Coronavirus : বুস্টার ডোজ নিলেও ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে ভাইরাস, জানুন কাদের বিপদের আশঙ্কা বেশি

অবহেলা না করে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকারঅবহেলা না করে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার



Corona Virus: সমাজের কিছু নির্দিষ্ট মানুষের অন্যদের তুলনায় ভাইরাল আক্রমণের বেশি ঝুঁকি থাকে। তাই তাঁদের উপর মারণ ভাইরাসটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।

কোভিড টিকা এবং বুস্টার ডোজের কর্মসূচী সমগ্র দেশে ব্যাপকভাবে চলছে । ২৪ জুন পর্যন্ত রিপোর্ট অনুসারে 261,364,230 কোটি  কোভিড-১৯ টিকা নিয়েছেন । এছাড়াও  শিশুদেরকেও  ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দিয়ে দেওয়া হয়েছে । এদিকে সম্প্রতি নতুন করে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২২ হাজার ৬৬০ জন কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ।

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৪৬২ জন

 তাই অবহেলা না করে এখনও যে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার তা বলাই বাহুল্য । তবে সমাজের কিছু নির্দিষ্ট মানুষের অন্যদের তুলনায় ভাইরাল আক্রমণের বেশি ঝুঁকি থাকে । তাই তাঁদের উপর মারণ ভাইরাসটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে । এই ধরনের মানুষদের সনাক্ত করা এবং যে কোনও সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে দূরত্ব বজায় রাখাও গুরুত্বপূর্ণ ।

বয়স্করা নিরাপদ নন:

অন্যদের তুলনায় বয়স্কদের শরীরে সংক্রমণের জটিলতা বেশি হয়। এমনকী প্রাথমিকভাবে যখন করোনা সকলের কাছে অজানা ছিল সেই লকডাউনের সময়েও বয়স্কদের সুস্থতাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষত্রে বয়স্কদের গুরুতর অসুস্থতায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণত ৫০ বছরের পর থেকেই অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও বয়স্কদের প্রথম অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। ভারতে বুস্টার শট কর্মসূচীও প্রথম প্রবীণদের জন্য চালু করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন :  ওষুধ খেয়েও কমছে না উচ্চ রক্তচাপ? এই জিনিসগুলো মেনে চলুন, ম্যাজিকের মতো কাজ হবে

শিশুদেরও দরকার বাড়তি সতর্কতা:

প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের যে কোনও সংক্রমণ বেশি হতে দেখা যায়। শিশুদের শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই তাদের রক্ষা করে এসেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আবার কারও কারও মতে লকডাউন শিশুদের ভাইরাসের কবল থেকে বাঁচাতে সাহায্য করেছিল । তবে অভিভাবকেরা ভয় পেলেও শিশুদের উপরে কোভিডের প্রভাব খুব বেশি পড়েনি । সেক্ষেত্রে কোভিড নিয়ন্ত্রণ যখন শুরু হয়েছিল তখন স্কুল সবচেয়ে আগে বন্ধ করা হয়েছিল । এখনও তাদের সাবধানে রাখাটাই বাঞ্ছনীয় ।

আরও পড়ুন : চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়ায় বড় বিপদ, কী কী ক্ষতি হতে পারে? যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

আগে থেকে কোনও শারীরিক অসুস্থতা থাকলে সাবধান:

এই ধরনের মানুষদের কোভিডে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে রোগীর শরীরে আগে থেকে কো-মর্বিডিটি থাকলে কোভিডের প্রভাব বেশি হয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের তুলনায় এই ধরনের মানুষদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

আরও পড়ুন : কাশি থেকে রোগ নির্ণয় করবেন যেভাবে

যে নিয়ম এখনও না মানলেই নয়:

ভাইরাল সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এবং অন্যান্যদের সুরক্ষিত রাখতে আমাদের সঠিক কোভিড বিধি মেনে চলা উচিত। যেমন-

ফেস মাস্ক পড়তে হবে হাত পরিষ্কার রাখতে হবে মাঝে মাঝেই হাত ধুতে হবে হাত না ধুয়ে চোখ চোখ কিংবা মুখে স্পর্শ করা উচিত নয় হাঁচি এবং কাশির সময়ে মুখ ঢাকতে হবে মেলামেশার সময়ে মানুষের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে জমায়েত এড়িয়ে যেতে হবে ব্যবহৃত জিনিস যতটা সম্ভব জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে

Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post