Proteinurea & Post Transplant Proteinurea / Chronic Kidney Disease(CKD)🔹️🔷️
(একটু দীর্ঘ,ধৈর্যসহ পড়ার অনুরোধ রইলো) `
🔹️ এটা অনেক বিশদ একটা টপিকস যা জটিল এঁবং অনেকটা অমীমাংসিত মনে হয়। সুস্থ কিডনি সাধারণত ইউরিনের মাধ্যমে খুব অল্প কিছু প্রোটিন বাহির করে স্বাভাবিক নিয়মে কিন্তু এটা যখন মাত্রাতিরিক্ত বের হয় তখন একে proteinurea বলে। সুস্থ কিডনীর মধ্যে যে গ্লোমেরুল বা ছাকনি আছে তা শরীর থেকে প্রোটিন বের হতে দেয় না কিন্তু এই ছাকনিগুলো যখন খুব অল্প কিছু বা অল্প বা অল্প এর চেয়ে বেশি বা বেশি damage হয় বা সংক্রমিত হয় তখন কিডনি সেই অনুসারে প্রোটিন লিক করা শুরু করে তাই protinurea কে কিডনি রোগের চিহ্ন হিসেবে ধরা হয়। এই গ্লুমেরুল গুলো যখন ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকে কিডনি রোগের কারনে,তখন কিডনি Damage এর পাঁচটি স্তর আছে ঐ স্তর অনুসারে কিডনি রোগ অগ্রসর হতে থাকে এবং পাঁচ নম্বর স্টেজ এ যাওয়ার পর আপনাকে সুস্থ থাকার জন্য ট্রান্সপ্লান্ট বা ডায়ালিসিস ছাড়া কোনো বিকল্প পথ থাকে না।
READ MORE : কিডনি পাথর থেকে বাঁচতে চাইলে এড়িয়ে চলুন
💢 Chronic Kidney Disease(CKD) 💢 :- Protinurea যখন দীর্ঘদিন বা বেশ কয়েকমাস বেশি মাত্রায় যেতে থাকে, এর সাথে রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর পরিমান ধীরে বা ধীরে ধীরে বা খুব ধীরে ধীরে দীর্ঘ সময় ধরে বাড়তে থাকে তখন একে সাধারণত Chronic Kidney Disease(CKD) বা দীর্ঘমেয়াদি kidney রোগ বলে। মনে রাখবেন ক্রনিক শব্দের অর্থ হচ্ছে-দুরারোগ্য,দীর্ঘস্থায়ী ইত্যাদি। এখনো পৃথিবীর বড়ো বড়ো নেফ্রোলজিস্টরা গবেষণা চালাচ্ছে কিন্তু ক্রনিক কিডনী রোগে কোনো স্থায়ী সমাধান ঐ ভাবে নেই বললেই চলে বা সমাধান দিতে পারে নাই তাদের টার্গেট কিভাবে ক্রনিক রোগকে যতটুকু স্লো করা যায় আর যত দেরিতে সম্ভব ট্রান্সপ্লান্ট বা ডায়ালাইসিস স্টেজ এ নেওয়া যায়।হ্যা,তবে আর্লি ডায়াগনসিস হলে এবং লাইফস্টাইল মেইনটেইন করে অনেকদিন সুস্থ থাকা যায় যা সাধারণ মানুষের গড় আয়ুর সমান বা কিছু কম বেশি হয়. ঘাবড়াবেন না পৃথিবীতে হাজারো ক্রনিক রোগ আছে,এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে চলতে হবে।
READ MORE: প্রস্রাবে ফেনা হতে পারে ভয়ানক কোনো রোগের লক্ষণ!
এরকম না যে ক্রনিক কিডনী রোগে proteinurea শুরু হলো আজকে আর কালকেই আপনার কিডনী সম্পূর্ণ শেষ শেষ,এটা অনেক সময় বছরের পর বছর যেমন ৫,১০,২০,৩০,৪০ বছর পর্যন্তও অনেক সময় শেষ স্টেজ এ পৌঁছতে সময় নেয় বা নিতে পারে।
**একটা কথা মনে রাখবেন,ক্রনিক কিডনী রোগ হলে যতটুকু পারবেন নিজের সাধ্য মতো প্রতিরোধ করার চেষ্টা করবেন,এটা নিয়ে হায় হতাশা করার কিছু নাই আর করেও ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ নাই কারণ যে কোনো ধরণের স্ট্রেস ব্লাডপ্রেশার এবং কিডনি রোগকে আরো ক্ষতিগ্রস্থ করে.
