৩০০০০ হাজার বছর আগে একাউন্ট শব্দ টা পাওয়া যায় অরিগানেসিয়ান  থেকে । আবার ২০০০০ হাজার বছর আগে ঈশানগো হাড়ের তৈরি প্ত্রিকার মত বেবুনের উরুর হাড়ের সাথে মিলিত ট্যালি চিহ্ন ব্যাবহার করছে যা পাওয়া যায় গণ প্রজাতন্ত্রী কংগোর নীল নদের সাথে । ফলে দেখা যায় প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার প্রাচীন হাড়ের ও পিতলের খোদায় করা বিভিন্ন উপকরণ থেকে জানা যায় কয়েক হাজার কোটি বছর  পূর্বেই এই ধরনীতে টাকার  উৎপাদন ও প্রচলন হয়ে আসছে। 



  কিন্তু প্রথমে সরাসরি টাকা ছিল না ছিল যব  কিংবা গরু ছাগল বিনময় প্রদান । কিন্তু তাদের মাথায় প্রথম প্রচলন হয় মাটির মুদ্রা বা ছোট ছোট পাথরের টুকরা যখন কোন জিনিস বা পন্য আদান প্রদান করে। বিশেষ করে মিশরে, ব্যাবিলনে সাথে চীনের সম্রাজ্যে যত গুলো জিনিস বা পণ্য গুদাম হত সেগুলো তাড়া মাটির তৈরি বা অন্য পাথর বা ধাতব বস্তুর তৈ্রি মুদ্রা ব্যবহার করতো ।  বিভিন্ন মুদ্রা রয়েছে কি ধরনের তা দেখার জন্য এখানে যেতে পারেন । বিভিন্ন ধরনের মুদ্রা চেহারা । দ্বিতীয় ফ্রেডেরিক ক্রুসেডের সময় ১৩ তম শতাব্দীতে ইউরোপে স্বর্ণের মুদ্রার পুনঃপ্রবর্তন করা হয় । চতুর্দশ শতাব্দীতে ইউরোপ রুপার মুদ্রা থেকে সোনার মুদ্রায় রুপান্তরিত করেছিল । সোনার মুদ্রা ইতিহাস চলে যান একটি মাত্র ক্লিক করে । 




অর্থের বিবর্তনের আরো একটি অধ্যায় হলো মুদ্রা থেকে ওজনকে এককের মান হিসেবে পরিণত করে তার পণ্য মূল্য এবং বিশিষ্ট মানের মধ্যে যথেষ্ঠ পার্থক্য তৈরি করা । পৃথিবীর প্রথম মুদ্রা ইতিহাসে যে ভাবে বলে তা হল আইজিনার গ্রিক নাটক মুদ্রা প্রাচীনতম কচ্ছপের মুদ্রা যিশু খ্রীষ্টের আসার আগে ৪০৪ বছর আগে (৪০৪বিসি)  যদি দেখতে চান তাহলে ক্লিক করুন ।  

৬৫০ থেকে ৪০০ বিসি বিসি অর্থ হচ্ছে বিফর ক্রাইষ্ট যীশু খ্রীষ্টেরো জন্মের আগে ৪০০ থেকে ৬৫০ বছর আগে চীনার এ মূদ্রা ব্যবহার করত । দেখুন এই লিকঙ্কে ।  

মধ্যযুগীয় মুদ্রা  প্রথমে ৮০০ খ্রীষ্টাব্দের দিকে চার্লামেগেন নিজে পবিত্র রোমান সম্রাট হয়ে উঠার আগে ১টি ধাতব মুদ্রা বের করেন এবং মানক মুদ্রা জারি করে একাধিক সংস্কার বাস্তবাওয়ন করেন । শিলিং , পাউন্ড , স্তারলিং, সিল্ভার  ইত্যাদি মুদ্রার প্রচলন হয়  এই মধ্যযুগেই । 

প্রথম কাগজের টাকার নোটের প্রচলন 

ইতিহাস বলে চীন দেশে একাদশ শতাব্দীতে  সিং রাজবংশের সময় "জিয়াজি" নামে প্রথম কাগজের টাকা নোট চালু হয় ।  প্রথাম টাকার নোট দেখতে চাইলে এই লিঙ্কে যান ।  ভারতীয় উপমহাদেশে শেরশাহ সুরি (১৫৪০-১৫৫) রুপিয়া নামে একটি রুপোর মুদ্রা চালু করেছিলো। 

১৩২৯ খ্রীষ্টাব্দে দিল্লি সুলতানী সম্রাট মুহম্মদ বিন তুঘলকের সময় আর্থিক সংস্কারের মাধ্যমে রাজকীয় টাকার আনুষ্ঠানিকতায় শুরু করেন। এর মানটি রাজকীয় কোষাগারে স্বর্ন ও রৌপ্য হিসেবে মজুতের সাথে বিনিময় হয়েছিল । 

