ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজি হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শুরু হয়েছে ট্রান্সপ্ল্যান্ট। প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে একটি করে এবং পরবর্তীতে দুই বা তারও বেশি ট্রান্সপ্ল্যান্টের পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন ঃ মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন Kidney Transplant in Bangladesh

এখানে নিচে আমি   ৪ টি লিঙ্ক দিয়েছি  কিডনী প্রতিস্থাপন/ ট্রান্সপ্লান্ট  এর জন্য আশা করি  আপনাদের উপকারে আসবে । 

1.কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট /প্রতিস্থাপন আদ্যোপান্ত পর্ব ০১

2.কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট/ প্রতিস্থাপন আদ্যোপান্ত পর্ব ০২

3.কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট/ প্রতিস্থাপন আদ্যোপান্ত পর্ব ০3

4.কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট/ প্রতিস্থাপন আদ্যোপান্ত পর্ব ০৪

সংশ্লিষ্টরা জানান, কিডনি প্রতিস্থাপনের পর ডোনার এবং রোগী সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন। এছাড়া ক্যাডাভার ডোনেশন অর্থাৎ ব্রেনডেড রোগীর কিডনি দান নিয়ে মানুষের অনীহা দূর করতে পারলে প্রতিস্থাপনে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

আরো পড়ুন ঃ রোগমুক্ত থাকতে চান? নিয়মিত খেতে হবে ১০টি খনিজ পুষ্টি

জানতে চাইলে কিডনি ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজি হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মিজানুর রহমান মেডিভয়েসকে বলেন, ‘কিডনি ডিজিজ হাসপাতালে ট্রান্সপ্ল্যান্ট শুরু হয়েছে এবং এটা হচ্ছে বিনা পয়সায়। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে যতগুলো ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়েছে, তার জন্য কোনো রোগীর কোনো খরচ লাগেনি। সম্পূর্ণ খরচ হাসপাতাল বহন করে। এক্ষেত্রে হাসপাতালে তহবিল না থাকলে চিকিৎসকরা নিজেদের পকেটের পয়সা খরচ করে রোগীদের কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনে এগিয়ে আসেন। আমরা ট্রান্সপ্ল্যান্ট রোগীদের কোনো ওষুধ কিনতে দিচ্ছি না। সব ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে। এই তহবিল কিছুটা সরকারি, বাকিটা নিজেদের উদ্যোগে ব্যবস্থা করি।’

আরো পড়ুন :কিডনি পাথর থেকে বাঁচতে চাইলে এড়িয়ে চলুন

কবে থেকে শুরু এবং এ পর্যন্ত কতজন রোগীর ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়েছে—তা জানাতে অসম্মতি প্রকাশ করেন কিডনি ডিজিজেস হাসপাতালের পরিচালক।

তিনি বলেন, পরিকল্পনা ছিল অনেক আগে থেকে শুরু করার, কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।

এসব সার্জারির ক্ষেত্রে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে খরচের পার্থক্য তুলে ধরে অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে চার লাখেরও বেশি টাকা খরচ হলেও এখানে তা হচ্ছে নামমাত্র মূল্যে।

আরো পড়ুন :What is Kidney কিডনী রোগের লক্ষণ কি কি এবং কিভাবে বুঝবো আমি কিডনি রুগী

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে একটি করে ট্রান্সপ্ল্যান্ট হবে। পরে এ সংখ্যা বাড়বে।

কিডনি ডিজিজেস হাসপাতালের পরিচালক আরও বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক পরিকল্পনা হলো, সপ্তাহে একটি করে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা এবং পরবর্তীতে দুই বা তার চেয়ে বেশি করা। কিডনি হাসপাতাল ৫০০ শয্যায় উন্নীত করার অনুমোদন পেয়েছি আমরা। আমাদের আইসোলেটেড ট্রান্সপ্ল্যান্ট ইউনিট হলে সপ্তাহে দুই বা দুইয়ের অধিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা সম্ভব হবে।’

এ সময় ক্যাডাভার ডোনেশনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যেসব রোগীর ব্রেনডেড, অর্থাৎ দুর্ঘটনা বা অন্য কোনোভাবে অসুস্থ হয়ে তারা যখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকে, তখন তাদেরকে ব্রেনডেড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এসব রোগীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এ রকম রোগীর স্বজনেরা যদি অনুমতি দেন, তাহলে আমরা ওই রোগীর কিডনি একজন অসুস্থ রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করে দিই। এটাই ক্যাডাভার ডোনেশন।’

আরো পড়ুন :প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যানসার নির্ণয়ের উপায়

এ প্রক্রিয়ায় কিডনি ডোনেশনের বিষয়ে আইন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এটি চালু করার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমাদের দেশে যেহেতু ধর্মীয় একটি প্রভাব আছে, সেহেতু অনেক মানুষ এ প্রক্রিয়ায় কিডনি ডোনেশনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন না। আত্মীয়-স্বজনরা এখানে দ্বিমত পোষণ করেন। তারা ভাবেন, একজন মানুষ চলে গেছেন, তার কাছ থেকে কেন একটি অঙ্গ বিচ্ছিন্ন করে আরেকজনের দেহে দেওয়া হবে? অনেক সময় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান, আমরা যদি তাদের থেকে কিডনি বা অন্যান্য অঙ্গ আনতে চাই, তখন তারা বলেন, আমাদের স্বজনের দেহ কাটাছেঁড়া করবেন না। তারা অনেক সময় চিকিৎসকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। এ মানসিকতা দূর করতে প্রয়োজনে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

আরো পড়ুন :প্রতিদিনের যে ৬টি খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় সবচেয়ে বেশি

তিনি আরও বলেন, ‘মনে রাখতে হবে—যিনি মারা গেছেন, তিনি চিরদিনের জন্য বিদায় হয়ে গেছেন। কিন্তু মৃত্যুর পরেও তিনি বেঁচে থাকতে পারবেন, তাঁর একটি কিডনি যদি আরেকজনের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। এই দুটি কিডনির মাধ্যমে আরও দু'জন মানুষ দুনিয়ার আলো-বাতাস দেখার সুযোগ পাবেন। সুতরাং অন্য ব্যক্তিকে কিডনি দেওয়ার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে মৃত ব্যক্তিরই দুনিয়ায় বেঁচে থাকা হলো। কারণ তার দুটি কিডনি দুইজন রোগীকে নতুনভাবে বাঁচিয়ে রাখার ব্যাপারে ভূমিকা রাখে।’

আরো পড়ুন :ব্রেস্ট ক্যান্সারের অন্যতম কারণ ?

ইতিবাচক এই কথাগুলো যদি গণমাধ্যম রোগীর স্বজনদের কাছে উপস্থাপন করতে পারে, তাহলে তারা এই প্রক্রিয়ায় কিডনি প্রতিস্থাপনে আগ্রহী হবেন। এর ফলে অনেক জটিল এবং গুরুতর রোগী আরও কিছু দিন বেঁচে থাকার সুযোগ পাবেন। মানুষের ভুলগুলো দূর করতে পারলে কিডনি প্রতিস্থাপনে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

আরো পড়ুন :দুর্বলতা বোধ হলেই ভিটামিন খেলে কি কি ক্ষতি বা রোগ হয় জেনে নিন

অধ্যাপক ডা. মো. মিজানুর রহমান  বিনামূল্যে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট  কিডনি ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজি হাসপাতাল

Clue মিডীয়াবিডি 



Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post