🚩 Proteinurea এর কারণ - খুব কমন কারণ হচ্ছে ব্লাড প্রেসার/Blood pressure এবং ডায়াবেটিস/Diabetes বা বহুমূত্র পরের কারণগুলোর মধ্যে আছে ইমিউন সিস্টেম ডিসঅর্ডার/Autoimmune disorder যেমন - IGA nephritis , Lupus,membranous nephropathy ইত্যাদি ,ইনফেকশন,টক্সিক হলেও মাঝে মাঝে অল্প কিছু প্রোটিন যেতে পারে।খুব কঠিন এক্সারসাইজ করলেও কিছু প্রোটিন লিক হতে পারে,এছাড়াও Fsgs,Amyloidosis ইত্যাদি ইত্যাদি
READ MORE : What is Kidney কিডনী রোগের লক্ষণ কি কি এবং কিভাবে বুঝবো আমি কিডনি রুগী
🚩Transplant এর পর proteinurea এর কারণ -
১।আপনার নিজের পুরানো কিডনি প্রোটিন লিক করতে পারে এবং সাধারণত এটা ৫০০ mg/dl বা .৫০ এর ভিতরে থাকে তাই এখানে কম চিন্তা করা উচিত তারপরেও প্রোটিন কম যাওয়াটাই সবচেয়ে ভালো এর জন্য ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলজিস্ট এর শরণাপন্ন হওয়া উচিত,এর থেকে বেশি যাওয়া শুরু করলে ডাক্তার আস্তে আস্তে ইউরিনে প্রোটিন যাওয়ার ওষুধ শুরু করতে পারে আবার তার আগেও শুরু করতে পারে,এই জিনিসগুলো নেফ্রোলজিস্ট থেকে নেফ্রোলজিস্ট এর সিদ্ধান্ত ভিন্ন হতে পারে.আবার অনেক সময় আপনার আসল রোগ যেটার কারণে নিজস্ব কিডনি ড্যামেজ হয়েছিল সেটার ধরণ খারাপ হলে প্রথম থেকেও শুরু করে দিতে পারে.
২। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে না থাকলে
৩। ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে
৪। ক্রনিক Allograft Nephropathy,যা আবার ckd তে রূপান্তরিত হয় । আবার পুরানো রোগ ফিরে এসে নতুন কিডনি জেঁকে বসলে যেমন : অটো ইমুন ডিসর্ডার যেমন IGA,Lupus ইত্যাদি recurrence বা আবার নতুন ট্রান্সপ্লান্ট কিডনি তে ফিরে আসলে।
৫। ওজন অনেক বেড়ে গেলে।
৬। Rejection হলে বা Rejection কন্ট্রোল না করতে পারলে বা দেরি হলে।
৭। ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হলে।
৮। পানি কম খেলে বা বেশি dehydrate থাকলে।
৯। ট্যাক্রোলিমাস(Tacrolimus) লেভেল কমে বা বেড়ে গেলে বা ঠিকমতো এডজাস্ট না হলে বা অন্নান্ন ইম্মুনোসাপ্রেসিভ ওষুধ এডজাস্ট না হলে।
ইত্যাদি ইত্যাদি
READ MORE : কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট/ প্রতিস্থাপন আদ্যোপান্ত পর্ব ০৪
Proteinurea আইডেন্টিফিকেশন টেস্ট-
🔷️ প্রোটিন/এলবুমিন urine এ যাচ্ছে কিনা তার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য টেস্ট এর নাম হচ্ছে :-
১। ২৪ ঘন্টা টোটাল protein in urine(UTP) যা ২৪ ঘন্টা ধরে একটি জারে urine কালেক্ট করে পরীক্ষা করতে দেওয়া হয় তারপর সেই জার থেকে ইউরিন স্যাম্পল নিয়ে টেস্ট করে প্যাথলজিস্ট দেখে একদিনে কি পরিমান প্রোটিন যাচ্ছে,এটি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ইউরিনের প্রোটিন লেভেল টেস্ট এর পরীক্ষা.
