্দিদের আবাদি জমিতে জলদস্যুদের মত
আক্রমন করে ফসলের ক্ষতি সাধন ও লুটপাট করা বনবিভাগের মানুষ জন । তাই এখানকার মান্দিরা
এখন সুংগঠিত হয়ে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছে । মান্দিরা বুঝতে পেরেছে
সংগ্রাম, প্রতিবাদ ছাড়া মুক্তি নাই ।
বলা যুক্তি সাপেক্ষ যে ঢাকা থেকে ১৪৫ কিমিঃ
উত্তরে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে একসময় এই মধুপুরের শালবন
ছিল সমতলের বনভূমির মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তর । শালবন সৃষ্টির পর থেকে বা স্মরণাতীত
কাল থেকেই মান্দিরা এখানে বসবাস করে আসছেন । এই বিষয়টা ইতিহাসবিদরা সকলেই জানে
কারো অজানা নয় । বৃটিশ জমিদারি প্রথায় মধুপুর গড় ও তার অধিবাসীরা নাটোরের রাজার
শাসনের আত্ততায় আসে । রাজা এই এলাকাকে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে দেবতা গোবিন্দের নামে
উৎসর্গ করেন । উঁচু জমিতে মান্দিরা লীজের মাধ্যমে জমি চাষাবাদ করতো এবং নিচু জমিতে
তাদের নিজের নামে রেজিষ্ট্রি করে নিতে পারতো । এই বনেরে গারোরা ১৮৭৮ সালে তাদের
ধানী জমি প্রথমবারে মত ভারতীয় প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে নথিভুক্ত করে । মধুপুর
গড়ের বেশির ভাগ জমিই বর্তমানে এই আইনের মাধ্যমে
নথিভুক্ত করা হয় । এই আইনের মাধ্যমে বহু বছর খাজনা বা কর মান্দিরা সরকারকে দিয়ে
এসেছে । কিন্তু বিগত সরকার থেকে শুরু করে বর্তমান সরকার বিভিন্ন জটিলতা দেখিয়ে কর
নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে । প্রতিবছর আদিবাসী মান্দিরা অ অধিবাসীরা জমির দলিল করা; কর
দেওয়া থেকে শুরু করে সকল কিছু করারা জন্য দৃঢ় প্রত্যয় কিন্তু সরকার নারাজ । মধুপুর
বনের আয়তন ছিল ২৫০ বর্গমাইল কিন্তু ১৯৪৭
থেকে যদি এখন ২০২০ খ্রীঃ ৭৩ বছরে প্রায় অর্ধেকেরো বেশী বন উজাড় এমন কি বিলিন হয়ে
গেছে । একটি দেশের জন্য সর্বদা শতকরা ২৫% বনভূমি দরকার হয় । নির্ধিদায় মধুপুর গড়
এই চাহিদা মিটিয়ে আসছিল কিন্তু যখন থেকে বনের সন্তান্দের উপর জোর জলুম শুরু হলো
তখন থেকে মধুপুর গড়ের শালবন নিরবে কাঁদতে শুরু করলো । শালবন তার সন্তাদের উপর
অত্যাচার সহ্য করতে পারছিল তাই তো আজ এই করুণ অবস্থান মধুপুর গড়ের । আমরা দেখতে
পাই বনবিভাগ যখন ছিল না তখন আদি মান্দিরা ও কোচ/ মান্দাই তারা এই বনভূমিকে রক্ষায়
রয়েছে সুর্দীর্ঘকালের ইতিহাস । বন ধংসের পর এখন ওরাই সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখিন ।
১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকে আদিবাসীদের জমির
মালিকানা ক্রমান্বয়ে ঝুকিগ্রস্ত হয় । ১৯৬৫ খ্রীঃ পাকিস্থান সরকার বন সেটেলমেন্ট
অফিসার আস.এইচ. কোরেশির মাধ্যমে এই বনের বাসিন্দাদের জন্য উচ্ছেদ নোটিশ জারি করে ।
সে সময় সরকার ভারতীয় প্রজাস্বত্ব আইন রদ করার চেষ্ট চালায় । সরকারীভাবে আদিবাসীদের
উচ্ছেদ নোটিশের ইশতেহারে প্রকাশ করা হয় এবং তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও হুমকি
দেওয়া হয়, কিন্তু তা আদিবাসী জনগণকে দেওয়া হয়নি ।
১৯৬২ খ্রীষ্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর
