৩০০০০ হাজার বছর আগে একাউন্ট শব্দ টা পাওয়া যায় অরিগানেসিয়ান থেকে । আবার ২০০০০ হাজার বছর আগে ঈশানগো হাড়ের তৈরি প্ত্রিকার মত বেবুনের উরুর হাড়ের সাথে মিলিত ট্যালি চিহ্ন ব্যাবহার করছে যা পাওয়া যায় গণ প্রজাতন্ত্রী কংগোর নীল নদের সাথে । ফলে দেখা যায় প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার প্রাচীন হাড়ের ও পিতলের খোদায় করা বিভিন্ন উপকরণ থেকে জানা যায় কয়েক হাজার কোটি বছর পূর্বেই এই ধরনীতে টাকার উৎপাদন ও প্রচলন হয়ে আসছে।
অর্থের বিবর্তনের আরো একটি অধ্যায় হলো মুদ্রা থেকে ওজনকে এককের মান হিসেবে পরিণত করে তার পণ্য মূল্য এবং বিশিষ্ট মানের মধ্যে যথেষ্ঠ পার্থক্য তৈরি করা । পৃথিবীর প্রথম মুদ্রা ইতিহাসে যে ভাবে বলে তা হল আইজিনার গ্রিক নাটক মুদ্রা প্রাচীনতম কচ্ছপের মুদ্রা যিশু খ্রীষ্টের আসার আগে ৪০৪ বছর আগে (৪০৪বিসি) যদি দেখতে চান তাহলে ক্লিক করুন ।
৬৫০ থেকে ৪০০ বিসি বিসি অর্থ হচ্ছে বিফর ক্রাইষ্ট যীশু খ্রীষ্টেরো জন্মের আগে ৪০০ থেকে ৬৫০ বছর আগে চীনার এ মূদ্রা ব্যবহার করত । দেখুন এই লিকঙ্কে ।
মধ্যযুগীয় মুদ্রা প্রথমে ৮০০ খ্রীষ্টাব্দের দিকে চার্লামেগেন নিজে পবিত্র রোমান সম্রাট হয়ে উঠার আগে ১টি ধাতব মুদ্রা বের করেন এবং মানক মুদ্রা জারি করে একাধিক সংস্কার বাস্তবাওয়ন করেন । শিলিং , পাউন্ড , স্তারলিং, সিল্ভার ইত্যাদি মুদ্রার প্রচলন হয় এই মধ্যযুগেই ।
প্রথম কাগজের টাকার নোটের প্রচলন
ইতিহাস বলে চীন দেশে একাদশ শতাব্দীতে সিং রাজবংশের সময় "জিয়াজি" নামে প্রথম কাগজের টাকা নোট চালু হয় । প্রথাম টাকার নোট দেখতে চাইলে এই লিঙ্কে যান । ভারতীয় উপমহাদেশে শেরশাহ সুরি (১৫৪০-১৫৫) রুপিয়া নামে একটি রুপোর মুদ্রা চালু করেছিলো।
১৩২৯ খ্রীষ্টাব্দে দিল্লি সুলতানী সম্রাট মুহম্মদ বিন তুঘলকের সময় আর্থিক সংস্কারের মাধ্যমে রাজকীয় টাকার আনুষ্ঠানিকতায় শুরু করেন। এর মানটি রাজকীয় কোষাগারে স্বর্ন ও রৌপ্য হিসেবে মজুতের সাথে বিনিময় হয়েছিল ।
টালিজ নামে কাঠের টুকরো একসময় মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল ।এতা মুলত দ্বাদশ শতাব্দিতে প্রচলন হয় ।
প্রথম ইউরোপীয় টাকার নোট ১০০ মার্কিন ডলার নোট ১৬৬১ খ্রীষ্টাব্দে সুইডেনের কেন্দ্রিয় ব্যাঙ্ক সেরেজেজ রিক্সব্যঙ্কের পুর্বসূরী স্টকহোম ব্যাঙ্কো জারি করেছিলেন । ১০০ মার্কিন ডলার নোট । ১৪৫০ থেকে ১৯৭১ ।
বর্তমান ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ঘোষণা দেন আমেরিকান মার্কিন ডলার সরাসরি সোনায় রুপান্তরিত হবেনা ।
