শ্রাদ্ধকৰ্ম

 খ্রিস্টান অখ্রিস্টান গারাে উভয় দলের মধ্যেই শ্রাদ্ধের প্রথা কমবেশি প্রচলিত। তবে অখ্রিস্টান গারােরা (সাংসারেক) কোন কোন সময় মৃতদেহ সৎকারের অব্যবহিত পরেই গরু, শূকর প্রভূতি হত্যা করে ভােজসভার আয়ােজন পূর্বক শ্রাদ্ধকৰ্ম সম্পন্ন করে ফেলে যা অনেকেরই রুচিবিরুদ্ধ। কিন্তু খ্রিস্টধর্মাবলম্বী গারােরা সাধারণতঃ মৃত্যুর বছর খানেক পরে শ্রাদ্ধকৰ্ম সম্পন্ন করে থাকে। সাংসারেক (অখ্রিস্টান) এবং রােমান ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী গারােরা শ্রাদ্ধকর্মের সময় প্রচুর পরিমাণে মদেরও ব্যবস্থা করে থাকে। শ্রাদ্ধের সময় আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বান্ধব, পাড়াপ্রতিবেশী নির্বিশেষে সাহায্য সহযােগিতা করা গারােদের ঐতিহ্য এবং সেই সময়ে যে যেভাবে পারে কিছু না কিছু দ্রব্যসামগ্রী প্রদানের মাধ্যমে শ্রাদ্ধকর্তাকে সাহায্য সহযােগিতা করে থাকে । এমন কি যাদের সাহায্য করার মত কোন আর্থিক সঙ্গতি নেই তারাও শারীরিক শ্রমদানের মাধ্যমে সাহায্য সহযােগিতা করতে কোনরূপ কুণ্ঠাবােধ করেনা । শ্রাদ্ধের দিন তারিখ নির্ধারণ হওয়ার পরেই গ্রামের মহিলারা মৃত ব্যক্তির পরিবারের সাহায্যে লেগে যায়। কেউ ঘর-বাড়ি লেপে-ছোপা মাধ্যমে ঝকঝক করে তােলে, কেউ ধান ভেনে চাল প্রস্তুত করে, আবার কেউবা শুকনাে জ্বালানী কাঠের সংগ্রহে লেগে যায়। শ্রাদ্ধের দু’দিন অথবা একদিন আগে গ্রামের মহিলারা প্রচুর পরিমাণে কলাপাতা সংগ্রহ করে মজুদ করে এবং ছেলেরা বাড়ির উঠানে সামিয়ানা অথবা চালা বেঁধে ছায়ার সুব্যবস্থা করাসহ পাড়াপ্রতিবেশীর বাড়ি হতে বড় বড় কড়াই, মাটির জালা, বসার বেঞ্চ, টুল, জগ, গ্লাস, হাতা-চামচ, বােতল প্রভৃতি সংগ্রহ করে। মূল শ্রাদ্ধের আগের দিন বিকেলের দুরান্তের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও আমন্ত্রিত ব্যক্তিবর্গ শ্রাদ্ধগৃহে সমবেত হতে থাকে । ঐ দিন সন্ধ্যেবেলায় আগত লােকজন এবং পাড়াপ্রতিবেশীদের জন্যে প্রয়ােজন মত শূকর মেরে সন্ধ্যিভােজের আয়ােজন করা হয়।


গারো ভাষায় ঐ সন্ধাকে বলা হয় মিমাং দুংনাবা’ (প্রেতাত্মার অবস্থান গ্রহণ)। ঐ সন্ধ্যাতেই মত ব্যক্তির ‘খিম’ দায় দায়িত্ব সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আলাপ আলােচনার সূত্রপাত হয়। এক ব্যক্তির জিকচল (স্ত্রীপক্ষ) এবং মানক (মাতৃপক্ষ) পক্ষদ্বয়ের প্রবীণ ও সম্মানীত। যক্তিবর্গ ঐ সন্ধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ আলাপ আলােচনা চালায় এবং পরিবারের ভবিষ্যত নির্ধারণ করে। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে মদ্যপানও চলে । রাত্রে খাওয়া দাওয়ার সব পাড়াপড়শীরা নিজ নিজ বাড়ি চলে যায়, শুধু দূরাগত আত্মীয়স্বজন এবং আমন্ত্রিত ব্যক্তিবর্গ শ্রাদ্ধগৃহে রয়ে যায়। পরদিন সকালে শ্রাদ্ধগৃহ প্রকৃতপক্ষে একটি উৎসবের রূপ লাভ করে। সকাল হতেই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, স্ত্রী-পুরুষ, ছেলে-মেয়ে।