২। Acr (albumin creatinine ratio)/ Pcr(protein creatinine ratio)এটা দিয়েও মাইক্রোএলবুমিন বোঝা যায়.
৩। Urine rme ,এটা দিয়েও বোঝা যায় তবে উপরের তিনটা বেশি ভালো এবং এক নম্বর অর্থাৎ 24 আওয়ার্স utp সবচেয়ে ভালো এবং এটাকে গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড টেস্ট ধরা হয়। আর মনে রাখবেন Urine Rme(routine) দিয়ে puscell,epithelial সেল,red blood cell যাচ্ছে কিনা অর্থাৎ ইনফেকশন আছে কিনা Urine এ preliminary এগুলা বোঝা যায় তবে particularly প্রোটিন আইডেন্টিফিকেশন এর জন্য উপরের তিনটা বেশি ভালো.
৪l বায়োপসি বা কিডনি থেকে টিস্যু কালেক্ট করে টেস্ট .
🔴 proteinurea এর চিকিৎসা-
Proteinurea যখন সীমার বেশি বাহিরে থাকে তখন Kidney ডাক্তার চিন্তা করতে থাকে কি কারণে এটা হচ্ছে আর তা উদ্ঘাটনের জন্য 🔥🔥বায়োপসি বা কিডনি থেকে মাংস নিয়ে টেস্ট করা ছাড়া আর উপায় থাকেনা এবং এটাই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বা একমাত্র নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি রোগের কারণ নিরুপনের জন্য,Biopsy টেস্ট করে বোঝে কি রোগ এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে।**তবে Creatinine বেড়ে গেলে বা Ultrasound এ যদি দেখে কিডনির সাইজ ছোট হয়ে গেছে বা বায়োপসি করলে রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বা হতে পারে, তাহলে বায়োপসি নাও করতে পারে.🔥🔥
ক্রনিক কিডনি রোগে Proteinurea এর চিকিৎসা এবং ট্রান্সপ্লান্ট এর পর Proteinurea এর চিকিৎসা সাধারণত প্রায় একই(যদিও কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকে).পোস্টট্রান্সপ্লান্ট এর পর Proteinurea সাধারণত 1000mg ডেইলি urine দিয়ে পাস হলে ডাক্তার Biopsy এর সিদ্ধান্তের দিকে আগাতে থাকে।এগুলো আসলে Conclusive কিছু না এর চেয়ে কম থাকলেও বা বেশি Protein পাস হলেও বায়োপসি করতে পারে,এগুলো সাধারণত ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলজিস্ট এর এক্সপেরিয়েন্স এবং প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে এবং নেফ্রোলজিস্ট To নেফ্রোলজিস্ট এর সিদ্ধান্ত Vary করে।
🍄 ১। Ace / Arb গ্রুপ এর ওষুধ- এগুলো ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণের ওষুধ যেমন -Losartan,Valsartan,Irbesartan,Telmisartan,Ramipril ,Lisinopril ইত্যাদি কিন্তু এগুলো প্রেসার নিয়ন্ত্রণের সাথে সাথে urine এ প্রোটিন ও কমায় তাই এগুলো প্রোটিন কমানোর জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় ওষুধ,আর কিডনি রোগীদের ব্লাড প্রেসার কমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই এই গ্রুপ এর ওষুধ দিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যায়।তবে ডাক্তার রা এই ওষুধ দেওয়ার পর পটাসিয়াম সবসমই নজরদারিতে রাখে কারণ এই ওষুধ গুলো Potassium লেভেল রক্তে বাড়ায়,একই সাথে কিছুটা creatinine বাড়ায় তাই later স্টেজ এ ওষুধ গুলো দিতে চাননা। পোস্ট ট্রান্সপ্লান্ট এও ওষুধগুলো ব্যবহার করে.