মোনায়েম খান এবং তৎকালীন বনমন্ত্রী ময়মনসিং বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন
চুনিয়া গ্রামের আদিবাসীদের উচ্ছেদ নোটিশ জারি করার জন্য । এই উচ্ছেদ নোটিশে
আদিবাসীদের ক্ষতিপুরণ বা পুনর্বাসনের ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করা হয়নি । ১৯৬৯ সালে
ন্যাশনাল পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ বিল্লাহ দ্বিতীয় উচ্ছেদ নোটিশ জারি
করেন চুনিয়া গ্রামের আদিবাসীদের জন্য । তখনও ক্ষতিপুরণ বা পুনর্বাসনের কোন কিছুই
উল্লখ করা হয়নি । বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ খ্রীষ্টাব্দে বনমন্ত্রী আব্দুর রব
স্বনিয়াবত ন্যাশনাল পার্ক প্রশ্নে আদিবাসী গারোদের সঙ্গে মতবিনময় সভা করেন । তিনি
গারো নেতাদের বলেন সরকারের নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদানের জন্য যেখানে গারোদের
সমস্যাদি উল্লখ থাকবে । মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী নেতৃবৃন্দ কতৃক Garo Aboriginal Demands for Survival এই শিরোনামে একটি
স্মারকলিপি সরকারের বরাবর দেওয়া হয় । ১৯৭৪ খ্রীষ্টাব্দে ২০ সেপ্টেম্বর বনবিভাগের
কতিপয় কর্মকর্তা জোরপূর্বক গারোদের জমি থেকে শত শত আনারস কলা ও অন্যান্য ফলমূল
ছিনিয়ে নেয় । আদিবাসী জনগণ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের এসডিও কোর্টে মামলা
দায়ের করতে গিয়েছিল, পরিতাপের বিষয় কোর্টে তাদের মামলা গ্রহন করা হয়নি । ১৯৮১
খ্রীষ্টাব্দে একটি ঘটনা সত্যি বেদনা দায়ক এবং সেই সাথে অসহনীয়। বনবিভাগের নিপীড়ন ও
দুর্নীতি শষ পর্যন্ত এমন অবস্থায় অবস্থান নেয় যে, আদিবাসী জমির মালিকে নিজের জমিতে
চাষাবাদ করতে হয় ৫০০০/- পাঁচ হাজার টাকা ঘোষ দিয়ে । বনবিভাগের লোকজন যখন তখন
আদিবাসীদের মান্দিদের ধানী জমি নষ্ট করতো । ১৯৭৭ সালে বনবিভাগের কর্মকর্তারা বনের
মধ্যে একটি কৃত্রিম হ্রদ তৈরি করে, যার ফলে বন্যা আকস্মিক হয় এবং আদিবাসীদের
কয়েকশত মন ধান উৎপাদন থেকে বঞ্ছিত হয় । ১৯৭৮ খ্রীষ্টাব্দে বংলাদেশ সরকার ন্যাশনাল
পার্কের আত্ততাধীন এলাকার আদিবাসীদের উচ্ছেদের নোটিশ জারি করে । অথচ গারো মান্দিরা
এই সব জমির জন্য ঐ বছরো খাজনা প্রদান করেছে । সরকার প্রস্তাব করে যে, অনত্র্য সরে
গেলে গারোদের পরিবার মাথা পিছু এক একর জমি
পাবে ও এক হাজার টাকা প্রদান করা হবে । কিন্তু সরকারা যে জমি দেবে বলে গারোদের
প্রতিশ্রুতি দেয়, সে সব জমিতে আগে থেকেই বাঙ্গালী মুসলমানরা বসতি গেরে আছে । শুনলে
আরো অবাক হবেন যে তাদের জন্য সেই জমি সরকার রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছে । থানারবাইদ,
সাইনামারি ও পীরগাছা গ্রামে ২০০ আদিবাসী
পরিবারকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করে বনবিভাগ । এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ আশ্বাস দেওয়া হয়
জমি দিয়ে কিন্তু সে জমি আগে থেকেই বাঙ্গালী মুসলমানদের দখলে ।
ঐ একই বছরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে মধুপুর চাপাইদ
গ্রামে আদিবাসীদের জমি দখল করা হয় । মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভেড়া চড়ানোর নামে এই ভূমি
