ভিক্টর হুগো ছিলেন একজন ফরসি সাহিত্যিক ১৮০২-১৮৮৫ ,তিনি একবার এই কথা গুলো তার সাহিত্যে লিখেছিলেন কারণ মনের মধ্যে এত বসন্ত চিরদিন উজ্জ্বল থাকে । এখন এই মাহামারি করোনায় কোভিড ১৯ এর কারণে মুখে চোখে এমনকি সর্বাঙ্গে মহামারি করোনার জন্য ভয়। কী করে এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায় কিন্তু দেখুন প্রত্যেকের মনে হৃদয়ে কিন্তু বাংলার নতুন বর্ষকে নতুন করে বরণ করে নেবার জন্য উদ্গ্রীব । কত আয়জন কত কেনাকাটা বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান সব কিছুই পন্ড । ২০২১ খ্রীষ্টাব্দ এমন একটি বছর যে বছর বাংলাদেশের প্রধান সামাজিক উৎসব নববর্ষ ঘটা করে পালন করা হচ্ছে না ।পহেলা বৈশাখ নতুন সাজে পুরাতন কে বিদায় দিয়ে চিরচেনা নতুনকে বরণ করে আগামীর আলোর পথে ভালোর সাথে বন্ধুত্ব করে । এ এবছর আর করা হচ্ছে না, থাকছেনা রাস্তাঘাটে পান্তা ঈলিশ খাওয়া । লাল সাদা পোশাকে কত গান বাজনা বিভিন্ন খাবার বিভিন্ন বাদ্যবাজানার আওয়াজ। সব কিছুই যেন নিমিশে বিলীন হয়ে গিয়েছে । একটাই কথা আগে বেঁচে থাকলে অনেক বৈশাখ পালন করা যাবে। মাহামারী কী এই কথার অর্থটা এখন জ্বলন্ত চাক্ষুস প্রমাণ আর বই পড়তে হচ্ছে না । বোজাতে হচ্ছেনা কিশোর বা কিশোরীদের কে ।
কলকাতা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল পার্কে |
তবুও বসন্ত চিরদিন হৃদয়ে কিন্তু এখনো বিরাজীত । অনেক পাগল desperado আছেন যাকে বাংলা ভাষায় বলে নাছোরবান্দা তারা কিন্তু বৈশাখ নব্বর্ষ পালন করবেই । চারিদিকে ঈলিশ মাছের কোন বিজ্ঞানপণো দেখা যায় না। মাহামারি করোনায় সারা বিশ্বের মানুষ আজ কোণঠাসা । তাই সাহিত্যিক ভিক্টর হুগোর কথা গুলি মনে পড়লো আমার মাথায় শীত অথচ হৃদয়ে চীরবসন্ত । সকল মানুষের হৃদয়ে বাংলার প্রধান সামাজিক উৎসব ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমজনতার প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ নববর্ষ সাধারণ ভাবে পালন ও বরণ এমনকি উদযাপন করা যাবেনা ।
আজ ১৪২৭ কে বিদায় দিতে হচ্ছে বাংলা বছরের শেষ দিন যা কিনা অনুষ্ঠান না করেই তবে হা জাতীয় শিল্পীরা বিভিন্ন ডিজিটালের মাধ্যমে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করছে বৈকি কিন্তু সামগ্রিকভাবে তেমন একটা বিশেষনে বিশেষায়িত হচ্ছেনা সেটা । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গলশোভাযাত্রা ২০২১ এবার হচ্ছেনা । প্রতিবছর ধর্মান্ধ নিপাত যাক আলোর পথে সবার সাথে এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় চারূকলা অনুষদ প্রতিবছর নব্বর্ষে এই মংগল শোভাযাত্রার আয়োজন করে থাকে ।
Post a Comment
Please do not link comment any spam or drive spams content