বাংলাদেশে আগামী বছর চরম দারিদ্র সীমার নীচে আসবে
নতুন করে বাংলাদেশের মানুষ দারিদ্রতার স্বীকার হতে যাচ্ছে। এ যাত্রায় ৩ থেকে ৬ ছয় কোটি মানুষ চরম দারিদ্রতার স্বীকার হবে। বিশ্ব যে (এসডিজী) টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য নির্ধারন করেছে সে টার্গেট ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দে আর পূরণ হবে না বলছিলেন (আইএমএফ)ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড



এছাড়াও কোভিড-১৯, করোনা ভাইরাসের কারনে মাহামারি আকার ধারণ করেছে তাতে বিশ্বব্যাপী সাথে আছে দক্ষিণ এশিয়া সকল দেশের কতজন নতুন করে গরিব ও চরম দারিদ্রতার স্বীকার হবে তার একটি হিসাব দিয়েছে সদ্য বিশ্বব্যাংক গত বৃহস্পতিবার ‘ইস্তিমেটস অফ দি ইমপ্যাক্ট অব কোভিড-১৯ অন গ্লোবাল প্রভার্টি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে নতুন ফরমুলা বের করে এ হিসাব দিয়েছে বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদনে বলা হয় হতদরিদ্র ও দারিদ্রতার হার সবচেয়ে বেশি হবে বাংলাদেশসহ দক্ষিন এশিয়া ও লাটিন আমেরিকায় তবে কোভিড-১৯ আক্রমনে ২০% আয় রোজগার ও ক্রয়ক্ষমতায় আঘাত হানলে বিশ্বব্যাপী ৪২-২৫ কোটি লোক দারিদ্র সীমার নিচে চলে আসবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয় কোভিড-১৯ আঘাতে দারিদ্রের ওপর স্বল্প সময়ের আঘাতের একটি হিসাব বের করা হয়েছে এ হিসাব টি করা হয়েছে তিন শ্রেণির আয়ের উপর। হিসাবে আনা হয়েছে প্রথম যাদের দৈনিক আয় ২ ডলারে নিচে তাদের মোট হার নতুন করে ৬ শতাংশ বেড়ে যাবে এবং ৩ দশমিক ২ ডলারের  নিচে আয়ের মোট জনসংখ্যার হার  নতুন করে ৭ শতাংশ বৃ্দ্ধি পাবে। জানা গেছে বাংলাদেশের মানুষ ২ ডলারে নিচে আয় করেছে এমন জনগোষ্ঠী হচ্ছে ২ কোটি ৩৭ লাখ বা ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এরা হতদরিদ্র হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু করোনার ২০ শতাংশ মানুষের আয় রোজগার বা ক্রয়ক্ষমতার আঘাত হতদরিদ্রর হার ৬ শতাংশে বাড়বে। অর্থাৎ নতুন করে আরো ৯৬ লাখ মানুষ হতদারিদ্রের তালিকায় যুক্ত হবে। সূত্র আরো জানায় বাংলাদেশে ১ দশমিক ৯০ ডলারের ওপর বা ৩ দশমিক ৮ ডলরের নিচে। দৈনিক আয় করেছে এমন মানুষের সংখ্যা ৮ কোটি ৮০ লাখ(৫৫ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের হিসেবে বলা হয়েছে ২০ শতাংশের আয়ে আঘাত করলে এই হার ৫৫ থেকে বেড়ে ৫২ শতাংশে উঠবে। অর্থাৎ ৭ শতাংশ বাড়বে। এই হিসাবে নতুন করে দরিদ্র হবে আরও ১ কোটি ১২ লাখ লোক। ফলে করোনার প্রতিঘাতে নতুন করে মোট ২ কোটি ৮ লাখ মানুষ দরিদ্র ও হতদরিদ্রের তালিকায় নাম লেখাবে।বিশ্বব্যাংকের  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যদি ২০ শতাংশ না হয়ে যদি ৫ শতাংশও আঘাত করে তবে হতদরিদ্র ১ শতাংশ ও দারিদ্র ১ দশমিক ৫২ শতাংশ বাড়বে।তাই সেই হিসাবে বাংলাদেশেরে মানুষ হতদরিদ্র ও দরিদ্র মানুষের সংখ্যা হবে ৪০ লাখের মত।
এর মধ্যে হতদরিদ্র হবে ১৬ লাখ এবং দারিদ্র বনে যাবে ২৪ লাখ। বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশের অবস্থা আরও খারাপ হবে। পরিসখ্যান ব্যুরোর হিসেব মতে পৌনে ২ কোটি মানুষ আছে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করছে। এসব মানুষ আজ তাদের ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে কারন তাদের কাজ এখন নেই। পরিবহন শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, রিক্সাচালক, চা দোকানদার, কুলি, মুদি দোকানী, দিন মজুর দিনে আনে দিনে খায় ভিত্তিতে কাজ করছে। কোভিডের জন্য তার এখন বসে আছে। প্রতিবেদনে বিশ্বের আরো সকল দেশের পরিস্থিতিও তুলে ধরা হয়েছে।সূত্র সেখানে বলেছে বিশ্বব্যাপি  মোট জনগোষ্ঠীর ৫ শতাংশ আয়ে করোনা ভাইরাস আঘাত করলে বিপরীতে নতুন করে সাড়ে ৮ কোটি থেকে সাড়ে ১৩ কোটি মানুষ হতদরিদ্র হবে। যদি ১০ শতাংশ আঘাত করে সে ক্ষেত্রে নতুন করে ১৮ কোটি থেকে ২৮ কোটি মানুষ হতদরিদ্র হবে।
সচল  অর্থনীতি অচল হয়ে গেছে গত কয়েক মাসে কবে সচল হবে আর হলেও বসে থাকে অচল অর্থনীতি পূর্বের গতি ফিরে আসতে অনেক সময় লাগবে বলছিলেন সকল আর্থনীতি বিদেরা বাংলাদেশের অবস্থান আরো নাজুক হবে এমন কি চরম দারিদ্রতায় পর্যবসতি হবে
 

Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post