🍄 ২। Steroid স্টেরইড থেরাপি/Immunosuppressive Medicine - Proteinurea তে স্টেরইড থেরাপি ও ব্যবহার করে,প্রথমে বেশি dosage এ চালু করে আবার বেশ কিছুদিন চালানোর পর আস্তে আস্তে কমায় বা ট্যাপার করে। আবার অনেক সময় রেখেও দিতে পারে অল্প dosage এ। অনেককে এর সাথে Mycophenolate বা Tacrolimus এর কম্বিনেশন দিয়েও দেখে বা আলাদা আলাদাভাবেও দিতে পারে ।
🍄 ৩। ওজন স্ট্রীক্টলী নিয়ন্ত্রণে রাখা
🍄 ৪। Lifestyle রুটিন এর মধ্যে চলা,Dietician এর মাধ্যমে আপনার অবস্থা বুঝে সেই অনুযায়ি খাদ্য তালিকা করে খাবার ওই ভাবে মেইনটেইন করা। ক্রনিক কিডনি রোগে প্রোটিন জাতীয় খাবার সাধারণত ৪০ mg থেকে ৮০ mg অর্থাৎ ম্যাচের বক্স এর সমান সাইজ বা কম বেশি হতে পারে নির্ধারণ করা হয় যাতে কিডনির উপর চাপ কম পরে.তাই ৪০ থেকে ৮০ গ্রাম প্রোটিন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ যা ইউরিনে প্রোটিন কম রাখতে সাহায্য করে *আবার প্রোটিন একেবারেও বন্ধ করা উচিত নয় যা ভুল,মনে রাখা উচিত প্রোটিন শরীরের ইনফেকশন থেকে শুরু করে শক্তিতে সাহায্য করে তাই নুন্যতম প্রোটিন খাওয়া জরুরি.●■খাবারে লবণের পরিমান একেবারে কমিয়ে দিবেন বা বন্ধ করুন এবং ভাতের সাথে এক্সট্রা বা টোকা লবন খাওয়া উচিত না,মুখে নোনতা অনুভূত হয় এরকম সব খাবার যেমন প্যাকেট চিপস,চানাচুর,নোনতা বিস্কুট ইত্যাদির কথা ভুলে যান কারণ লবন ব্লাডপ্রেশার এবং ইউরিনে প্রোটিন এর মাত্রা বাড়ায়.●■
🍄 ৫। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা।
🍄 ৬। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখা।
🍄 ৭। পোস্টট্রান্সপ্লান্ট এ এন্টিবডি রেজেকশন হলে তা কন্ট্রোল করা ।
🍄 ৮ | রক্তে চর্বি/লিপিড নিয়ন্ত্রণে রাখা,এটার জন্যও প্রোটিন অল্প কিছু লিক করতে পারে,লিপিড কমানোর ওষুধ কিডনি রোগের অগ্রসরতা কমায় তাই এটা অবশ্যই কম থাকতে হবে বা লিপিড কমানোর ওষুধ যেমন Atarovastatin বা Rosuvastatin (এটা অপেক্ষাকৃত নতুন) ডাক্তার এর পরামর্শে খেতে পারেন।
🔶 ️লিপিড সম্পর্কে আরো বিস্তারিত পাবেন এই লিংকে শুধু লিঙ্কে ক্লিক করুন
🍄 ৯। ফিশ অয়েল(Fish oil/OMEGA 3) এবং vitamin E :- কিছু রিসার্চ বলে সামুদ্রিক মাছের তেল যাতে ওমেগা থ্রী থাকে তা Inflammation কমিয়ে ইউরিনে প্রোটিন কমাতে সাহায্য করে বা তাই বাজারে ওমেগা 3 suppliment পাওয়া তা ডাক্তারের পরামর্শে ভালো কোম্পানির কিনে খেতে পারেন মনে রাখবেন সস্তা কোম্পানির গুলা ভালো হয় না.ভিটামিন E ও কমায় কিন্তু কনক্লুসিভ ভাবে না এগুলো ওষুধের পাশাপাশি সহায়ক হিসেবে কাজ করে.
