ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কীভাবে কমাবেন 

রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে তাকে হাইপারইউরিসেমিয়া বলা হয়। পায়ের আঙুলে ব্যথা, গোড়ালিতে কিংবা গেঁটে বাতসহ নানা অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে তীব্র যন্ত্রণা—এই সব শারীরিক অসুবিধার নেপথ্যে থাকে ইউরিক অ্যাসিড। তবে শরীরের গিরায় গিরায় ব্যথা, সারা শরীর ব্যথা বা কামড়ানো ইত্যাদি কিন্তু ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার লক্ষণ নয়।



ইউরিক অ্যাসিড হওয়া মানেই অনেক ধরনের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ তৈরি হয়ে যায়। পালংশাক, টমেটো, মুসুর ডাল, খেসারির ডাল, খাসির মাংস, টমেটো কেচআপ, ঠাণ্ডা পানীয়, চকলেট, চিপস, বিস্কুট ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া একেবারেই চলবে না। এইগুলো খাওয়ার অভ্যেস থাকলে এখন থেকেই সতর্ক হোন। তবে এমন কিছু খাবার আছে যা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারলে এই রোগকে জব্দ করা যেতে পারে।

ইউরিক অ্যাসিড হওয়া মানেই অনেক ধরনের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ তৈরি হয়ে যায়

আরো পড়ুনঃ রোজ নিয়ম করে এক গ্লাস! ক্যানসার থেকে রক্তচাপের সমস্য, একাধিক রোগ দূরে থাকবে

গ্রিন টি: শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে সাধারণ চায়ের পরিবর্তে গ্রিন টি খেতে পারেন। এই চায়ে ক্যাটেচিন নামক যৌগ থাকে যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায়্য করে।

ফাইবারজাতীয় খাবার: ডায়েটে ফাইবারযুক্ত খাবার রাখলে এই রোগে প্রকোপ কমবে। এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে খাদ্যতালিকায় ওটস, গোটা শস্য, ব্রকলি, কুমড়ার মতো সবজি রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। ফাইবার রক্তের ইউরিক অ্যাসিড শোষণ করে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। 

আরো পড়ুনঃ কোলেস্টেরল বাড়ায় হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি! সাবধান হন, এই ৫টা খাবার কোলেস্টেরল কমায়

তবে শরীরের গিরায় গিরায় ব্যথা, সারা শরীর ব্যথা বা কামড়ানো ইত্যাদি কিন্তু ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার লক্ষণ নয়

ভিটামিন সি যুক্ত খাবার: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে ভিটামিন সি রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। লেবু, কমলা, কাঁচা মরিচ ডায়েটে বেশি পরিমাণে রাখলে উপকার পাবেন।

ডার্ক চকলেট: এই প্রকার চকলেটে থেওব্রোমাইন থাকে। এই যৌগ রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা হ্রাস করে। চকলেট খেলেই শরীরের ক্ষতি হয়, এমনটা কিন্তু নয়।

Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post