READ MORE গারো আদিবাসী কতৃক ব্যবহৃত ঔষধি উদ্ভিদ

নির্বিশেষে দলে দলে লােকজন গ্রাম গ্রামান্তর হতে আগমন শুরু করে এবং তাদের প্রায় সবাই সঙ্গে করে কিছু না কিছু সাহায্য সামগ্রী শ্রাদ্ধ বাড়ির জন্য বয়ে আনে। তাদের কেউ কেউ কিছু চাল, ডাল, মরিচ, পেঁয়াজ, আদা, পান, সুপারী প্রভৃতি আনে। পুরুষেরা মদের বড় জালা (ডিকা) বাঁশের সাহায্যে দু’জনে বয়ে আনে। অনেকে শূকরও সঙ্গে নিয়ে আসে, বিশেষ করে কারও যদি বারা গান্দা থাকে ।



বার গান্দা’ মানে লেনদেন অথবা আদান-প্রদান। কারও কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাপ্রণােদিতভাবে কোন কিছু নিয়ে যাওয়া এবং এর মাধ্যমে অনুষ্ঠান কর্তাকে সাহায্য সহযােগিতা করা গারােদের এক সামাজিক প্রথা। এই সামাজিক প্রথাকে কেন্দ্র করেই বারা গান্দার প্রচলন। এই বারা-গান্দা এমন এক সামাজিক প্রথা যা কোন প্রতিদান আশা করেন, কিন্তু যিনি অতীতে কোন না কোনভাবে এর মাধ্যমে উপকারভােগী তিনি কোন সময় উপকারী বন্ধুর উপকার কিংবা দান কোনভাবেই ভুলে যাননা।

Read More বাংলাদেশের যে কোন আদিবাসীদের ব্যবহৃত ঔষধি উদ্ভিদ সমুহ

বরং প্রথম সুযােগেই সে উপকারী বন্ধুর সাহায্যে এগিয়ে আসে এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উহা শূকর অথবা খাসী আদান-প্রদানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এই ধারাবাহিকতা যুগ যুগ ধরে চলতেও পারে। কেউ যদি জীবদ্দশায় তার বাবাবান্দা প্রতিদান করে যেতে না পারে, তবে পরবর্তীতে তার ছেলেমেয়েরা সেটি সম্পন্ন করে। কেবল শ্ৰদ্ধা কর্মেই এই বারা-গান্দার প্রথা চালু নয়, বরং যে কোন সামাজিক আয়ােজনে এর ব্যবহার প্রচলিত। তবে শ্রাদ্ধকর্মে এবং বিয়েতেই উহা অনেক বেশী প্রচলিত। কাজেই মূল শ্রাদ্ধের দিন সাহায্য সামগ্রীর স্রোত বয়ে যায় এ কথা বললেও অত্যুক্তি হবে না। মহিলারাও পিঠে ঝূড়িতে (খক) করে ছােট ছােট মদের জালা বয়ে আনে।




সে এক অপূর্ব দৃশ্য:

এভাবে দেখা যায় কোন কোন শ্রাদ্ধ বাড়িতে একশো, সােয়াশ’টি পর্যন্ত মদের জালা এবং পচিশ ত্রিশটি পর্যন্ত শূকর জমা হয়ে যায় । এদিকে সকাল হতেই রান্নাবান্নার কাজ শুরু হয়ে যায়। অত্যন্ত সুশৃংখল ও পরিপাটিরূপে মাংস কাটাকুটি ধােয়ামুছা এবং রান্নার কাজ চলতে থাকে।

Read More প্রথম বর্ষায় চোকা পাতা গারো ভাষায় সিলকিং সুস্বাদু আরেক রকম চোকাপাতার গাছ আদুরাক পাতা মধুপুরে বিলুপ্ত