☢ Proteinurea কে না ভয় পেয়ে তা কন্ট্রোল বা প্রতিরোধ করা।আর ফ্যামিলি হিস্ট্রি যাদের কিডনি রোগ আছে তাদের পরিবার কে চেকআপ করা বছরে একবার।
🍄⚡🍄Post transplant protinurea :- Transplant এর পর protinurea হলে বা রেঞ্জের বাহিরে চলে গেলে উপরের ক্রনিক কিডনি রোগে প্রোটিন যাওয়ার যে ওষুধগুলো ব্যবহার হতো যেমন Ace inhibitor / Arb গ্রুপ এর ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণের ওষুধ যেমন -Losartan,Valsartan,Irbesartan,Telmisartan,Ramipril ,Lisinopril ইত্যাদি শুরু করতে পারে আপনার ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলজিস্ট. ট্রান্সপ্লান্ট এর পর সাধারণত অল্পমাত্রায় স্টেরইড চলে,অনেক ডাক্তার অল্প কিছু Dosage বাড়াতেও দেখা যায়।আবার অন্য ইম্মুনোসাপ্রেসিভ ড্র্যাগগুলো যেমন Mycophenolate ,Tacrolimus এগুলো সাধারণত ট্রান্সপ্লান্ট এর পর চলেই সেগুলো রিজেকশন কন্ট্রোল করে আবার প্রোটিন কমাতেও ভূমিকা আছে.
এছাড়াও অত্যাধিক পরিমান প্রোটিন যাওয়া শুরু করলে Transplant Nephrologist পোস্ট ট্রান্সপ্লান্ট এর ক্ষেত্রে বায়োপসির সিদ্ধান্তেও যেতে পারে ভালোমতো নিরুপনের জন্য যাতে কোনো ধরণের এন্টিবডি রিজেকশন বা পুরানো রোগ যার কারণে নিজের মূল কিডনি নষ্ট হয়েছিল তা ফিরে আসলো কিনা এবং সে অনুযায়ি ব্যবস্থা নিতে পারে রিজেকশন প্রটেকশন এর জন্য.আসলে ক্রিয়েটিনিন বাড়া বা ইউরিনে অত্যাধিক প্রোটিন যাওয়া রিজেকশনের সিম্পটম হতে পারে যা একটার সাথে আরেক ওতপ্রোতভাবে জড়িত.আবার পুরানো রোগ ফিরে ট্রান্সপ্লান্ট কিডনিতে আক্রমণ করে ক্রনিক কিডনি রোগে রূপান্তরিত করলে তখন আবার সেই ক্রনিক কিডনি রোগের বিভিন্ন ধরণের যে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান সেগুলোতেও ফিরে যেতে পারে যা উপরে আলোচনা করা আছে.
🪴রিজেকশন সাধারণত তিন ধরণের-🪴
🚩🚩রিজেকশনের এই পার্ট আপনি আমার লেখা ট্রান্সপ্লান্ট এর আদ্যোপান্ততেও পাবেন :-
https://m.facebook.com/groups/694761940670179/permalink/1867385496741145/
১,Hyperaccute Rejection - এই ধরণের রিজেকশন প্রতিস্থাপনের কিছু সময় বা কিছু মিনিট এর মধ্যেই হয়ে থাকে।যখন antigen পুরোপুরি ম্যাচ না হয় তখন এই rejection হয়ে থাকে।
২।Accute Rejection-এই ধরণের Rejection সাধারণত অপারেশন এর পর,প্রথম সপ্তাহ থেকে তিন মাস এর মধ্যে বা সার্জারির বেশ কিছু মাস পরেও হতে পারে বা হয়ে থাকে.
৩। Chronic Rejection-এই Rejection আস্তে আস্তে অগ্রসর হতে থাকে এবং বেশ কিছু বা অনেক বছর সময় নিতে পারে এবং ধীরে ধীরে Creatinine বাড়তে থাকে ।নিজের আসল রোগ যেমন :অটোইমিউন ডিসর্ডার,যার কারণে নিজের কিডনির ক্ষতি হয়েছিল তা আবার নতুন করে ফিরে আসলে/আক্রমণ করলে ক্রনিক rejection হয়ে থাকে,আবার ধীরে ধীরে এন্টিবডি ইফেক্ট এর জন্যও ক্রনিক রেজেকশন হতে পারে.
এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে Rejection হতে পারে যেমন -
🔸️ ব্লাড clot হলে,প্রতিস্থাপিত কিডনি রক্ত সাপ্লাই না পেলে
🔸️ ব্যাকটেরিয়াল বা ফাংগাল ইনফেকশন হলো কিন্তু ঠিকমতো চিকিৎসা নিলেন না বা গাফিলতি করলেন।
🔸️ভাইরাল ইনফেকশন - আগে থেকে অনেক রোগীর Hepatitis যেমন-Hepatitis B ,C থাকে সেটা নেগেটিভ না থাকলে বা ঠিক মতো কন্ট্রোল না থাকলে।
ট্রান্সপ্লান্ট এর পর BK , CMV দ্বারা আক্রান্ত হলেন কিন্তু সঠিক উপায়ে চিকিৎসা নিলেন না ইত্যাদি।
🔸️অনেক সময় ওষুধ এর সাইড ইফেক্ট এর কারণেও রেজেকশন আসতে পারে .
🔸️ওষুধ খেতে হেলাফেলা করা বা নির্দিষ্ট সময় মেইনটেইন না করা বা আর্থিক বা যেকোনো কারণেই হোক নির্দিষ্ট মাত্রা হতে ওষুধের ডোজ কম করে খাওয়া বা না খাওয়া.
তারপরেও রিজেকশন হলে সেটা নেফ্রোলজিস্ট নিজস্ব প্রাকটিস এবং এক্সপেরিয়েন্সেস এর মাধ্যমে biopsy করে ডিসিশন নিবেন কি ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি বেছে নিবেন,একেক ট্রান্সপ্লান্ট রোগীর ক্ষেত্রে একেক ধরণের তাই decision ও ভিন্ন যেমন-
//////Methyl Prednisolone Steroid থেরাপি যেটা খুব কমন.
/////এন্টিবডি রিমুভাল /Neutralization :প্লাসমফেরেসিস ,Intravenous ইমিউনোগ্লোব্যুলিন.
/////Anti B-Cell থেরাপিএস : Rituximab, IVIG.
/////এন্টিপ্লাসমা সেল থেরাপি : Bortezomib.
/////Anti-T-cell থেরাপিএস : T-cell depleting agents যেমন- Antithymocyte globulin (ATG).
/////টার্মিনাল -কমপ্লিমেন্ট Pathway ইনহিবিটর : Eculizumab
(রিজেকশনের এই পার্ট আপনি আমার লেখা ট্রান্সপ্লান্ট এর আদ্যোপান্ততেও পাবেন)
এগুলো আসলে Ultimately ট্রান্সপ্লান্ট নেফ্রোলজিস্ট এর ডিসিশন এবং এক্সপেরিয়েন্স এর উপর ডিপেন্ড করে।
💥Proteinurea নিয়ে লিংক এর লেখাতে যে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান গুলো উল্লেখ আছে সেই ট্রিটমেন্ট প্ল্যান গুলো proteinurea কমায় তবে একেবারে বন্ধ নাও হতে পারে তাই লেখার শুরুতে বলা আছে অমীমাংসিত এবং জটিল যা ক্রনিক কিডনি রোগের মূল সমস্যা.ডাক্তাররা এই ট্রিটমেন্ট প্ল্যান থেকে ওষুধ পছন্দ করে আপনাকে proteinurea কমিয়ে ক্রনিক কিডনি রোগকে স্লো বা ধীর করতে পারে যাতে ভবিষ্যতে অনেক সময় লাগে শেষ স্টেজ এ কিডনি রোগ পৌঁছতে .অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই ওষুধগুলো Proteinurea কমায় কিন্তু সেটা ক্রনিক হলে Proteinurea রেঞ্জ এ আসে না খুব রেয়ার কেস ছাড়া.আবার একটা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান না কাজ করলে অনেকসময় আরেক গ্রুপ এর ওষুধ দিয়ে দেখে আরো কমে কিনা বা কম্বিনেশন দিতে পারে যা নেফ্রোলজিস্ট এর কাজ এবং সময়সাপেক্ষ ,তাই ক্রনিক কিডনি রোগী/Proteinurea এর রোগী সবসময় নেফ্রোলজিস্ট এর তীক্ষ্ণ নজরদারিতে থাকতে হয় বা থাকা উচিত .
Post a Comment
Please do not link comment any spam or drive spams content