টালিজ নামে কাঠের টুকরো একসময় মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল ।এতা মুলত দ্বাদশ শতাব্দিতে প্রচলন হয় । 

প্রথম ইউরোপীয় টাকার নোট ১০০ মার্কিন ডলার নোট  ১৬৬১ খ্রীষ্টাব্দে সুইডেনের কেন্দ্রিয় ব্যাঙ্ক সেরেজেজ রিক্সব্যঙ্কের পুর্বসূরী স্টকহোম ব্যাঙ্কো জারি করেছিলেন । ১০০ মার্কিন ডলার নোট । ১৪৫০ থেকে ১৯৭১ । 

বর্তমান ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ঘোষণা দেন আমেরিকান মার্কিন ডলার সরাসরি সোনায় রুপান্তরিত হবেনা । 

ডিজিটাল মুদ্রা 

বিংশ শতাব্দীর ২য় ভাগে কম্পিউটার এর উত্থানের পর ডিজিটাল মুদ্রার প্রচলন হয় । যা বর্তমানে অনেক বেশী ব্যাবহৃত হচ্ছে । ২০০০ দশকে মধ্যে সর্বাধিক অর্থ ব্যাংক ডাটাবেজ ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে চালু আছে । 

ক্রিপ্টোকারেন্সী 

২০০৮ খ্রীষ্টাব্দে অজানা লেখক সাতোসী নাকামাটো ছদ্মনামে বিটকয়েন এর প্রস্তাব করেছিল । ফলে ঐ বছরে তা কার্যকর করা হয়েছিল । এর ক্রিপ্টগ্রাফী ব্যবহারের ফলে মুদ্রাটিকে একটি বিশ্বাসহীন, টেম্পার প্রতিরোধী বিতরনকারী খাতকে ব্লকচেইন বলে অনুমতি দেয় ।  

বিস্তারিত এখানে যান । 

ভবিষ্যতের টাকা বলতে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে এখন অনেক উন্নত দেশ বেছে নিচ্ছে । এর কারণ সব কিছুই যখন ডিজিটালী চলছে একটি মাত্র ক্ষুদ্র যন্ত্র সবাইকে এখন নিয়ন্ত্রন করছে সাথে সোসাল মিডিয়া বিশেষ করে ফেসবুক, টুইটার, ইন্সাগ্রাম, লিঙ্কদিন সাথে উইটিউব । আর কাগজের টাকা বা নোট তো এখন নিম্ন আয়ের শ্রেণীরা ব্যবহার করেছে । বলার কারণ এখন উন্নত বিশ্বে সবাই ডিজিটালী লেনদেন করছে । বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশ চেষ্টা করেছে তার উদাহরণ বিকাশ, নগদ, ডাচ বাংলা ব্যাঙ্ক মোবাইল ব্যাঙ্কিং ইত্যাদি চোখে পড়ছে । কিন্তু বিভিন্ন উন্নত বিশ্বে কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যাপক হারে প্রচলন হচ্ছে । তবে এর ব্যবহার বেশী দেখা যায় ক্যাসিনো খেলায় । এছাড়াও বিভিন্ন স্টাক একচেঞ্জ লেনদেন এর ক্ষেত্রে প্রচুর ব্যাহার করছে এবং হচ্ছেও এই ক্রিপ্টোকারেন্সী । কিন্তু এই ক্রিপ্টোকারন্সীকে নিয়ন্ত্রন করতে পারছেনা বিশ্বের রাঘব বোয়ালরাও তাই লাগাম বা নিয়ন্ত্রিত কোন আইন প্রণয়ন হচ্ছে না । বাংলাদেশের মত ক্ষুদ্র দেশে একসময় বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক ক্রিপ্টোকারেন্সী লেনদেন অনুমতি দিয়েছিল কিন্তু এখন একদম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ এই ক্রিপ্টোকারেন্সী । অন্য দিকে ভারত পাকিস্তান এমনকি মিয়ানমারেও এর অনুমতি দিয়েছে সেখানাকার রষ্ট্রপ্রধান । আমেরিকা ইউরোপ জার্মানীর মত উন্নত দেশে দেদাড়শে ব্যাঙ্কে লেনদেন হচ্ছে এই ক্রিপ্টোকারেন্সী । তাই অর্থ গবেষকরা ভবিষ্যত বানী উচ্চারণ করেছেন টাকা অদূর ভবিষ্যতে আর থাকবেনা । 



Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post