প্রবীণ-প্রবিণা এবং অভ্যাগত অতিথিবৃন্দ ছাড়া কেউ-ই বসে অথবা গল্পগুজব করে সময় কটায়না। তরুণ-তরুণী, যুবক যুবতী নির্বিশেষে সবাই কোন না কোন কাজে হাত লাগায় এবং পূর্ণ সহযােগিতার মাধ্যমে রান্নাবান্না ও পরিবেশনের কাজ সুসম্পন্ন করে । রান্নার কাজে বিশেষতঃ মাংস রান্নার কাজে অভিজ্ঞ দক্ষ ও প্রৌঢ় বয়েসাদেরকেই অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়। শূকরের মাংস অথবা খাসীর মাংস দিয়ে তারা কয়েক পদের তরকারী রান্না করে এবং লবণ মরিচ মশলা প্রভৃতি পরিমাণানুযায়ী প্রয়ােগ করে অত্যন্ত সুস্বাদু ও উপাদেয় করে তুলে । সচরাচর আতপ চালের গুড়া এবং গন্ধ ভাঁদালের পাতা সহযােগে বিলাতী সােডা অথবা ক্ষারের সহায়্যে যে মাংস তরকারি প্রস্তুত করা হয় দেখতে সেটি বিশ্রী দেখা গেলেও স্বাদে কিন্তু অপূর্ব এবং যে কোন অনুষ্ঠানে উহাই বেশি আকর্ষণীয় ও সবচাইতে মজাদার ।

Read More বইটির নাম “দি স্ট্রং ওমেন অব মধুপুর” আমেরিকান মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রখ্যাত নৃবিজ্ঞাণী রবিন্স বার্লিং একটি বই লিখেছেন মান্দিদের নিয়ে ।

যারা শূকর কিংবা খাসীর মাংস আহার করেন না, তাদের জন্য মুরগী মাংসেরও ব্যবস্থা থাকে। আর যারা সম্পূর্ণরূপে নিরামিষভােজী তাদের জন্য আলাদাভাবে ডাল রান্না করা হয়। অবশ্য সচরাচর গারােদের মধ্যে নিরামিষভােজী খুব বেশি দেখা যায় না। তবুও একটা আয়ােজনের বাড়িতে সব কিছুরই ব্যবস্থা রাখা হয়। দুপুরের খানিক পরেই সমবেত লােকজনকে দলে দলে বসিয়ে আহার পরিবেশন শুরু হয়। তাহার পরিবেশনের জন্য পরিবেশনকারী দল নির্দিষ্ট করা থাকে এবং তারা অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে পরিবেশন শুরু করে। আহার পরিবেশনের বেলায় ছােট ছেলেমেয়ে ও বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের এবং দূরাগত অতিথি অভ্যাগতদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়। সাধারণত কলার পাতাতেই আহার পরিবেশন করা হয়। তবে প্রবীণ এবং আমন্ত্রিত দুরাগত সম্মানীত অতিথিদের জন্য থালার ব্যবস্থা করা হয় ।


পরিবেশনকালে প্রচুর পরিমাণে মাংসের ব্যঞ্জন সরবরাহ করা হয়, যাতে প্রতিটি আহারকারী পরিপূর্ণ তৃপ্তি সহকারে ভােজনপর্ব সমাধা করতে পারে। একটা ব্যাপার লক্ষ্যণীয় এই যে, আহার গ্রহণকালে গারােরা কোন সময় উচ্ছঙ্খল আচরণ করেনা, ভেজন পংক্তিতে বসার জন্য তাড়াহুড়াে করেনা, পরিবেশিত ভাত তরকারি নিয়ে কোন সময় অসন্তোষ প্রকাশ করেনা। এক দলের আহার শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্যদল আরেকপাশে গল্পগুজব হাসি তামাশা কিংবা মদপান করে সময় কাটায়। পরবর্তীতে তাদের সুযােগ আসার পরে তারা নীরবে ভােজন পংক্তিতে বসে এবং তৃপ্তি সহকারে আহার গ্রহণ করে। সবাইকে খাওয়ানাের পরে সব শেষে । পরিবেশনকারীর দল আহারে বসে। কোন কোন সময় দেখা যায় পরিবেশনকারী। দলের জন্য ভাত তরকারী কম পড়ে যায়। ফলে আবার রান্না করে পরিবেশনকারীদের খেতে হয়। কারণ গারােদের যে কোন সামাজিক উৎসব আয়ােজনে আমন্ত্রিত অতিথির সংখ্যা কিংবা আহারকারীর সংখ্যা কোন সময় সীমিত থাকেনা অথবা আগত কাউকে বিনা পানাহারে ফেরত যেতে দেয়া হয়না।  