ডিজিটাল মুদ্রা
বিংশ শতাব্দীর ২য় ভাগে কম্পিউটার এর উত্থানের পর ডিজিটাল মুদ্রার প্রচলন হয় । যা বর্তমানে অনেক বেশী ব্যাবহৃত হচ্ছে । ২০০০ দশকে মধ্যে সর্বাধিক অর্থ ব্যাংক ডাটাবেজ ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে চালু আছে ।
ক্রিপ্টোকারেন্সী
২০০৮ খ্রীষ্টাব্দে অজানা লেখক সাতোসী নাকামাটো ছদ্মনামে বিটকয়েন এর প্রস্তাব করেছিল । ফলে ঐ বছরে তা কার্যকর করা হয়েছিল । এর ক্রিপ্টগ্রাফী ব্যবহারের ফলে মুদ্রাটিকে একটি বিশ্বাসহীন, টেম্পার প্রতিরোধী বিতরনকারী খাতকে ব্লকচেইন বলে অনুমতি দেয় ।
ভবিষ্যতের টাকা বলতে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে এখন অনেক উন্নত দেশ বেছে নিচ্ছে । এর কারণ সব কিছুই যখন ডিজিটালী চলছে একটি মাত্র ক্ষুদ্র যন্ত্র সবাইকে এখন নিয়ন্ত্রন করছে সাথে সোসাল মিডিয়া বিশেষ করে ফেসবুক, টুইটার, ইন্সাগ্রাম, লিঙ্কদিন সাথে উইটিউব । আর কাগজের টাকা বা নোট তো এখন নিম্ন আয়ের শ্রেণীরা ব্যবহার করেছে । বলার কারণ এখন উন্নত বিশ্বে সবাই ডিজিটালী লেনদেন করছে । বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশ চেষ্টা করেছে তার উদাহরণ বিকাশ, নগদ, ডাচ বাংলা ব্যাঙ্ক মোবাইল ব্যাঙ্কিং ইত্যাদি চোখে পড়ছে । কিন্তু বিভিন্ন উন্নত বিশ্বে কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যাপক হারে প্রচলন হচ্ছে । তবে এর ব্যবহার বেশী দেখা যায় ক্যাসিনো খেলায় । এছাড়াও বিভিন্ন স্টাক একচেঞ্জ লেনদেন এর ক্ষেত্রে প্রচুর ব্যাহার করছে এবং হচ্ছেও এই ক্রিপ্টোকারেন্সী । কিন্তু এই ক্রিপ্টোকারন্সীকে নিয়ন্ত্রন করতে পারছেনা বিশ্বের রাঘব বোয়ালরাও তাই লাগাম বা নিয়ন্ত্রিত কোন আইন প্রণয়ন হচ্ছে না । বাংলাদেশের মত ক্ষুদ্র দেশে একসময় বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক ক্রিপ্টোকারেন্সী লেনদেন অনুমতি দিয়েছিল কিন্তু এখন একদম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ এই ক্রিপ্টোকারেন্সী । অন্য দিকে ভারত পাকিস্তান এমনকি মিয়ানমারেও এর অনুমতি দিয়েছে সেখানাকার রষ্ট্রপ্রধান । আমেরিকা ইউরোপ জার্মানীর মত উন্নত দেশে দেদাড়শে ব্যাঙ্কে লেনদেন হচ্ছে এই ক্রিপ্টোকারেন্সী । তাই অর্থ গবেষকরা ভবিষ্যত বানী উচ্চারণ করেছেন টাকা অদূর ভবিষ্যতে আর থাকবেনা ।
Post a Comment
Please do not link comment any spam or drive spams content