দখল করে । এজন্য কোন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি । পরে কোর্টে মামলা হলে ১৯৮২ সালে
জমিগুলো আদিবাসীরা ফেরত পায় ( মামলা নং (৩৭৬/৭৯) । ১৯৭৯ সালে বনায়নের নামে
মধুপুরের গারোদের ব্যাপক নির্যাতন চালায় বনবিভাগ । তাদের জমি জোরপূর্বক কেড়ে নেয়া
হয়, তাদের আবাদি জমি, ধান ক্ষেত, আনারস বাগান, সব্জির বাগান সব নষ্ট করা হয় । সাথে
উল্টো আদিবাসীদের নামে একটা না অসংখ্য মিথ্যা মামলা দায়ের করে । আদিবাসীদের সাথে
হয়রানী ও তামাশা করাই ছিল এই সকল মিথ্যা মামলার উদ্দেশ্য । ১৯৮১ সালে ২৪
ফেব্রুয়ারী ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা
রসুলপুর রেঞ্জ নির্দেশ দেয় জয়নাগাছা, বন্দেরিয়াচালা ও কেজাই গ্রামের গারোদের ১০৮
একর জমি দখলের জন্য । সুদীর্ঘ বছর ধরে গারোরা এই সব জমি আবাদ করছিল এবং অনেকের
জমির দলিল ছিল ৮০ বছেরে পুরানো । বনবিভাগ তাদের একটি বিট অফিস প্রতিষ্ঠা এবং তুঁত
গাছ রোপনের নামে আদিবাসীদের জমি থেকে উচ্ছেদের জন্য প্রায় ২০০ বাঙ্গালী মুসলমানকে
এখানে নিয়ে আসে ।
১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর প্রায় ২২ জন আদিবাসী
একটি আবেদন করেন তৎকালীন উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও বিমান বাহিনীর প্রধান
বরাবর । আবেদনকারী গারো গ্রামবাসীরা বলেন “ টেলকী ও নয়াপাড়া গ্রামে আমরা
সুদীর্ঘকাল ধরে বসবাস করে আসছি । আমরা স্মরণাতীতকাল থেকে এ এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে
বসবাস করছি এবং অতীত ও বর্তমান সরকার মহোদয়ের উন্নয়ন মূলক কার্যক্রমে সম্ভাব্য
সহায়তা দিয়ে আসছি । কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ জনক যে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আমাদের
বাড়িঘর, জায়গাজমি ফায়ারিং রেঞ্জের অন্তর্ভুক্তি করেছে , যা আমাদের সম্পূর্ণ
অপ্রত্যাশিত ছিল । যা হোক, জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর রসুলপুর
এয়ারেঞ্জ স্থাপন অতীব গুরুত্ব পূর্ণ ও অভিনন্দন যোগ্য । কিন্তু আমাদের ন্যায় নিরীহ
আদিবাসীদের উক্ত এলাকায় অবৈধ্য বসবাসকারী হিসেবে চিহ্নত করে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুঃখজনক বিধায়
আমাদের স্থাবর সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং মনবতার কথা বিবেচনায় রেখে
পুনর্বাসনের ব্যাবস্থা করার অনুরোধ করছি।
সবিশেষে উল্লেখ্য যে, আমরা আদিবাসীরা এদেশেরই
ভূমিজ সন্তান এবং নাগরিক, আবৈধ বসবাসকারী নই । আমাদের পুরাতন বাগান বাগিচার
ক্ষতিপূরণ( বর্তমান বাজার মূল্য ) ঘরবাড়ি পুনঃনির্মান খরচাদি এবং সমপরিমান জমি
প্রদানের ব্যাবস্থা সহ সরকারের শুভ পদক্ষেপ আমরা কামনা করছি ।” ১৯৮৪ খৃষ্টাব্দে ৩১
অক্টোবর যে রকম আবেদনটি ছিল তার হুবহু তুলে ধরলাম এখানে । আপনারা যেন তা অনুধাবন
করতে পারেন । আদিবাসী মান্দি বলে মধুপুর গড়ের আদিবাসীদের এই আবেদন কোন কাজে আসেনি
। এ বিষয়ে আদিবাসীরা কোন আন্দোলনের বা কর্মসূচিও দিতে পারেনী, মানবিক সাহায্য নিয়ে
যে তাদের পাশে দাঁড়াবে এমন কেউ ছিলোনা । শুধু সাক্ষি হয়ে রইলো মধুপুর গড় ।
Post a Comment
Please do not link comment any spam or drive spams content