Read More মৃত্যুর পর পরই সবাই বলে লাশটা/ মৃতদেহটা কোন ঘরে কখন আসবে লাশটা কেউ আর নাম ধরে ডাকেনা বিলীন হয়ে যায় অতল গহ্বরে সার্বজনীন সত্য Death is not thinkable what happen after my death

নিজেদের এই সামাজিক ঐতিহ্য রক্ষার জন্য গারোরা ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে সব সময় যত্নবান থাকে। পানাহার শেষে সন্ধের দিকে আশে-পাশের গ্রামের লােকজন চলে যায়। তাদেরকে বিদায় দেয়ার সময় শ্রাদ্ধ বাড়ীর পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে কিছু উদ্বৃত্ত ভাত এবং মাংসের তরকারী দিয়ে দেয়া হয়, যাতে তারা সেগুলাে নিজ নিজ বাড়িতে ছােট ছেলেমেয়ে অথবা অচল বৃদ্ধ - বৃ্দ্ধা যারা বাড়িতে আসতে পারেনি তাদেরকে দিতে পারে। আর যারা বারা-গান্ধা হিসেবে সঙ্গে শূকর অথবা খাসী এনেছিল, তাদের জন্যে শূকরের একটু অথবা খানিক পরিমাণে খাসীর মাংস দিয়ে দেয়া হয়। রাতে শ্রাদ্ধ বাড়িতে শুধু ঘনিষ্ঠ আত্নীয় - স্বজন এবং পাড়াপ্রতিবেশীরা থেকে যায় । ঐ রাতেও প্রচুর পরিমানে মদ পান এবং সেই সঙ্গে গল্প-গুজব, হাসিতামাশা চলতে থাকে। মেয়ের দল হাঁত তিল, বাসন কোসন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজে ব্যস্ত থাকে। পরদিন অর্থাৎ তৃতীয় দিনেও আত্মীয় স্বজন পাড়াপ্রতিবেশী এবং কাজকর্মে বিশেষ ভাবে সাহায্যকারীদের জন্য ছােট খাটো ভােজের ব্যবস্থা করা হয়। গারাে ভাষায় উহাকে জাসী রিংখো-আ (রান চর্বণ) বলা হয় । কারণ ঐ দিনে নূতন করে কোন শূকর মারা হয় না, শুধু আগের দিনের উদ্বৃত্ত মাংস বিশেষ করে আগের দিনে রেখে দেয় দু একটি রানের মাংস ও কয়েকটি মুরগী মেরে ভােজের আয়ােজন করা হয়। সেদিন রান্না বান্নার কাজ সকাল সকালই সেরে ফেলা হয় এবং দুপুরের মধ্যেই খাওয়া দাওয়া শেষ হয়ে যায়। বিকেলে সব কিছু পরিস্কার করে ফেলার পালা এবং প্রতিবেশীদের বাড়ি হতে আনা কড়াই, থালা, গ্লাস, জগ, হাতা-চামচ, বসার টুল বেঞ্চ, দা-কুল, কোদাল প্রভৃতি যাবতীয় সামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়ার পালা । এই কাজেও প্রতিবেশীরা বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাহায্য সহযো গীতা করে।

READ MORE সারগ্যাসো সাগর, পৃথিবীর একমাত্র সমুদ্র যার কোনও কূল কিনারাই নাকি নাই, তীর নেই

| গারাে সমাজে ধর্ম বিশ্বাস নির্বিশেষে খ্রিস্টান-অখ্রিস্টান উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যেই শ্রাদ্ধকৰ্ম গারাে সংস্কৃতির অন্যতম ধারক হিসেবে এখন পর্যন্তও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। পারস্পরিক সহযােগীতার মাধ্যমে তারা সমবেতভাবে যে রকম সুশৃংখলভাবে এত বড় কর্মকাণ্ড সুসম্পন্ন করে ফেলে তা প্রত্যক্ষ না করলে বিশ্বাস করা যায়।

READ MORE আদিবাসী গারোদের মধ্যে বংলাদেশের প্রথম বিশপ মধুপুর গড় থেকে First Bishop among Garo in Bangladesh from Madhupur Garh

এখানে উল্লেখযােগ্য যে, এই সব শ্রাদ্ধকৰ্মসহ অন্যান্য যে কোন ভােজসভায় গারোরা অনাহুত রবাহুত কাউকেই অবাঞ্চিত কিংবা অনাকাঙ্খিত মনে করেনা | বরঞ্চ সানন্দে স্বাগতম জানিয়ে পরম সমাদরে পানাহারে আপ্যায়িত করে সসন্মানে বিদায় দেয়। আবহমানকাল হতেই গারাে সমাজে এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। যদিও আধুনিক গারাে সমাজে আর্থিক সংকটের চাপে ব্যয় সংকুচনের দিকে অনেকেই ঝুঁকে পড়েছেন তবুও অকৃত্রিম এবং আন্তরিক আতিথেয়তা আজও তাদের মধ্যে সুলভ। অনেকেই মনে করেন বিবাহ এবং শ্রাদ্ধকর্মাদিসহ বিভিন্ন ভােজসভায় দারুণ অমিতব্যয়িতার ফলেই গারােরা। বিশেষ করে বাংলাদেশের গারােরা বর্তমানে আর্থিক দুর্দশাগ্রস্ত।


অবশ্য ইহাঅনেকাংশে সত্য, তবুও নিজস্ব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে জলাঞ্জলী দিয়ে ব্যয় সংকোচন করার মাধ্যমে আর্থিক নিরাপত্তা লাভের প্রবণতা গারাে সমাজে আদৌ আছে কিনা অথবা ভবিষ্যতে হবে কিনা তা একমাত্র ভবিতব্যই বলতে পারে। তবে এই কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় ব্যয় সংকোচন করার লক্ষ্যে উপরােক্ত সামাজিক কর্মতৎপরতা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলােকে চিরতরে বর্জন করলে গারােদের সামাজিক বুনিয়াদ অনেকাংশে দুর্বল হয়ে পড়বে এবং সেই সঙ্গে সমাজ জীবনে নানা অসামাজিক তৎপরতার অনুপ্রবেশ ঘটবে।

help of the following Books

1. Dr. Burling Robbins > Rengsanggri Philadelphia University of Pennsylvania Press

2. SinghK. S. > The Sheduled Tribes Oxford University Press Calcutta

3. Marak Julius > Garo Custommary Laws and Practices Firma KLM Private Limited Calcutta .

4. Marak. K. R. > The Garos And their Customary Laws and Usages Tura Garo Hills,

5. Costa .G. > The Garo Code of Law, Catholic Church Tura.

6. Sen Soumen > Foklore in North East India Omsons Publications Gauhti .

7. Karotemprel Sebastian > The Tribes of North East India Firma KLM Private Limited Calcutta.

8. Vidyarathi&Rai> The Tribal Culture of India Concept Publishing Company Delhi.

9. Singh KS. > People of India Volume XXXII Anthropoligical Survey of Inda, Calcutta.

10. DaltonE.T. > Descriptive Ethnology of Bengal Indian Studies-Past & Present Calcutta-20.

11. Dr. Majumder D.N. > Culture Change in Two Garo Villages Anthropoligical Survey of India , Calcatta.

12. Mackenzie Alexander > THe North East Frontier of Inda, Mittal Publications Delhi - 110035.

13. Dr. Sinha T.C. > The Psyche of the Garos Anthropoligical Survey of India. Calcutta.

14. Bhattacharjee J.B. > THe Garos and the English Radiant Pulishers New Delhi.

15. Playfair A Major > The Garos United Publishers Pan Bazar Gauhati -781001.

16. GassahL.S. > Garo Hils Land and the People Omsons Publications New Delhi.

17. Dr. Sangma Milton > History and Culture of hte Garos Books Today New Delhi-110005.

18. Rongmuthu Dewan Sing > The Folk-tales of the Garos Department of Publications. Gauhati University.

 Translations into English



Post a Comment

Please do not link comment any spam or drive spams content

Previous Post Next Post